শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতে ১৬ বছরেই বিয়ে করতে পারবে মুসলিম মেয়েরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২
  • ৯৫ Time View

বনলতা অনলাইন ডেস্ক. ১৬ বছর বয়স হলেই মুসলিম মেয়েরা বিয়ে করতে পারবে বলে জানিয়ে দিলো পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।ভারতে এমনিতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। সম্প্রতি মোদী সরকার বিল এনে পুরুষদের মতো মেয়েদের বিয়ের বয়সও ২১ বছর করতে চেয়েছে।

এই অবস্থায় পাঞ্জাবে ২১ বছর বয়সী ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী মেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছিল, তারা বিয়ে করার পর ভয় পাচ্ছে। হাইকোর্ট এখন পরিবারের মানুষদের কাছ থেকে তাদের জীবনরক্ষার ব্যবস্থা করুক ও তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করুক। এই মামলার রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, মুসলিম মেয়েরা ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে। বিচারপতি জয়জিৎ সিং বেদীর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, মুসলিম আইনে বয়ঃসন্ধিতে পা দেয়া মানেই বড় হয়ে যাওয়া। তখন ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করতে পারে। তাদের পরিবার বা অভিভাবকরা কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

গত ৮ জুন ওই ছেলে ও মেয়েটি বিয়ে করে। তারপর তাদের মনে হয়, তাদের জীবনের আশঙ্কা আছে। তারা পাঠানকোটের এসপি-কে বিষয়টি জানায়। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তখন তারা হাইকোর্টে আবেদন জানায়।

বিচারপতি বেদী বলেছেন, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, মুসলিম মেয়েদের বিয়ে হবে মুসলিম পার্সোনাল আইন অনুসারে। প্রিন্সিপালস অফ মহমেডান ল-র ১৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে এই বিয়ে আইনসিদ্ধ। কারণ, মেয়ের বয়স ১৬ বছরের বেশি। তাই সে তার জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারবে। আর ছেলের বয়স ২১ বছর বলে সেও বিয়ে করার অধিকারী। বিচারপতি পাঠানকোটের এসপি-কে বলেছেন, এই দম্পতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে।

Tag :

ভারতে ১৬ বছরেই বিয়ে করতে পারবে মুসলিম মেয়েরা

Update Time : ০৮:১১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জুন ২০২২

বনলতা অনলাইন ডেস্ক. ১৬ বছর বয়স হলেই মুসলিম মেয়েরা বিয়ে করতে পারবে বলে জানিয়ে দিলো পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।ভারতে এমনিতে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। সম্প্রতি মোদী সরকার বিল এনে পুরুষদের মতো মেয়েদের বিয়ের বয়সও ২১ বছর করতে চেয়েছে।

এই অবস্থায় পাঞ্জাবে ২১ বছর বয়সী ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী মেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলেছিল, তারা বিয়ে করার পর ভয় পাচ্ছে। হাইকোর্ট এখন পরিবারের মানুষদের কাছ থেকে তাদের জীবনরক্ষার ব্যবস্থা করুক ও তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করুক। এই মামলার রায়ে হাইকোর্ট বলেছে, মুসলিম মেয়েরা ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে। বিচারপতি জয়জিৎ সিং বেদীর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, মুসলিম আইনে বয়ঃসন্ধিতে পা দেয়া মানেই বড় হয়ে যাওয়া। তখন ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করতে পারে। তাদের পরিবার বা অভিভাবকরা কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

গত ৮ জুন ওই ছেলে ও মেয়েটি বিয়ে করে। তারপর তাদের মনে হয়, তাদের জীবনের আশঙ্কা আছে। তারা পাঠানকোটের এসপি-কে বিষয়টি জানায়। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তখন তারা হাইকোর্টে আবেদন জানায়।

বিচারপতি বেদী বলেছেন, আইনে স্পষ্ট বলা আছে, মুসলিম মেয়েদের বিয়ে হবে মুসলিম পার্সোনাল আইন অনুসারে। প্রিন্সিপালস অফ মহমেডান ল-র ১৯৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে এই বিয়ে আইনসিদ্ধ। কারণ, মেয়ের বয়স ১৬ বছরের বেশি। তাই সে তার জীবনসঙ্গী বেছে নিতে পারবে। আর ছেলের বয়স ২১ বছর বলে সেও বিয়ে করার অধিকারী। বিচারপতি পাঠানকোটের এসপি-কে বলেছেন, এই দম্পতির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে।