বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অধিকাংশ অনলাইন শপিংয়ে পণ্য বিক্রির নামে চলছে ডাকাতি – সর্তক থাকতে হবে ক্রেতাদেরও

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৫ Time View

কর্মব্যস্ত জীবনে এখন কমবেশি সবাই অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে। এ কারণে বর্তমানে অনলাইন বিজনেসও ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

ডিজিটাল যুগ চলছে ইন্টারনেট নির্ভতায়। আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে পুরো পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। সেই সুযোগে ইন্টারনেটে কেনাকাটার বিষয়টি খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার কারনে দেশে নানা নামে হরেক রকমের অনলাইন শপ চালু হয়েছে । তবে এসব অনলাইন শপগুলোতে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

দেশের অনলাইন শপগুলোর কিছু খন্ড চিত্র বিভিন্ন গণ মাধ্যম থেকে তুলে ধরা হলো পাঠকদের সুবির্ধাতে । এক ক্রেতা অনলাইনে নকিয়া ২৭২০ মডেলের ১টি সেট অর্ডার করেছিলেন । তিনি দেখেন, ভেতরে মোবাইল আছে, তবে নকিয়া-২৭২০ মডেলের যে মোবাইলটি অর্ডার করেছিল সেটি নয়; ওই প্যাকেটে আছে ৩০০ টাকা দামের চাইনিজ উইনমেক্স মোবাইল সেট।

বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। এরপর তিনি ফ্যাশন গ্যালারির নির্ধারিত নম্বরে ফোন করেন এবং প্যাকেটের ভেতর নকিয়া-২৭২০ মডেলের মোবাইল সেটের পরিবর্তে চাইনিজ উইনমেক্স মোবাইল সেট পাওয়ার কথা বলেন। এ সময় ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে বলে জানিয়েছেন ফ্যাশন গ্যালারি কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্যাশন গ্যালারির এক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আমরা দেখছি। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায় হয়েছে; সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এরকম অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হন। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্য মিলে না আবার কখনো অ্যাডভান্স টাকা দেওয়ার পরও পণ্য হাতে পান না অনেকেই। অথচ আমি নিজে প্রেসক্লাবের সভাপতির পরিচয় দিয়েও শাড়ি কিনতে গিয়ে ১২ টাকার শাড়ি কিনে দেখি ৬শ টাকার শাড়ি অনলাইন শপ আজমেয়ান্স মার্ট। মাবাসশিরা ফ্যাসান ৮শ টাকার শাড়ি নিলো ১৬শ টাকা। এছাড়া ফোন সেটের নামে সাবান, হেলমেটের নামে পুরনো হেলমেট, জামদানীর নামে ছেড়া শাড়ি, চুল কালির নামে ফিক্সট মারকারী কলমের কালি, মুখের বলিরেখা দুর কারার নামে শান্তি মলম. দাঁত সাদা করার জেইলের নামে শ্যম্পর পানি, পিসতলের নামে গ্যাস লাইটার, এমন কি অনলাইন ঘটকালীতে ভালো মেয়ের নামে কালো মেয়ে, ধনির দুলালীর নামে কাজের বুয়া, বিয়ে দিয়ে বিদেশ প্রেরনের নামে জিম্মি এরকম অসংখ্য সংবাদ আমরা প্রতিনিয়তই মিডিয়াতে দেখছি। প্রশাসন ধরে এদের শাস্তিও দিচ্ছে তবুও থেমে নেই এদের দৌরাত্ব। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এধরনের অনলাইন শপগুলো চুরি নয় ডাকাতি করছে বললেও কম বলা হবে। এরকম অসংখ্য ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন শপিংয়ের নামে ক্রেতাদের পকেট কেটে সর্ব শান্ত করছে।

