শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক কারা তা চিহ্নিত করা হোক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ১৭০ Time View

মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার : বাংলাদেশে একমাত্র সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক পরিচয় দিতে কোন সার্টিফিকেশন বা সনদ প্রয়োজন হয় না। এর ফলে যে কোন মানের লোকজন এ পেশায় আসছে। আবার সাংবাদিক না হয়েও কখনো সাংবাদিকতা না করেও এখন অনেকে সাংবাদিক নেতা। অর্থের দাপটে, ক্ষমতার দাপটে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। যেখানে পেশাদার সাংবাদিক বঞ্চিত হচ্ছে।

বর্তমান প্রজন্মের অনেক সাংবাদিক এখন রাজনীতির সাথে সরাসরী সম্পর্ক আছে, তারা পরিচয় গোপন করে সাংবাদিকতা করছে। সাংবাদিকতায় সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা নেই বলে এটা সম্ভব হচ্ছে।

মফস্বল সাংবাদিকদের দিকে তাকালে আরো বেহাল অবস্থা। মফস্বল সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বাড়ালেও সেখানকার ভালোমন্দ বা নীতি আদর্শ দেখার কেউ নেই। যার ফলে চলছে যে যার মত। বেশিরভাগ সংবাদপত্র বা টেলিভিশন বিভাগীয় শহর ছাড়া বেতন ভাতা দেন না। অধিকাংশ জেলা শহরগুলোতে সাংবাদিকদের কোন বেতন দেওয়া হয় না। কিন্তু সাংবাদিকরা নিজেদের মত করে এ পেশাটাকে একটা মহান চাঁদাবাজী পেশায় রপান্তরিত করেছে। সময় এসেছে এসবের পরিবর্তনের।

সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক কারা তা চিহ্নিত করা হোক। এটাকে একটি অন্যান্য বিশেষায়িত পেশার মত সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হোক। যারা কোন দিন ওয়েজবোর্ডের আওতায় বেতন পাননি বা সাংবাদিকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেননি, এমন সাংবাদিকদের সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বানানো বন্ধ হোক। নেতা হওয়ার স্বার্থে তথাকথিত আন্ডারগ্রাউন্ড সাংবাদিকদের আর পুশবেন কিনা তা ঠিক করুন। তা না হলে সাংবাদিকদের সামনে আরো কঠিন বিপদ অপক্ষো করছে।

লেখক : রিপোর্টার, দৈনিক আমাদের নতুন সময়, চট্টগ্রাম।

Tag :

সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক কারা তা চিহ্নিত করা হোক

Update Time : ১২:৫৮:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষার : বাংলাদেশে একমাত্র সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক পরিচয় দিতে কোন সার্টিফিকেশন বা সনদ প্রয়োজন হয় না। এর ফলে যে কোন মানের লোকজন এ পেশায় আসছে। আবার সাংবাদিক না হয়েও কখনো সাংবাদিকতা না করেও এখন অনেকে সাংবাদিক নেতা। অর্থের দাপটে, ক্ষমতার দাপটে তারা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। যেখানে পেশাদার সাংবাদিক বঞ্চিত হচ্ছে।

বর্তমান প্রজন্মের অনেক সাংবাদিক এখন রাজনীতির সাথে সরাসরী সম্পর্ক আছে, তারা পরিচয় গোপন করে সাংবাদিকতা করছে। সাংবাদিকতায় সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা নেই বলে এটা সম্ভব হচ্ছে।

মফস্বল সাংবাদিকদের দিকে তাকালে আরো বেহাল অবস্থা। মফস্বল সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব বাড়ালেও সেখানকার ভালোমন্দ বা নীতি আদর্শ দেখার কেউ নেই। যার ফলে চলছে যে যার মত। বেশিরভাগ সংবাদপত্র বা টেলিভিশন বিভাগীয় শহর ছাড়া বেতন ভাতা দেন না। অধিকাংশ জেলা শহরগুলোতে সাংবাদিকদের কোন বেতন দেওয়া হয় না। কিন্তু সাংবাদিকরা নিজেদের মত করে এ পেশাটাকে একটা মহান চাঁদাবাজী পেশায় রপান্তরিত করেছে। সময় এসেছে এসবের পরিবর্তনের।

সাংবাদিকতা পেশায় সাংবাদিক কারা তা চিহ্নিত করা হোক। এটাকে একটি অন্যান্য বিশেষায়িত পেশার মত সনদ ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হোক। যারা কোন দিন ওয়েজবোর্ডের আওতায় বেতন পাননি বা সাংবাদিকতা করে জীবিকা নির্বাহ করেননি, এমন সাংবাদিকদের সাংবাদিক সংগঠনের নেতা বানানো বন্ধ হোক। নেতা হওয়ার স্বার্থে তথাকথিত আন্ডারগ্রাউন্ড সাংবাদিকদের আর পুশবেন কিনা তা ঠিক করুন। তা না হলে সাংবাদিকদের সামনে আরো কঠিন বিপদ অপক্ষো করছে।

লেখক : রিপোর্টার, দৈনিক আমাদের নতুন সময়, চট্টগ্রাম।