শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

প্রভাবশালীর অবৈধ দখল থেকে ২১ বছর পর ১৮ একর খাস জমি উদ্ধার করলো প্রশাসন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ৭২ Time View

ছবি: বনলতা

 পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে ১৮ দশমিক ২৮ একর সরকারি খাস জমি বেদখলের ২১ বছর পর উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে (২৬ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় মৌজায় স্যালিল্যান্ড টি স্টেট এর দখলে থাকা চা বাগানসহ জমি উদ্ধার করে লাল পতাকাসহ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় প্রশাসন।

স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট ২০২১ সালে জমিটি অবৈধভাবে দখলে নেয় এবং চা বাগান করে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১নং খতিয়ানভুক্ত ১৮ দশমিক ২৮ সরকারি সম্পত্তি ভারত সীমান্তের কাছে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেদখল ছিল। এর আগেও একাধিকার জায়গাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও অজ্ঞাত কারণে পরে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এবং প্রভাব খাটিয়ে জমির কোন দলিল বা কাগজপত্র ছাড়াই দখলকারীরা ওই জমিতে চা বাগান করে ২১ বছর ধরে চা বিক্রি করে আসছিলেন। জেলা প্রশাসন জানায়, শুধু জমিটির বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া জমিতে চা বাগান এর মুল্য আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারারণ চন্দ্র বর্মণ এই খাস জমি দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো. মাসুদুল হক, অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান নুরু, সদর থানা পুলিশের একটি দল সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, দীর্ঘদিন স্যালিল্যান্ড টি স্টেট জমিটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছিল। আমরা বারবার চেষ্ট করেও নানা কারণে দখলমুক্ত করতে পারিনি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় জমিটি উদ্ধার হয়েছে। চা বাগানসহ জমি ইজারা প্রদান করলে প্রতিবছর সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে।

স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট এর ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম বলেন, জোড়পূর্বক দখলে রাখার বিষয়টি ঠিক না। ব্রকারের (দালাল) মাধ্যমে আমরা ২১ বছর আগে এই জমি ক্রয় করে আমরা চা বাগান করি। পরবর্তিতে জানতে পারি যে, বাগানের প্রায় ১৮ একর জমি ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত। এরপর আমরা জমিটি স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য নিয়ম মেনে জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করি। ভূমি মন্ত্রনালয়ের একটি টিম জমি পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু আমরা যথাযথ শর্ত মেনে নিয়ম অনুযায়ী বন্দোবস্তের আবেদন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার আমাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। তবে আশ্রয়ণ-২ এর কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমাদের বিপুল পরিমাণ খাস সম্পত্তির প্রয়োজন। এজন্য রমজান মাসেও জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ দশমিক ২৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।।

প্রভাবশালীর অবৈধ দখল থেকে ২১ বছর পর ১৮ একর খাস জমি উদ্ধার করলো প্রশাসন

Update Time : ০৮:১০:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

 পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে ১৮ দশমিক ২৮ একর সরকারি খাস জমি বেদখলের ২১ বছর পর উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে (২৬ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের ভিতরগড় মৌজায় স্যালিল্যান্ড টি স্টেট এর দখলে থাকা চা বাগানসহ জমি উদ্ধার করে লাল পতাকাসহ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় প্রশাসন।

স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট ২০২১ সালে জমিটি অবৈধভাবে দখলে নেয় এবং চা বাগান করে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১নং খতিয়ানভুক্ত ১৮ দশমিক ২৮ সরকারি সম্পত্তি ভারত সীমান্তের কাছে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বেদখল ছিল। এর আগেও একাধিকার জায়গাটি দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নিলেও অজ্ঞাত কারণে পরে তা আলোর মুখ দেখেনি।

সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এবং প্রভাব খাটিয়ে জমির কোন দলিল বা কাগজপত্র ছাড়াই দখলকারীরা ওই জমিতে চা বাগান করে ২১ বছর ধরে চা বিক্রি করে আসছিলেন। জেলা প্রশাসন জানায়, শুধু জমিটির বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া জমিতে চা বাগান এর মুল্য আরও কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

সম্প্রতি সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারারণ চন্দ্র বর্মণ এই খাস জমি দখলমুক্ত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপঙ্কর রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মো. মাসুদুল হক, অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুজ্জামান নুরু, সদর থানা পুলিশের একটি দল সহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

অমরখানা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বলেন, দীর্ঘদিন স্যালিল্যান্ড টি স্টেট জমিটি অবৈধভাবে দখলে রেখেছিল। আমরা বারবার চেষ্ট করেও নানা কারণে দখলমুক্ত করতে পারিনি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় জমিটি উদ্ধার হয়েছে। চা বাগানসহ জমি ইজারা প্রদান করলে প্রতিবছর সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে।

স্যালিল্যান্ড টি এস্টেট এর ম্যানেজার মো. আব্দুস সালাম বলেন, জোড়পূর্বক দখলে রাখার বিষয়টি ঠিক না। ব্রকারের (দালাল) মাধ্যমে আমরা ২১ বছর আগে এই জমি ক্রয় করে আমরা চা বাগান করি। পরবর্তিতে জানতে পারি যে, বাগানের প্রায় ১৮ একর জমি ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত। এরপর আমরা জমিটি স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য নিয়ম মেনে জেলা প্রশাসন কার্যালয় এবং ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করি। ভূমি মন্ত্রনালয়ের একটি টিম জমি পরিদর্শনও করেছেন। কিন্তু আমরা যথাযথ শর্ত মেনে নিয়ম অনুযায়ী বন্দোবস্তের আবেদন করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি খাস সম্পত্তি উদ্ধার আমাদের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। তবে আশ্রয়ণ-২ এর কারণে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ গৃহ উপহার প্রদান করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আমাদের বিপুল পরিমাণ খাস সম্পত্তির প্রয়োজন। এজন্য রমজান মাসেও জমি উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ দশমিক ২৮ একর খাস জমি উদ্ধার করা হয়েছে।।