তাই অনলাইনে কেনাকাটার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তাহলে এড়াতে পারবেন প্রতারণা। আপনি যে ওয়েবসাইট বা পেইজ থেকে পণ্য কিনবেন, সেটি ভালো করে যাচাই করে নিন। অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, এর ফলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ওই ওয়েবসাইটে চলে যায়। তাই যে কোনো ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। প্রচারক চক্ররা এখন বিখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবসাইটের সবকিছু নকল করে থাকে। বানান বা ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে এসব ফেক সাইট খোলা হয়। তাই যে কোনো শপিং সাইটে ব্যক্তিগত বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য প্রবেশ করানোর আগে দেখুন পৃষ্ঠার ওয়েব ঠিকানা ‘https:’ দিয়ে শুরু হচ্ছে নাকি ‘http:’। যদি প্রথমটি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি সুরক্ষিত নয়।

অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার আগে ওই কোম্পানি বা পেইজের সুনাম কেমন তা যাচাই করেন। এক্ষেত্রে আপনি রিভিউ দেখতে পারেন। যদি সব রিভিউগুলোই ইতিবাচক হয়, তাহলে সেখান থেকে ক্রয় করতে পারেন। কোথাও অফার বা ডিসকাউন্ট দেখলে সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করবেন না। কারণ অফারের পণ্যগুলোর মান ততটা ভালো হয়। এক্ষেত্রে নকল পণ্য হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আবার যদি কোনো ই-স্টোর আপনাকে খুব কম দামে ভালো পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলেও সতর্ক থাকুন। একই পোশাক যদি এক স্থানে দেখেন বেশি দাম ও অন্য স্থানে কম, তাহলে কিন্তু দ্রুত তা কিনতে যাবেন না। কারণ পোশাকের ডিজাইন একই হলেও মেটেরিয়ালে হেরফের থাকতে পারে। ঠিক তেমনই কসমেটিক্স বা সানগ্লাস, বেল্ট, ঘড়ি ইত্যাদি ভালো ব্র্র্যান্ডের জিনিসের রেপ্লিকাও এখন বাজারে আছে। তাই বুঝে শুনে তবেই কিনুন।

বিভিন্ন উৎসব ও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনেক প্রতিষ্ঠানই চটদার বিজ্ঞাপন দেয়। যা দেখে অনেকেই নির্দিষ্ট পণ্য কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। ‘এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য’ এই কথার মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে প্রলুব্ধ করা হয়। তাই এমন বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনার আগে ১০ বার ভাবুন। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন উৎসবের আগে অনলাইনের বিভিন্ন পেইজ ‘ডেলিভারি চার্জ ফ্রি’ কিংবা ‘একটি কিনলে ২টি ফ্রি’ ইত্যাদি অফার গ্রহণ করে মানহীন পণ্য কিনবেন না। অনলাইনে পণ্য কেনার আগে সব বিষয় যাচাই করুন। বিশেষ করে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে রং, কাপড়ের কোয়ালিট, সাইজ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তবেই অর্ডার করুন। এতে পণ্য পাওয়ার পর আর আফসোস করতে হবে না। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্যের মিল থাকে না, এজন্য থেকেই বিক্রেতার কাছ থেকে ওই পণ্যের আসল ছবি দেখে নিন।

যেসব ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আবদার করেন, সেখান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি নিতে পারে। এতে করে আপনি পণ্য দেখে শুনে সব ঠিক থাকলে তবেই টাকা ডেলিভারি ম্যানের হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় বিভিন্ন অফারের কোনো পপআপ, ই-মেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো। এতে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্যাদি চুরি করতে পারবে।

Tag :

অধিকাংশ অনলাইন শপিংয়ে পণ্য বিক্রির নামে চলছে ডাকাতি – সর্তক থাকতে হবে ক্রেতাদেরও

Update Time : ০২:৪৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

কর্মব্যস্ত জীবনে এখন কমবেশি সবাই অনলাইনে কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে। এ কারণে বর্তমানে অনলাইন বিজনেসও ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

