মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপ্রিয় সত্য কথা বলতে নেই! কবরে কি জবাব দিবেন- ১ম পর্ব

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২
  • ১৬৬ Time View

 

প্রভাষক মোঃ মাজেম আলী মলিন.

পেশা সাংবাদিকতা আর শিক্ষকতা । বন্ধ নেই কোন কিছুই। খবর পৌঁছে দিতে হবে মানুষের কাছে। সে খবর দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাবে দুনিয়ার নানা প্রান্তে। ছাত্র ছাত্রীরাও এক সময় দেশ মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত হবে। ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজনও থেকে যাবে ধরায়, থাকবো না শুধু আমি নামক যন্ত্রটা।

প্রতিদিন খবর  রচনা করতে হবে। তার জন্য যেতে হবে পাড়া-মহল্লা, জেলা-উপজেলা, শহর থেকে নগরে।  খবর সংগ্রহ করতে হয় বহু কষ্টে। সত্যটাকে উৎঘাটন করতে গেলে অনেক সময় আপনজনও পর হয়ে যায়। তাতে কি?  শিক্ষকতার মতো সাংবাদিকতাও একটা মহান পেশা । যদি তা হয় সত্য প্রকাশে অবিচল। কিন্তু স্বার্থে আঘাত লাগলে ভালো সংবাদটাও খারাপ লাগে।  কারন নিমপাতা অন্ধকারেও  তিতো লাগবে  এটাই স্বাভাবিক ।

প্রতি দিন দিগবিদিক ঘুড়তে হয় খবর সংগ্রহ করতে।  সেদিন এক হতদরিদ্র বৃদ্ধা তো জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেললেন, বললেন, বাপজান দুই দিন হলো কিছু খাইনা, আমারে একটু খাবার দেবে বাপ। তার কথায় চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। পকেটে থেকে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিতেই মাথায় দুহাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আমরা যে সব সাংবাদিকরা এখনও মাঠে কাজ করছি, তাদের অনেকেরই হয়তো এমন অভিজ্ঞতা কম বেশি রয়েছে।  অনেকেই হয়তো ভাবে সাংবাদিকদের কাছে গেলেই মনে হয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসলে আমাদের ক্ষমতা শুধু লেখা পর্যন্তই। বাঁকিটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।

প্রতিদিন কত খবর আসে খবরের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে। ’ সংবাদকর্মীদের জীবনটা এমনই। প্রতিদিন মৃত্যূর ঝুকি নিয়ে বাসা থেকে বের হই। বাসায় আতঙ্কে দিন কাটে স্ত্রী-ছেলে মেয়ের। সার্বক্ষণিক উৎকন্ঠা আর ভীতির মধ্যে থাকতে হয় তাদের। মেয়েটা ফোনে খবর নেয়, বাবা কি বাসায় ফিরেছো? দ্রুত বাসায় যাও মা আর জিসান তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। নিজেও অজানা আতঙ্কে থাকি সারাক্ষণ। তবুও কাজ করতে হয় পেটের তাগিদে। যেতে হয় সংবাদ অফিসে ,কলেজে চাকরি বলে কথা । আর এটাই মধ্যবিত্তের জীবন।

প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন, ‘মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়ার চেয়ে, ফকির হয়ে জন্মানো ভালো, তা হলে অন্তত ভালো থাকার অভিনয় করতে হয় না। ’ যে কোন অভাব, দুর্যোগ মানেই মহাবিপদ বয়ে যায় মধ্যবিত্তের ওপর দিয়ে। বাংলাদেশে আমরা সিংভাগ মধ্যবিত্তের কাতারে। মানুষ বাচেঁ আশায়। ভবিষ্যতের জন্য ভালো আশাতেই থাকতে চাই। ভালো প্রত্যাশাটাও করতে চাই। আজ বেচেঁ আছি, কাল কি হবে জানি না। চার দিকে অনিশ্চয়তা, শত্রু মিত্র বোঝা মুশস্কিল কে আপন কে পর বিপদে না পরলে বোঝা দায়।

