শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে শুরু হয়েছে ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহি বউ মেলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • ১১৯ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

মেলায় যাইরে মাইলসের এই গান মনে করিয়ে দেয় গ্রাম বাংলার অতিহ্যবাহী স্মৃতির কথা । আকাশ সাংস্কৃতির কারনে যা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবুও এখনো গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কিছু প্রবীণ ব্যাক্তিরা। ঘোড় দৌড় লাঠি খেলা ,বউ মেলা নৌকা বাইচ সহ এই উৎসবগুলো। 

নাটোরের গুরুদাসপুরে বসেছে বউ মেলা। ৫৩ বছর ধরে চলা ঐতিহ্যবাহি এ মেলা প্রতি বছর চৈত্র মাসে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপি এ মেলার শেষ দিনে বসে ‘বউ মেলা’। বউ মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের কয়েক গ্রামের বউ, শাশুড়ি, ননদ, জা ও ঝিরা একত্রিত হয়।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মকিমপুরে বসেছে এই বউ মেলা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে , মেলায় সব বয়সী নারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাহারি সব কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালাসহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। এসব অলংকার কিনতে দরদাম করছেন বাড়ির বউ-ননদরা। বউ মেলায় পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫৩ বছর আগে মুন্নাফ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি এ মেলাটি প্রথম শুরু করেছিলেন। তার পর থেকে প্রতিবছরের পহেলা চৈত্রে দুই দিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন চলে আসছে।

রিনা বেগম নামেরিএকজন নারী জানান, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই মেলা। বছরে একটা দিন বাড়ির সব মেয়েরা মেলায় ঘুরতে আসে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করি।

মিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই এলাকায় আনন্দের আমেজ সৃষ্টি হয়। প্রত্যক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা আসে। এতে পুরো এলাকা মিলন মেলায় পরিণত হয়।

মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর এ মেলার আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ ছিল। এ বছরে আবার চালু হওয়ায় এলাকাবাসী খুব খুশি। মেলায় দিনভর বউ মেলা চলার পর বিকেলে ঘোড়দৌড় শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসে এই মেলায়। তবে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মেলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

Tag :

গুরুদাসপুরে শুরু হয়েছে ৫৩ বছরের ঐতিহ্যবাহি বউ মেলা

Update Time : ০৮:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.

মেলায় যাইরে মাইলসের এই গান মনে করিয়ে দেয় গ্রাম বাংলার অতিহ্যবাহী স্মৃতির কথা । আকাশ সাংস্কৃতির কারনে যা আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তবুও এখনো গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কিছু প্রবীণ ব্যাক্তিরা। ঘোড় দৌড় লাঠি খেলা ,বউ মেলা নৌকা বাইচ সহ এই উৎসবগুলো। 

নাটোরের গুরুদাসপুরে বসেছে বউ মেলা। ৫৩ বছর ধরে চলা ঐতিহ্যবাহি এ মেলা প্রতি বছর চৈত্র মাসে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপি এ মেলার শেষ দিনে বসে ‘বউ মেলা’। বউ মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের কয়েক গ্রামের বউ, শাশুড়ি, ননদ, জা ও ঝিরা একত্রিত হয়।

বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মকিমপুরে বসেছে এই বউ মেলা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে , মেলায় সব বয়সী নারীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাহারি সব কাচের চুড়ি, রঙিন ফিতা, লিপস্টিক, কানের দুল, ঝিনুকের মালাসহ বিভিন্ন খাবারের দোকানে পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। এসব অলংকার কিনতে দরদাম করছেন বাড়ির বউ-ননদরা। বউ মেলায় পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫৩ বছর আগে মুন্নাফ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি এ মেলাটি প্রথম শুরু করেছিলেন। তার পর থেকে প্রতিবছরের পহেলা চৈত্রে দুই দিনব্যাপী মেলাটির আয়োজন চলে আসছে।

রিনা বেগম নামেরিএকজন নারী জানান, আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই মেলা। বছরে একটা দিন বাড়ির সব মেয়েরা মেলায় ঘুরতে আসে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করি।

মিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূ বলেন, মেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এই এলাকায় আনন্দের আমেজ সৃষ্টি হয়। প্রত্যক বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা আসে। এতে পুরো এলাকা মিলন মেলায় পরিণত হয়।

মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছর এ মেলার আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ ছিল। এ বছরে আবার চালু হওয়ায় এলাকাবাসী খুব খুশি। মেলায় দিনভর বউ মেলা চলার পর বিকেলে ঘোড়দৌড় শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসে এই মেলায়। তবে মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে মেলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে।