শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২
  • ২২৭ Time View

ঈদুল ফিতরের ২য় দিনে গুরুদাসপরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সব বয়সি মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বুধবার গুরুদাসপুরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটেছেন বিনোদন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে

ঈদের ২য় দিনে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটি থাকায় আরো জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ। বাঁধভাঙ্গা আনন্দ আর উল্লাসে ভাসছে চলনবিলের বিনোদন কেন্দ্রসহ পুরো উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমিরা জানান , ঈদের দিন ব্যাস্ত থাকার কারনে ঘুরতে বের হতে পারিনি। এজন্য পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঈদের ২য় দিন ঘুরতে বেরিয়েছি।
আনন্দ নগর শিশু পার্কে আনন্দ খুঁজতে মেয়ে সিঁথীকে নিয়ে ঘুড়তে এসেছেন মা জেসমিন ডেইজি । তিনি জানান, সময় পেলেই ঘুরতে বের হই। আজ ঈদের ২য় দিন তাই মেয়েকে নিয়ে আনন্দ নগর শিশু পার্কে ঘুরতে আসলাম। সে খুব উপভোগ করেছ। সাথে অন্যান্য শিশুদের পেয়ে আনন্দে আত্বহারা। এরকম বিনোদন কেন্দ্র প্রতিটি উপজেলাতেই থাকা দরকার। কারন শিশুদের মানসিক বিকাশে বিনোদন অপরিহার্য।

বুধবার গুরুদাসপুরের বলনবিল মা জননী সেতু এলাকা ,আনন্দ নগর শিশু পার্ক, খুবজীপুরে চলনবিল যাদুঘর, এছাড়া চাঁচকৈড় বাজারের গিয়াসের মোড়ে আনন্দ সিনেপ্লেক্সে চলছে সিনেমা প্রেমিদের উপচেপরা ভির। সরেজমিনে দেখাযায়, ওই সিনেপেলক্সে চলছে ছায়া ছবি “বিদ্রোহী” । রিতীমতো বিদ্রোহ করেই কাটতে হচ্ছে টিকিট। প্রিয় তারকার ছবি দেখতে হলে সিনেমাপ্রেমীদের লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট কিনতে দেখা গেছে।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখতে আসা প্রিন্স মাহমুদ বলেন, বড় পর্দায় ছবি দেখতে খুব মজা লাগে। কিন্তু দেশের সাংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে হলসহ নাটক,যাত্রাপালার মতো বাস্তবধর্মী বিনোদন প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেই সাথে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ইতিহ্য ফিরে আনা দরকার। অন্যথায় বিদেশী সাংস্কৃতি ‍ও আকাশ সাংস্কৃতির কারনে আমাদের দেশীয় সাংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। এবছর উপজেলার চাঁচকৈড়ে নতুন এই সিনেপ্লেক্স করার কারনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সেই পুর্বের মতোই সিনেমা দেখতে পাচ্ছি। এতে করে আমাদের হারানো ইতিহ্য ফিরে পাবো বলে আশা করছি।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সের স্বত্যাধিকারী মোঃ আনিসুর রহমান জানান, ছোট বেলা থেকেই ছায়াছবির প্রতি একটা অন্য রকম ভালোবাসা ছিলো। সে কারনেই দেশীয় সাংস্কৃতিকে ধরে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।  নাটোর জেলায় হাজারো কোটিপতি থাকলেও কেউ সিনেমা হল নির্মানে এগিয়ে আসেনি। আমি দেশীয় ওইতিহ্যকে ধরে রাখতেই নাটোর জেলার একমাত্র সিনেমা হল সিনেপ্লেক্স প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সরকারী অনুদান পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরো বড় পরিসরে করার ইচ্ছা রয়েছে।
রাসেল নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জানান, সরকার যদি দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সিনেমা হল আর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহায়তা করতো তাহলে দেশ আপসাংস্কৃতির হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেত।

অপরদিকে চলনবিল এলাকায় স্থানীয় সাংসদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের হাতের ছোঁয়ায় অভুতপূব উন্নয়ন হয়েছে। যার কারনে প্রতিটি স্থাপনাই যেন এক একটি বিনোদন কেন্দ্র স্পটে পরিনত হয়েছে। মা জননী সেতু তার জলন্ত উদাহরণ। এছাড়া চলনবিল যাদুঘর নাটোর জেলার এক মাত্র প্রতিষ্ঠান । তাঁর ইচ্ছা চলনবিলকে বাঁচিয়ে রেখে আশপাশ দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করে গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামকে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জননেতৃী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা দেশবাসীকে অবগত করা।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

গুরুদাসপরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

Update Time : ০৮:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ মে ২০২২

ঈদুল ফিতরের ২য় দিনে গুরুদাসপরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সব বয়সি মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বুধবার গুরুদাসপুরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা যায়, কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটেছেন বিনোদন ও দর্শনীয় স্থানগুলোতে