ধনি-দরিদ্র সবাইকে একদিন মরতে হবে। কারো বিপুল পরিমাণ টাকা থাকলে তিনি বেচেঁ যাবেন এমন গ্যারান্টি নেই। তবুও ক্ষমতার দাপট কে কাকে মেরে বড় হবেন এই প্রতিযোগিতায়। ক্ষমতার দাপটে ধরাকে সরা মনে করে চলছি। মহান আল্লাহ -তিনি অসীম দয়ালু। হয়তো ক্ষমা করবেন, আবার নাও করতে পারেন। তবে ভরসা একমাত্র তিনিই।

দেখাযায় কোথাও নিয়মভঙ্গের খবর বা সুখবর পাওয়া গেলে সেখানে হাজির হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। অথচ ভালো কাজের মধ্যে একটু ফাঁকা পেলেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অথচ ওই কাজটা করার মতো একজন লোকও পাওয়া যায় না। ক্রিকেট দল ভালো খেললে বাহাবা পায় একটু খারাপ খেললেই চৌ্দ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়ে। এটাই আমাদের স্বভাব।

আপনি সারাদিনে দুটি ভালো কাজ আর একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন দেখবেন আপনার শত্রুর অভাব হবে না। অথচ এদের চেয়ে চামচামী বা জি হুজুর মার্কা লোকের সংখ্যই বেশী। এসব তৈল মারা লোকদেরই সমাজে কদর বেশী। উচিত কথা বলছেন তো মরছেন। রাজনৈতিক পদ থাকলে শুধু ইমামতি ছাড়া সব জান্তা সমশের সেজে বসে থাকেন অনেকেই । একজন আমলা, প্রশাসন এমনকি শিক্ষিত মানুষ কিছুই বোঝেন না শুধু মাত্র মামুরাই ভালো বোঝেন।

ভারতের আলীগড়ের একটি খবর দেখলাম। একজন দরিদ্র চা বিক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে যক্ষা রোগে ভুগছিলেন। নিজের ওষুধ কেনার ক্ষমতা ছিলো না। হাসপাতাল থেকে পাওয়া ওষুধই ছিলো তার ভরসা। করোনার পর তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ওষুধ কোনটাই পাননি। সঞ্জয় কুমার নামের ওই চা বিক্রেতা মারা গেছেন যক্ষা রোগে। করোনার ভয়ে এলাকার কোন লোক তার লাশ দাহ্য করতেও এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রী এবং ছোট ছোট চার মেয়ে পিতার লাশ কাধে করে শ্মশানে নিয়ে গেছেন। নিষ্পাপ মেয়েগুলোর কাধে বাবার লাশ, চোখে অশ্রুধারা ছবিটি ছাপ হয়েছে ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায়। হয়তো আলীগড়ের ওই চা বিক্রেতার আশা-পাশের লোকগুলো বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। কোন দিন কোন ব্যাধি তাদের ছোঁবে না।

নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে দুনিয়ার মানুষ যেমন শুভ দৃষ্টান্ত রাখছেন আবার অমানবিকতার উদাহরণও রেখে যাচ্ছেন। কাজের সময় কাজি কাজ ফুরালেই পাঁজি। এমনটা যারা কাজ করেন দেশ ও দশের জন্য তাদেরই শুনতে হয় সব সময়। অথচ সমালোচনা করার লোকের অভাব নেই এই দেশে। সেই সাথে হাতি যদি পাঁকে পড়ে চামচীকাও লাথি মারে। এটাই সমাজের নিয়োম।

মানুষ ভাবে এক রকম-ওপরওয়ালার ভাবনা অন্যরকম। জীবন-মৃত্যু একমাত্র তারই হাতে। আমরা বলি বিজ্ঞান এগিয়েছে- আজকের করোনা নামের একটি অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে পরাজিত দুনিয়ার সকল শক্তি। কাজ হচ্ছে না এটমবোমে বা অন্যকোন মারণাস্ত্রে। এর মধ্যেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে খবর পাচ্ছি দরিদ্র মানুষের জন্য পাঠানো ত্রাণ চুরি করছে এক শ্রেণির অসাধু চেয়ারম্যান মেম্বার। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের হাতে ধরাও পড়েছে কয়েকজন।

কষ্ট কাকে বলে নায়ক রিয়াজের শশুরের আত্বহত্যা তার জীবন দিয়ে তা প্রমান করে গেলেন। যদিও ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এটা মহা পাপ।–চলবে

Tag :

অপ্রিয় সত্য কথা বলতে নেই! কবরে কি জবাব দিবেন- ১ম পর্ব

Update Time : ১১:৪৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ মার্চ ২০২২

 

প্রভাষক মোঃ মাজেম আলী মলিন.

