শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় মৃত বৃদ্ধার ফিরে আসা এবং উৎসুক জনতার ভীড়!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২
  • ৫৯ Time View

গাইবান্ধা প্রতিনিধি. গাইবান্ধায় কবর থেকে এক মৃত বৃদ্ধার ফিরে আসার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবের কারণে উৎসুক জনতা এক বিধবার বাড়িতে ভীড় জমায়।

সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বুধবার গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসি জানায়, প্রায় নয়মাস আগে শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকার ৯৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মারা যায়। শহরের পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। আজ সকালে আরেক বৃদ্ধা ওই এলাকার মাজেদা বেগমের বাড়িতে আসেন। মাজেদা ওই বৃদ্ধাকে তাঁর মা বলে দাবি করেন। পরে মাজেদার মৃত বৃদ্ধা মা কবর থেকে ফিরে এসেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের কারণে সকাল নয়টা থেকে এলাকার লোকজনের ওই বাড়িতে ভীড় করতে থাকে। ক্রমেই ভীড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মাজেদার বাড়িতে আসা ওই বৃদ্ধাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দুইটার দিকে ওই বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানতে চাইলে গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, নয়মাস আগে তাদের এলাকার বাসিন্দা মাজেদা বেগমের মা বৃদ্ধা বাছিরন বেওয়াকে কবরস্থ করা হয়। এটা সম্পন্ন গুজব। গাইবান্ধা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ও ডেভিড কোম্পানিপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কবির বলেন, গুজবের কারণে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভীড় করে। মাজেদার মাকে তিনি চিনেন। তাঁর বাড়িতে যে বৃদ্ধা এসেছিলেন, তিনি মাজেদার মা নন। অন্য এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধা।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আনুমানিক ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা সাতক্ষীরা জেলা থেকে গাইবান্ধায় এসেছেন। তিনি বেশ দুর্বল, বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। তার নাম পদ্ম রাণী বলে তিনি জানান। ওই বৃদ্ধা ডেভিড কোম্পানিপাড়া সংলগ্ন গাইবান্ধা রেলষ্টেশনে ছিলেন। সেখানে মাজেদা বেগম বৃদ্ধাকে দেখতে পান। তাকে মায়ের মত বলে মনে করেন। এরপর বেশকিছু সময় কথাবার্তা বলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই বৃদ্ধাকে মাজেদা বেগম নিজের মা বলে প্রচার করলে তাদের বাড়িতে ভীড় জমতে থাকে। তিনি আরও বলেন, বৃদ্ধা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য মাজেদা বেগমের বড়ভাই রিকশাচালক গেদা মিয়া বলেন, ওই বৃদ্ধা তার মা নন।

Tag :

গাইবান্ধায় মৃত বৃদ্ধার ফিরে আসা এবং উৎসুক জনতার ভীড়!

Update Time : ১০:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

গাইবান্ধা প্রতিনিধি. গাইবান্ধায় কবর থেকে এক মৃত বৃদ্ধার ফিরে আসার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গুজবের কারণে উৎসুক জনতা এক বিধবার বাড়িতে ভীড় জমায়।

সকাল নয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত এই অবস্থা চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ বুধবার গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসি জানায়, প্রায় নয়মাস আগে শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকার ৯৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মারা যায়। শহরের পৌর কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। আজ সকালে আরেক বৃদ্ধা ওই এলাকার মাজেদা বেগমের বাড়িতে আসেন। মাজেদা ওই বৃদ্ধাকে তাঁর মা বলে দাবি করেন। পরে মাজেদার মৃত বৃদ্ধা মা কবর থেকে ফিরে এসেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের কারণে সকাল নয়টা থেকে এলাকার লোকজনের ওই বাড়িতে ভীড় করতে থাকে। ক্রমেই ভীড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মাজেদার বাড়িতে আসা ওই বৃদ্ধাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দুইটার দিকে ওই বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানতে চাইলে গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোম্পানীপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, নয়মাস আগে তাদের এলাকার বাসিন্দা মাজেদা বেগমের মা বৃদ্ধা বাছিরন বেওয়াকে কবরস্থ করা হয়। এটা সম্পন্ন গুজব। গাইবান্ধা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি ও ডেভিড কোম্পানিপাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কবির বলেন, গুজবের কারণে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভীড় করে। মাজেদার মাকে তিনি চিনেন। তাঁর বাড়িতে যে বৃদ্ধা এসেছিলেন, তিনি মাজেদার মা নন। অন্য এলাকা থেকে আসা বৃদ্ধা।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আনুমানিক ৭০ বছরের ওই বৃদ্ধা সাতক্ষীরা জেলা থেকে গাইবান্ধায় এসেছেন। তিনি বেশ দুর্বল, বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না। তার নাম পদ্ম রাণী বলে তিনি জানান। ওই বৃদ্ধা ডেভিড কোম্পানিপাড়া সংলগ্ন গাইবান্ধা রেলষ্টেশনে ছিলেন। সেখানে মাজেদা বেগম বৃদ্ধাকে দেখতে পান। তাকে মায়ের মত বলে মনে করেন। এরপর বেশকিছু সময় কথাবার্তা বলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই বৃদ্ধাকে মাজেদা বেগম নিজের মা বলে প্রচার করলে তাদের বাড়িতে ভীড় জমতে থাকে। তিনি আরও বলেন, বৃদ্ধা বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য মাজেদা বেগমের বড়ভাই রিকশাচালক গেদা মিয়া বলেন, ওই বৃদ্ধা তার মা নন।