শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন শিক্ষার্থী!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২
  • ৭৮ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. ভালোবাসা মানে না স্থান-কাল-পাত্র আর বয়স। ভালোবাসার সিমাহীন শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। সমাজের চোখে যা অসংগতিপূর্ণ, প্রেমের ক্ষেত্রে তা খুব সহজেই আশকারা পায়। তারই বাস্তব উদাহরণ মামুন(২২) ও খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। ৬ মাস প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ওই দম্পতি। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় তাদের বাড়ি।

মামুন ও খাইরুন নাহার দম্পতি সূত্রে জানাযায়, উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলায়। সেই স্বামীর একজন সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহে সংসার বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তারপর কেটে যায় অনেকদিন। একাকিত্ত আর হতাশায় প্রতিটি দিন কাটতো খাইরুন নাহারের। একাকিত্তের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুন এর সাথে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথমে পরিচয় তারপর গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। ১৩ মাসের সম্পর্কে রয়েছে ভালবাসার গভীরতা। আর এই গভীরতা থেকেই বিয়ে করেন তারা। ৬ মাস আগে বিয়ে করলেও সেটি আত্মগোপনেই ছিলো। সম্প্রতি বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পরে সোস্যাল মিডিয়ায়।

খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেন তিনি। প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহুর্ত কাটতো বিষন্নতায় । কয়েকে বার আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নেন তিনি। কিন্তু পরকালের কথা চিন্তা করে ওই পথ থেকে সরে আসেন তিনি। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন তার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখান। মামুন মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে এই বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও তার পরিবার মেনে নেয়নি। সামাজিক ভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য থাকলেও তোয়াক্কা না করে নতুন করে সংসার শুরু করেছেন এই নব দম্পত্বি। আজীবন সংসার করে যেতে চান তারা ।

মামুন বলেন, মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা। কে কি বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছেন। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ওইদম্পতি।

Tag :

কলেজ শিক্ষিকাকে বিয়ে করলেন শিক্ষার্থী!

Update Time : ০১:২২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. ভালোবাসা মানে না স্থান-কাল-পাত্র আর বয়স। ভালোবাসার সিমাহীন শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। সমাজের চোখে যা অসংগতিপূর্ণ, প্রেমের ক্ষেত্রে তা খুব সহজেই আশকারা পায়। তারই বাস্তব উদাহরণ মামুন(২২) ও খাইরুন নাহার (৪০) দম্পতি। ৬ মাস প্রেমের সম্পর্কের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ওই দম্পতি। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় তাদের বাড়ি।

মামুন ও খাইরুন নাহার দম্পতি সূত্রে জানাযায়, উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খাইরুন নাহার। প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলায়। সেই স্বামীর একজন সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহে সংসার বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তারপর কেটে যায় অনেকদিন। একাকিত্ত আর হতাশায় প্রতিটি দিন কাটতো খাইরুন নাহারের। একাকিত্তের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুন এর সাথে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। নাটোর এন এস সরকারী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রথমে পরিচয় তারপর গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। ১৩ মাসের সম্পর্কে রয়েছে ভালবাসার গভীরতা। আর এই গভীরতা থেকেই বিয়ে করেন তারা। ৬ মাস আগে বিয়ে করলেও সেটি আত্মগোপনেই ছিলো। সম্প্রতি বিয়ের খবরটি ছড়িয়ে পরে সোস্যাল মিডিয়ায়।

খাইরুন নাহার জানান, প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেন তিনি। প্রতিটা দিন প্রতিটা মুহুর্ত কাটতো বিষন্নতায় । কয়েকে বার আত্মহত্যার সিদ্ধান্তও নেন তিনি। কিন্তু পরকালের কথা চিন্তা করে ওই পথ থেকে সরে আসেন তিনি। ঠিক সেই সময় ফেসবুকে পরিচয় হয় মামুনের সাথে। মামুন তার খারাপ সময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়েছেন এবং নতুন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখান। মামুন মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে। আর সেই ভালবাসা থেকেই দুজনের সিদ্ধান্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে এই বিয়ের পর মামুনের পরিবার মেনে নিলেও তার পরিবার মেনে নেয়নি। সামাজিক ভাবে বিভিন্ন মহলে নানা কুৎসিত মন্তব্য থাকলেও তোয়াক্কা না করে নতুন করে সংসার শুরু করেছেন এই নব দম্পত্বি। আজীবন সংসার করে যেতে চান তারা ।

মামুন বলেন, মন্তব্য কখনও গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা। কে কি বললো সেগুলো মাথায় না নিয়ে নিজেদের মতো সংসার গুছিয়ে নিয়ে জীবন শুরু করেছেন। সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন ওইদম্পতি।