লালমনিরহাট প্রতিনিধি. লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় রবিউল আউয়াল নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ। শনিবার বিকেলে উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের টেপারহাট এলাকায় নিজবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত রবিউল আউয়াল ওই উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের টেপারহাট (হরিদাস) এলাকার মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালের দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়া পথচারীরা রবিউলের বাড়ির সামনে দুর্গন্ধ পায়। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে কয়েকজন রবিউলের ঘরের ভেতরে জানালা দিয়ে তাকাতেই একটি অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। পরে ঘরের দরজা ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায় এবং ভেতরে প্রবেশ করে মরদেহটি রবিউলের বলে শনাক্ত করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের বড়ভাই নজরুল ইসলাম জানান, রবিউল একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। এ কারণে কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। ১৭ বছরের তার একটি ছেলে ও ১০ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মানসিক সমস্যা থাকার কারণে রবিউল প্রায় সে তার ছেলেমেয়েকে মারধর করতো। এ কারণে মেয়েটিকে তার মামারা নিয়ে যায় আর ছেলেটি ডিস লাইনের কাজ করে বাজারের পাশেই তার নানি বাড়িতে থাকে। সে তার বাড়িতে নিয়মিত নেশা করতো বলে সেখানে কাউকে যেতে দিত না। কেউ গেলে সেই ব্যক্তিকে মারধর করতো। এজন্য ভয়ে রবিউলের বাড়িতে কেউ যেতো না।
তার সাথে কারও কোনো শত্রুতা আছে কিনা বা তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহত রবিউলের সাথে সবার সুসম্পর্ক ছিল। তাকে সবাই ভাল জানে। এই কিছুদিন হলো তার মাথায় একটু সমস্যা দেখা দেয়। সাপ্টিবাড়ি বাজারে তার একটি ওষুধের দোকানও ছিল। পরে আসতে আসতে সে নেশায় আসক্ত হলে তার পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হয়। তাই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। খুব সম্ভবত সে নেশা করেই মারা যেতে পারে বলে তিনি জানান।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, এটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু আগে কিছুই বলা যাবে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে, রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টা জানা যাবে। তারপরেও পুলিশ নিহত যুবকের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে কাজ করছে।