শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
  • ৩৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক মোহনপুর.রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই নারী ইউপি সদস্য বাদি মোহনপুর থানায় মজিবর রহমানসহ ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে জরুরি ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ওই নারী ইউপি সদস্যকে উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

মামলা ও এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার (১২ মে) রাত ৯টার সময় মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউপি সদস্য ও ৩ সন্তানের জননী (৪২) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন মজিবর রহমান তার বাড়িতে আটকে রেখে ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার (১৩ মে) ইউপি সদস্যকে বাড়িতে রেখে ভোররাতে মজিবর রহমান পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মজিবর রহমানের লোকজন গিয়ে নারী ইউপি সদস্যকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরকারি জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আসামি মজিবর রহমানসহ অন্য আসামিরা ইউপি সদস্যর কাছ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনতাই ও মারপিটের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদেও (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউপি সদস্যকে থানায় পাঠানো হয়েছে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। নারী ইউপি সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, ৯৯৯-এ ফোন করে উদ্ধার

Update Time : ০৭:১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক মোহনপুর.রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই নারী ইউপি সদস্য বাদি মোহনপুর থানায় মজিবর রহমানসহ ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে জরুরি ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ওই নারী ইউপি সদস্যকে উদ্ধারের পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

মামলা ও এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার (১২ মে) রাত ৯টার সময় মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের ধোরশা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত সেফাতুল্লাহর ছেলে মজিবর রহমান (৪৭) জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের বর্তমান নারী ইউপি সদস্য ও ৩ সন্তানের জননী (৪২) বিয়ের প্রলোভন দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুদিন মজিবর রহমান তার বাড়িতে আটকে রেখে ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার (১৩ মে) ইউপি সদস্যকে বাড়িতে রেখে ভোররাতে মজিবর রহমান পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে মজিবর রহমানের লোকজন গিয়ে নারী ইউপি সদস্যকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরকারি জরুরি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে মোহনপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে আসামি মজিবর রহমানসহ অন্য আসামিরা ইউপি সদস্যর কাছ থেকে ২ লাখ ৪ হাজার টাকা ছিনতাই ও মারপিটের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদেও (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী বলেন, বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউপি সদস্যকে থানায় পাঠানো হয়েছে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় ধর্ষণের মামলা হয়েছে। নারী ইউপি সদস্যকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযানে অব্যাহত রয়েছে।