পেশা সাংবাদিকতা আর শিক্ষকতা । বন্ধ নেই কোন কিছুই। খবর পৌঁছে দিতে হবে মানুষের কাছে। সে খবর দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাবে দুনিয়ার নানা প্রান্তে। ছাত্র ছাত্রীরাও এক সময় দেশ মাতৃকার সেবায় নিয়োজিত হবে। ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজনও থেকে যাবে ধরায়, থাকবো না শুধু আমি নামক যন্ত্রটা।

প্রতিদিন খবর  রচনা করতে হবে। তার জন্য যেতে হবে পাড়া-মহল্লা, জেলা-উপজেলা, শহর থেকে নগরে।  খবর সংগ্রহ করতে হয় বহু কষ্টে। সত্যটাকে উৎঘাটন করতে গেলে অনেক সময় আপনজনও পর হয়ে যায়। তাতে কি?  শিক্ষকতার মতো সাংবাদিকতাও একটা মহান পেশা । যদি তা হয় সত্য প্রকাশে অবিচল। কিন্তু স্বার্থে আঘাত লাগলে ভালো সংবাদটাও খারাপ লাগে।  কারন নিমপাতা অন্ধকারেও  তিতো লাগবে  এটাই স্বাভাবিক ।

প্রতি দিন দিগবিদিক ঘুড়তে হয় খবর সংগ্রহ করতে।  সেদিন এক হতদরিদ্র বৃদ্ধা তো জড়িয়ে ধরে কেঁদেই ফেললেন, বললেন, বাপজান দুই দিন হলো কিছু খাইনা, আমারে একটু খাবার দেবে বাপ। তার কথায় চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। পকেটে থেকে কিছু টাকা হাতে ধরিয়ে দিতেই মাথায় দুহাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। আমরা যে সব সাংবাদিকরা এখনও মাঠে কাজ করছি, তাদের অনেকেরই হয়তো এমন অভিজ্ঞতা কম বেশি রয়েছে।  অনেকেই হয়তো ভাবে সাংবাদিকদের কাছে গেলেই মনে হয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আসলে আমাদের ক্ষমতা শুধু লেখা পর্যন্তই। বাঁকিটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।

প্রতিদিন কত খবর আসে খবরের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে। ’ সংবাদকর্মীদের জীবনটা এমনই। প্রতিদিন মৃত্যূর ঝুকি নিয়ে বাসা থেকে বের হই। বাসায় আতঙ্কে দিন কাটে স্ত্রী-ছেলে মেয়ের। সার্বক্ষণিক উৎকন্ঠা আর ভীতির মধ্যে থাকতে হয় তাদের। মেয়েটা ফোনে খবর নেয়, বাবা কি বাসায় ফিরেছো? দ্রুত বাসায় যাও মা আর জিসান তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। নিজেও অজানা আতঙ্কে থাকি সারাক্ষণ। তবুও কাজ করতে হয় পেটের তাগিদে। যেতে হয় সংবাদ অফিসে ,কলেজে চাকরি বলে কথা । আর এটাই মধ্যবিত্তের জীবন।

প্রয়াত জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ লিখেছিলেন, ‘মধ্যবিত্ত হয়ে জন্ম নেয়ার চেয়ে, ফকির হয়ে জন্মানো ভালো, তা হলে অন্তত ভালো থাকার অভিনয় করতে হয় না। ’ যে কোন অভাব, দুর্যোগ মানেই মহাবিপদ বয়ে যায় মধ্যবিত্তের ওপর দিয়ে। বাংলাদেশে আমরা সিংভাগ মধ্যবিত্তের কাতারে। মানুষ বাচেঁ আশায়। ভবিষ্যতের জন্য ভালো আশাতেই থাকতে চাই। ভালো প্রত্যাশাটাও করতে চাই। আজ বেচেঁ আছি, কাল কি হবে জানি না। চার দিকে অনিশ্চয়তা, শত্রু মিত্র বোঝা মুশস্কিল কে আপন কে পর বিপদে না পরলে বোঝা দায়।