ঈদের ২য় দিনে সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটি থাকায় আরো জমে উঠেছে ঈদ আনন্দ। বাঁধভাঙ্গা আনন্দ আর উল্লাসে ভাসছে চলনবিলের বিনোদন কেন্দ্রসহ পুরো উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসা বিনোদন প্রেমিরা জানান , ঈদের দিন ব্যাস্ত থাকার কারনে ঘুরতে বের হতে পারিনি। এজন্য পরিবার বা বন্ধুদের নিয়ে ঈদের ২য় দিন ঘুরতে বেরিয়েছি।
আনন্দ নগর শিশু পার্কে আনন্দ খুঁজতে মেয়ে সিঁথীকে নিয়ে ঘুড়তে এসেছেন মা জেসমিন ডেইজি । তিনি জানান, সময় পেলেই ঘুরতে বের হই। আজ ঈদের ২য় দিন তাই মেয়েকে নিয়ে আনন্দ নগর শিশু পার্কে ঘুরতে আসলাম। সে খুব উপভোগ করেছ। সাথে অন্যান্য শিশুদের পেয়ে আনন্দে আত্বহারা। এরকম বিনোদন কেন্দ্র প্রতিটি উপজেলাতেই থাকা দরকার। কারন শিশুদের মানসিক বিকাশে বিনোদন অপরিহার্য।

বুধবার গুরুদাসপুরের বলনবিল মা জননী সেতু এলাকা ,আনন্দ নগর শিশু পার্ক, খুবজীপুরে চলনবিল যাদুঘর, এছাড়া চাঁচকৈড় বাজারের গিয়াসের মোড়ে আনন্দ সিনেপ্লেক্সে চলছে সিনেমা প্রেমিদের উপচেপরা ভির। সরেজমিনে দেখাযায়, ওই সিনেপেলক্সে চলছে ছায়া ছবি “বিদ্রোহী” । রিতীমতো বিদ্রোহ করেই কাটতে হচ্ছে টিকিট। প্রিয় তারকার ছবি দেখতে হলে সিনেমাপ্রেমীদের লম্বা লাইন দিয়ে টিকিট কিনতে দেখা গেছে।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সে ছবি দেখতে আসা প্রিন্স মাহমুদ বলেন, বড় পর্দায় ছবি দেখতে খুব মজা লাগে। কিন্তু দেশের সাংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে হলসহ নাটক,যাত্রাপালার মতো বাস্তবধর্মী বিনোদন প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। সেই সাথে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর ইতিহ্য ফিরে আনা দরকার। অন্যথায় বিদেশী সাংস্কৃতি ‍ও আকাশ সাংস্কৃতির কারনে আমাদের দেশীয় সাংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে। এবছর উপজেলার চাঁচকৈড়ে নতুন এই সিনেপ্লেক্স করার কারনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সেই পুর্বের মতোই সিনেমা দেখতে পাচ্ছি। এতে করে আমাদের হারানো ইতিহ্য ফিরে পাবো বলে আশা করছি।

আনন্দ সিনেপ্লেক্সের স্বত্যাধিকারী মোঃ আনিসুর রহমান জানান, ছোট বেলা থেকেই ছায়াছবির প্রতি একটা অন্য রকম ভালোবাসা ছিলো। সে কারনেই দেশীয় সাংস্কৃতিকে ধরে রাখতেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।  নাটোর জেলায় হাজারো কোটিপতি থাকলেও কেউ সিনেমা হল নির্মানে এগিয়ে আসেনি। আমি দেশীয় ওইতিহ্যকে ধরে রাখতেই নাটোর জেলার একমাত্র সিনেমা হল সিনেপ্লেক্স প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। সরকারী অনুদান পেলে প্রতিষ্ঠানটি আরো বড় পরিসরে করার ইচ্ছা রয়েছে।
রাসেল নামের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জানান, সরকার যদি দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সিনেমা হল আর বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে সহায়তা করতো তাহলে দেশ আপসাংস্কৃতির হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেত।

অপরদিকে চলনবিল এলাকায় স্থানীয় সাংসদ নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের হাতের ছোঁয়ায় অভুতপূব উন্নয়ন হয়েছে। যার কারনে প্রতিটি স্থাপনাই যেন এক একটি বিনোদন কেন্দ্র স্পটে পরিনত হয়েছে। মা জননী সেতু তার জলন্ত উদাহরণ। এছাড়া চলনবিল যাদুঘর নাটোর জেলার এক মাত্র প্রতিষ্ঠান । তাঁর ইচ্ছা চলনবিলকে বাঁচিয়ে রেখে আশপাশ দিয়ে বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করে গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামকে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে জননেতৃী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা দেশবাসীকে অবগত করা।