শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যার মুল আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২
  • ৫২ Time View

মো. রাজু । ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ প্রতিবেদক: কুমিল্লায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত যুবক সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। যদিও ঘটনার শুরুতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

র‍্যাব-১১ এর ডিএডি কবীর বলেন, উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যে যুবক নিহত হয়েছেন তিনি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে।

তিনি আরও জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে অভিযানে গেলে র‌্যাবের সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময় হয়। এ সময় রাজু গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ২টা ১৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে র‍্যাব-১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, র‌্যাবের সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় এক সন্ত্রাসী নিহত হন। আহত হন র‌্যাবের এক সদস্য।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার উদ্ধৃতি দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিচয় আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যেসব গণমাধ্যম আমাকে কোট করে সংবাদ প্রকাশ করছে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি কাউকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিইনি।’

এদিকে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের ছোট ভাই হৃদয় সরকার জানান, হাসপাতালে যে মরদেহটি রয়েছে সে আমার ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ নগরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবারে (১৪ এপ্রিল) রাতে নিহতের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রাজুকে।

নিহত মহিউদ্দিন একসময় সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন। হঠাৎ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় সীমান্তে মাদক চোরাচালানের গোপন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতেন। এ নিয়ে রাজুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন।

পুলিশ বলছে, রাজুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

Tag :

সাংবাদিক মহিউদ্দিন হত্যার মুল আসামী বন্দুকযুদ্ধে নিহত

Update Time : ১২:৫২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক: কুমিল্লায় র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত যুবক সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব। যদিও ঘটনার শুরুতে র‌্যাবের পক্ষ থেকে নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

র‍্যাব-১১ এর ডিএডি কবীর বলেন, উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যে যুবক নিহত হয়েছেন তিনি সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে।

তিনি আরও জানান, শনিবার রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে অভিযানে গেলে র‌্যাবের সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময় হয়। এ সময় রাজু গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ২টা ১৫ মিনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে র‍্যাব-১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, র‌্যাবের সঙ্গে একদল সন্ত্রাসীর গুলিবিনিময় হয়। এ ঘটনায় এক সন্ত্রাসী নিহত হন। আহত হন র‌্যাবের এক সদস্য।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে আপনার উদ্ধৃতি দিয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিচয় আমরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। তবে যেসব গণমাধ্যম আমাকে কোট করে সংবাদ প্রকাশ করছে সেটা তাদের ব্যাপার। আমি কাউকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিইনি।’

এদিকে নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের ছোট ভাই হৃদয় সরকার জানান, হাসপাতালে যে মরদেহটি রয়েছে সে আমার ভাই হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাজু। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সকল সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা  বাহিনীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের হায়দ্রাবাদ নগরে সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবারে (১৪ এপ্রিল) রাতে নিহতের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় রাজুকে।

নিহত মহিউদ্দিন একসময় সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। আনন্দ টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন। হঠাৎ সাংবাদিকতা ছেড়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় সীমান্তে মাদক চোরাচালানের গোপন তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিতেন। এ নিয়ে রাজুর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন মহিউদ্দিন।

পুলিশ বলছে, রাজুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।