ডিজিটাল যুগ চলছে ইন্টারনেট নির্ভতায়। আকাশ সংস্কৃতির বদৌলতে পুরো পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। সেই সুযোগে ইন্টারনেটে কেনাকাটার বিষয়টি খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। যার কারনে দেশে নানা নামে হরেক রকমের অনলাইন শপ চালু হয়েছে । তবে এসব অনলাইন শপগুলোতে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

দেশের অনলাইন শপগুলোর কিছু খন্ড চিত্র বিভিন্ন গণ মাধ্যম থেকে তুলে ধরা হলো পাঠকদের সুবির্ধাতে । এক ক্রেতা অনলাইনে নকিয়া ২৭২০ মডেলের ১টি সেট অর্ডার করেছিলেন । তিনি দেখেন, ভেতরে মোবাইল আছে, তবে নকিয়া-২৭২০ মডেলের যে মোবাইলটি অর্ডার করেছিল সেটি নয়; ওই প্যাকেটে আছে ৩০০ টাকা দামের চাইনিজ উইনমেক্স মোবাইল সেট।

বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। এরপর তিনি ফ্যাশন গ্যালারির নির্ধারিত নম্বরে ফোন করেন এবং প্যাকেটের ভেতর নকিয়া-২৭২০ মডেলের মোবাইল সেটের পরিবর্তে চাইনিজ উইনমেক্স মোবাইল সেট পাওয়ার কথা বলেন। এ সময় ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে বলে জানিয়েছেন ফ্যাশন গ্যালারি কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফ্যাশন গ্যালারির এক জনসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাপারটা আমরা দেখছি। কোথাও একটা ভুল হয়েছে। ভুলটা কোথায় হয়েছে; সেটা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এরকম অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হন। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্য মিলে না আবার কখনো অ্যাডভান্স টাকা দেওয়ার পরও পণ্য হাতে পান না অনেকেই। অথচ আমি নিজে প্রেসক্লাবের সভাপতির পরিচয় দিয়েও শাড়ি কিনতে গিয়ে ১২ টাকার শাড়ি কিনে দেখি ৬শ টাকার শাড়ি অনলাইন শপ আজমেয়ান্স মার্ট। মাবাসশিরা ফ্যাসান ৮শ টাকার শাড়ি নিলো ১৬শ টাকা। এছাড়া ফোন সেটের নামে সাবান, হেলমেটের নামে পুরনো হেলমেট, জামদানীর নামে ছেড়া শাড়ি, চুল কালির নামে ফিক্সট মারকারী কলমের কালি, মুখের বলিরেখা দুর কারার নামে শান্তি মলম. দাঁত সাদা করার জেইলের নামে শ্যম্পর পানি, পিসতলের নামে গ্যাস লাইটার, এমন কি অনলাইন ঘটকালীতে ভালো মেয়ের নামে কালো মেয়ে, ধনির দুলালীর নামে কাজের বুয়া, বিয়ে দিয়ে বিদেশ প্রেরনের নামে জিম্মি এরকম অসংখ্য সংবাদ আমরা প্রতিনিয়তই মিডিয়াতে দেখছি। প্রশাসন ধরে এদের শাস্তিও দিচ্ছে তবুও থেমে নেই এদের দৌরাত্ব। বলার অপেক্ষা রাখে না যে এধরনের অনলাইন শপগুলো চুরি নয় ডাকাতি করছে বললেও কম বলা হবে। এরকম অসংখ্য ব্যাঙের ছাতার মতো অনলাইন শপিংয়ের নামে ক্রেতাদের পকেট কেটে সর্ব শান্ত করছে।

