গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি.মহামারী করোনা ভাইরাসসহ ঈদ পুজা ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষের আপদে বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আতিয়ার রহমান বাঁধন। তিনি ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সমাজের পিছিয়ে পরা অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন সর্বদা।
তার এই মানবিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক বনলতাকে বলেন, “মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য,একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু” ভূপেন হাজারিকার এই কাল জয়ী গানই আমাকে মানব সেবায় অনুপ্রিানিত করেছে। প্রতিটি মানুষকেই সময় হলে চলে যাবে পৃথিবী ছেড়ে। আমাকেও চলে যেতে হবে এক সময়। এটাই বাস্তবতা। এছাড়া মানুষের সেবায় যে কি শান্তি সেটা কাছে থেকে না দেখলে বুঝার উপায় নেই। আমি আজীবন রাজনীতির পাশাপাশি মানব সেবায় নিজেকে ব্রত রাখতে চাই। মহান আল্লাহ যেন আমাকে সেই শক্তি দান করেন। গতকাল শনিবার গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত প্রায় ছয় শতাধিক অসহায় ছিন্নমুল, এতিম শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন পোশাক উপহার বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার চাঁচকৈড় শিক্ষাসংঘ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিজস্ব অর্থায়নে ওই পোশাক বিতরণ করছিলেন তিনি। এসময় কথা হয় মশিন্দা ইউনিয়ন থেকে আসা নাবিলা, বৃষ্টি ও অনঞ্জনার সাথে, নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করে জানায়, আর দুইদিন পরেই ঈদ। বাবা দিনমজুরী করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চালানোই দায়। তার উপর নতুন পোষাক কেনা তো দুরের কথা কল্পনাতেও ভাবা কষ্টকর। পুর্ব ঘোষনা ছাড়াই শনিবার সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি বাঁধন তার লোকজন পাঠিয়ে অসহায় ছিন্নমুল পরিবারের ছেলে-মেয়েদের চাঁচকৈড় শিক্ষা সংঘে আসতে বলেন। সেখানে আসার পর নিজেদের পছন্দ মত পোষাক বেঁছে নিতে পারবে সেটাও ধারনা ছিলোনা তাদের। ঈদ উপলক্ষে পছন্দের নতুন পোষাক পেয়ে আবেক আপ্লুত হয়ে পরে নাবিলা,বৃষ্টির মত অসহায় কিশোর-কিশোরী ও শিশুরা। বাঁধনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
আতিয়ার রহমানের বাবা আলহাজ্ব আমানত শেখ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার অসহায় দরিদ্র পরিবারের শিশু-কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ঈদের পোশাক বিতরণ করেছেন তার ছেলে বাধঁন। দরিদ্রদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করলে মনে প্রশান্তি আসে। যতদিন বেঁচে থাকবেন তিনি তার ছেলেকে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করে যাবেন বলেও জানান।
ছাত্রলীগ সভাপতির এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক নেতৃবর্গও তার পাশে ছিলেন। অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. রোকসানা আক্তার লিপি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাঁধনের বাবা আলহাজ্ব আমানত আলী শেখসহ পৌরসভার কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলে বলেন,অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বাঁধনের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।