বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে  আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২টি ব্যারাক প্রশাসনকে হস্তান্তর করলো সেনাবাহিনী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২
  • ৭৪ Time View

গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি. নাাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বৃচাপিলায় গৃহহীন ও ছিন্নমূল জনগণের জন্য নির্মিত ২২টি ব্যারাক ৪ জুলাই সোমবার স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ই বেঙ্গলের ১১ পদাতিক ডিভিশন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনবিাহিনী এই ব্যারাক হাউজসমূহ নির্মাণ করেন। প্রতিটি ব্যারাকে পাঁচটি করে মোট ১১০টি ইউনিট রয়েছে। যার প্রতিটিতে একটি করে পরিবার থাকতে পারবে। প্রতিটি ব্যারাকে পৃথক রান্নাঘর ও বাথরুমের সুবিধাসহ নলকুপ রয়েছে। ঝড় বৃষ্টি ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যারাকসমূহের কাজ চলমান রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ হতে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন এবং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর নির্মিত আবাসন ব্যারাকগুলো বুঝে নেন। এ সময় প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এমপি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘর হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন রাফিদ সাদমান আজাদ ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াদুদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আকতার লিপি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান,ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুট্টোসহ প্রকল্পবাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ঠ সদস্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মোট ৫ একর ৪৩ শতক জায়গা ডোবানালা হিসেবে দীর্ঘ দিন প্রভাবশালীদের দখলে ছিলো। সেটি প্রশাসনের সহায়তায় দখলমুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কাজ মাত্র মাত্র ৪ মাসে সমাপ্ত করেন সেনাবাহিনী। এসময় তিনি সুষ্টভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ সমপুর্ণ করায় ১১ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

Tag :

গুরুদাসপুরে  আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২২টি ব্যারাক প্রশাসনকে হস্তান্তর করলো সেনাবাহিনী

Update Time : ০৫:০৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ জুলাই ২০২২

গুরুদাসপুর(নাটোর) প্রতিনিধি. নাাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বৃচাপিলায় গৃহহীন ও ছিন্নমূল জনগণের জন্য নির্মিত ২২টি ব্যারাক ৪ জুলাই সোমবার স্থানীয় প্রশাসনের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ই বেঙ্গলের ১১ পদাতিক ডিভিশন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সেনবিাহিনী এই ব্যারাক হাউজসমূহ নির্মাণ করেন। প্রতিটি ব্যারাকে পাঁচটি করে মোট ১১০টি ইউনিট রয়েছে। যার প্রতিটিতে একটি করে পরিবার থাকতে পারবে। প্রতিটি ব্যারাকে পৃথক রান্নাঘর ও বাথরুমের সুবিধাসহ নলকুপ রয়েছে। ঝড় বৃষ্টি ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যারাকসমূহের কাজ চলমান রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ হতে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন এবং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীর নির্মিত আবাসন ব্যারাকগুলো বুঝে নেন। এ সময় প্রধান আতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস এমপি। আনুষ্ঠানিকভাবে ওই ঘর হস্তান্তর করেন সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন রাফিদ সাদমান আজাদ ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওয়াদুদ হাসান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আকতার লিপি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হান্নান,ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন ভুট্টোসহ প্রকল্পবাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ঠ সদস্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, মোট ৫ একর ৪৩ শতক জায়গা ডোবানালা হিসেবে দীর্ঘ দিন প্রভাবশালীদের দখলে ছিলো। সেটি প্রশাসনের সহায়তায় দখলমুক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। যে কাজ মাত্র মাত্র ৪ মাসে সমাপ্ত করেন সেনাবাহিনী। এসময় তিনি সুষ্টভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কাজ সমপুর্ণ করায় ১১ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।