পুঠিয়া(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর আমের জন্যে বিখ্যাত বৃহত্তম বানেশ্বর বাজারে আজ ১৩ মে থেকে গুটি জাতের পাকা আম বিক্রি শুরু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোন জাতের আম কবে পাড়া যাবে তা নির্ধারন করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনানুসারে ১৩ মে থেকে শুরু হয়ে মৌসুম চলবে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত।
গুটি আম ১৩ মে, গোপাল ভোগ ২০ মে, লক্ষণভোগ ও রানীপছন্দ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন, আশ্বিনা ও বারি-৪ আম ১০ জুলাই, গোলমতী ১৫ জুলাই, ইলমতি জাতের আম ২০ আগস্ট গাছ থেকে পাড়া যাবে ।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যাতে অপরিপক্ক আম বাজারজাত করতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী খেয়াল রাখবে। বাগানমালিক ও পাইকাররা বলছেন, এবার গাছে আম কম থাকায় গতবারের চেয়ে দাম ভাল যাবে বলে তারা আশা করছেন।
আজ শুক্রবার বাজারে ওঠা গুঠি আম বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায়। কাচামিঠা আম প্রতি মণ ১৮০০ টাকায় এবং আঁটি আম বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায়।এদিকে এখনো বাজারে আসতে বাকি আরও বেশ কিছু জাতের আম। পাইকাররা বলছেন,আগামীতে অন্যান্য জাতের আম উঠলে বেচা-কেনা বাড়বে। গতবছরের তুলনায় এবার আমের দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর পুঠিয়া উপজেলায় ১৫৩০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা গত বছরও ১৫৩০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছিলো এবং উৎপাদন লক্ষমাত্র ছিলো ১৮ হাজার ৫৩৪ মেট্রিক টন আম।এব্যপারে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শামসুন্নাহার ভূঁইয়া জানান, এ বছর রাজশাহী অঞ্চলে আবহাওয়া ভালো থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে। তবে গতবারের চেয়ে আমের গাছে মুকুল কম থাকায় আমের লক্ষ্যমাত্রা এবছর কম। তাই কৃষক এবছর ন্যায্য মূল্য পাবে বলে আশা করি।