তাই অনলাইনে কেনাকাটার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তাহলে এড়াতে পারবেন প্রতারণা। আপনি যে ওয়েবসাইট বা পেইজ থেকে পণ্য কিনবেন, সেটি ভালো করে যাচাই করে নিন। অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশের জন্য নতুন করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, এর ফলে আপনার বিভিন্ন তথ্য ওই ওয়েবসাইটে চলে যায়। তাই যে কোনো ওয়েবসাইটে আগেই অ্যাকাউন্ট খুলবেন না। প্রচারক চক্ররা এখন বিখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন ওয়েবসাইটের সবকিছু নকল করে থাকে। বানান বা ডিজাইনে সামান্য পরিবর্তন এনে এসব ফেক সাইট খোলা হয়। তাই যে কোনো শপিং সাইটে ব্যক্তিগত বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য প্রবেশ করানোর আগে দেখুন পৃষ্ঠার ওয়েব ঠিকানা ‘https:’ দিয়ে শুরু হচ্ছে নাকি ‘http:’। যদি প্রথমটি হয় তাহলে বুঝবেন সেটি সুরক্ষিত নয়।

অনলাইনে কোনো পণ্য কেনার আগে ওই কোম্পানি বা পেইজের সুনাম কেমন তা যাচাই করেন। এক্ষেত্রে আপনি রিভিউ দেখতে পারেন। যদি সব রিভিউগুলোই ইতিবাচক হয়, তাহলে সেখান থেকে ক্রয় করতে পারেন। কোথাও অফার বা ডিসকাউন্ট দেখলে সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করবেন না। কারণ অফারের পণ্যগুলোর মান ততটা ভালো হয়। এক্ষেত্রে নকল পণ্য হাতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

আবার যদি কোনো ই-স্টোর আপনাকে খুব কম দামে ভালো পণ্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলেও সতর্ক থাকুন। একই পোশাক যদি এক স্থানে দেখেন বেশি দাম ও অন্য স্থানে কম, তাহলে কিন্তু দ্রুত তা কিনতে যাবেন না। কারণ পোশাকের ডিজাইন একই হলেও মেটেরিয়ালে হেরফের থাকতে পারে। ঠিক তেমনই কসমেটিক্স বা সানগ্লাস, বেল্ট, ঘড়ি ইত্যাদি ভালো ব্র্র্যান্ডের জিনিসের রেপ্লিকাও এখন বাজারে আছে। তাই বুঝে শুনে তবেই কিনুন।

বিভিন্ন উৎসব ও উপলক্ষকে কেন্দ্র করে অনেক প্রতিষ্ঠানই চটদার বিজ্ঞাপন দেয়। যা দেখে অনেকেই নির্দিষ্ট পণ্য কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। ‘এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য’ এই কথার মাধ্যমে ক্রেতাদেরকে প্রলুব্ধ করা হয়। তাই এমন বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য কেনার আগে ১০ বার ভাবুন। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন উৎসবের আগে অনলাইনের বিভিন্ন পেইজ ‘ডেলিভারি চার্জ ফ্রি’ কিংবা ‘একটি কিনলে ২টি ফ্রি’ ইত্যাদি অফার গ্রহণ করে মানহীন পণ্য কিনবেন না। অনলাইনে পণ্য কেনার আগে সব বিষয় যাচাই করুন। বিশেষ করে পোশাক কেনার ক্ষেত্রে রং, কাপড়ের কোয়ালিট, সাইজ ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে তবেই অর্ডার করুন। এতে পণ্য পাওয়ার পর আর আফসোস করতে হবে না। অনেক সময় ছবির সঙ্গে বাস্তবের পণ্যের মিল থাকে না, এজন্য থেকেই বিক্রেতার কাছ থেকে ওই পণ্যের আসল ছবি দেখে নিন।

যেসব ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজ ক্রেতার কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আবদার করেন, সেখান থেকে পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ক্যাশ অন হোম ডেলিভারি নিতে পারে। এতে করে আপনি পণ্য দেখে শুনে সব ঠিক থাকলে তবেই টাকা ডেলিভারি ম্যানের হাতে ধরিয়ে দিতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে বা ফেসবুকে লোভনীয় বিভিন্ন অফারের কোনো পপআপ, ই-মেইলে পাওয়া কোনো ফিশিং লিংকে ক্লিক করা কিংবা পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনলাইনে কেনাকাটা না করাই ভালো। এতে হ্যাকাররা সহজেই আপনার ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন তথ্যাদি চুরি করতে পারবে।