ধনি-দরিদ্র সবাইকে একদিন মরতে হবে। কারো বিপুল পরিমাণ টাকা থাকলে তিনি বেচেঁ যাবেন এমন গ্যারান্টি নেই। তবুও ক্ষমতার দাপট কে কাকে মেরে বড় হবেন এই প্রতিযোগিতায়। ক্ষমতার দাপটে ধরাকে সরা মনে করে চলছি। মহান আল্লাহ -তিনি অসীম দয়ালু। হয়তো ক্ষমা করবেন, আবার নাও করতে পারেন। তবে ভরসা একমাত্র তিনিই।

দেখাযায় কোথাও নিয়মভঙ্গের খবর বা সুখবর পাওয়া গেলে সেখানে হাজির হয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। অথচ ভালো কাজের মধ্যে একটু ফাঁকা পেলেই সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। অথচ ওই কাজটা করার মতো একজন লোকও পাওয়া যায় না। ক্রিকেট দল ভালো খেললে বাহাবা পায় একটু খারাপ খেললেই চৌ্দ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়ে। এটাই আমাদের স্বভাব।

আপনি সারাদিনে দুটি ভালো কাজ আর একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন দেখবেন আপনার শত্রুর অভাব হবে না। অথচ এদের চেয়ে চামচামী বা জি হুজুর মার্কা লোকের সংখ্যই বেশী। এসব তৈল মারা লোকদেরই সমাজে কদর বেশী। উচিত কথা বলছেন তো মরছেন। রাজনৈতিক পদ থাকলে শুধু ইমামতি ছাড়া সব জান্তা সমশের সেজে বসে থাকেন অনেকেই । একজন আমলা, প্রশাসন এমনকি শিক্ষিত মানুষ কিছুই বোঝেন না শুধু মাত্র মামুরাই ভালো বোঝেন।

ভারতের আলীগড়ের একটি খবর দেখলাম। একজন দরিদ্র চা বিক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে যক্ষা রোগে ভুগছিলেন। নিজের ওষুধ কেনার ক্ষমতা ছিলো না। হাসপাতাল থেকে পাওয়া ওষুধই ছিলো তার ভরসা। করোনার পর তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক ওষুধ কোনটাই পাননি। সঞ্জয় কুমার নামের ওই চা বিক্রেতা মারা গেছেন যক্ষা রোগে। করোনার ভয়ে এলাকার কোন লোক তার লাশ দাহ্য করতেও এগিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত তার স্ত্রী এবং ছোট ছোট চার মেয়ে পিতার লাশ কাধে করে শ্মশানে নিয়ে গেছেন। নিষ্পাপ মেয়েগুলোর কাধে বাবার লাশ, চোখে অশ্রুধারা ছবিটি ছাপ হয়েছে ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায়। হয়তো আলীগড়ের ওই চা বিক্রেতার আশা-পাশের লোকগুলো বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। কোন দিন কোন ব্যাধি তাদের ছোঁবে না।

নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে দুনিয়ার মানুষ যেমন শুভ দৃষ্টান্ত রাখছেন আবার অমানবিকতার উদাহরণও রেখে যাচ্ছেন। কাজের সময় কাজি কাজ ফুরালেই পাঁজি। এমনটা যারা কাজ করেন দেশ ও দশের জন্য তাদেরই শুনতে হয় সব সময়। অথচ সমালোচনা করার লোকের অভাব নেই এই দেশে। সেই সাথে হাতি যদি পাঁকে পড়ে চামচীকাও লাথি মারে। এটাই সমাজের নিয়োম।

মানুষ ভাবে এক রকম-ওপরওয়ালার ভাবনা অন্যরকম। জীবন-মৃত্যু একমাত্র তারই হাতে। আমরা বলি বিজ্ঞান এগিয়েছে- আজকের করোনা নামের একটি অদৃশ্য ভাইরাসের কাছে পরাজিত দুনিয়ার সকল শক্তি। কাজ হচ্ছে না এটমবোমে বা অন্যকোন মারণাস্ত্রে। এর মধ্যেও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে খবর পাচ্ছি দরিদ্র মানুষের জন্য পাঠানো ত্রাণ চুরি করছে এক শ্রেণির অসাধু চেয়ারম্যান মেম্বার। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের হাতে ধরাও পড়েছে কয়েকজন।

কষ্ট কাকে বলে নায়ক রিয়াজের শশুরের আত্বহত্যা তার জীবন দিয়ে তা প্রমান করে গেলেন। যদিও ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এটা মহা পাপ।–চলবে