শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২
  • ৩৫ Time View

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য রওশনারা আক্তার রুমা নামের এক গৃহবধুকে মারপিট করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শশুড় ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধুর বাবা আব্দুল রউফ বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গৃহবধু রুমার বাবা আব্দুল রউফ বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে বৃ-গড়িলা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে সেলিম মালিকের সাথে তার মেয়ের বিবাহ দিয়েছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য তার মেয়ে রুমাকে শশুড় বাড়ির লোকজন মিলে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে যৌতুক হিসাবে ৪ লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র প্রদান করেন মেয়ের বাবা। তারপরও যৌতুকের টাকা দিতে অসস্বীকার করায় তার মেয়ে রুমাকে মারধর করে বিভিন্ন সময়।
এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এক ছেলে এক মেয়ে থাকায় নির্যাতন সহ্য করেই সংসার করে আসছেন রুমা। পরে গত শুক্রবার তার মেয়ে রুমার কাছে যৌতুক হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী সেলিম মালিক। সেই টাকা দিতে অস্বিকার করায় স্বামী,শশুড় ও শাশুড়ি মিলে মারপিট শুরু করে। তার মেয়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে রুমা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারপিট

Update Time : ১০:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ মে ২০২২

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের জন্য রওশনারা আক্তার রুমা নামের এক গৃহবধুকে মারপিট করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শশুড় ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের বৃ-গড়িলা গ্রামে। এ ঘটনায় আহত গৃহবধুর বাবা আব্দুল রউফ বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গৃহবধু রুমার বাবা আব্দুল রউফ বলেন, প্রায় ১০ বছর পূর্বে বৃ-গড়িলা এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে সেলিম মালিকের সাথে তার মেয়ের বিবাহ দিয়েছিলেন। বিয়ের কিছুদিন পর যৌতুকের জন্য তার মেয়ে রুমাকে শশুড় বাড়ির লোকজন মিলে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। মেয়ের সুখের কথা ভেবে যৌতুক হিসাবে ৪ লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র প্রদান করেন মেয়ের বাবা। তারপরও যৌতুকের টাকা দিতে অসস্বীকার করায় তার মেয়ে রুমাকে মারধর করে বিভিন্ন সময়।
এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এক ছেলে এক মেয়ে থাকায় নির্যাতন সহ্য করেই সংসার করে আসছেন রুমা। পরে গত শুক্রবার তার মেয়ে রুমার কাছে যৌতুক হিসাবে ৫ লাখ টাকা দাবি করে স্বামী সেলিম মালিক। সেই টাকা দিতে অস্বিকার করায় স্বামী,শশুড় ও শাশুড়ি মিলে মারপিট শুরু করে। তার মেয়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে রুমা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মতিন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।