মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রৌমারীতে উপবৃত্তি বঞ্চিত ১৬৯ জন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২
  • ৪৭ Time View

রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি. কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত প্রতিবাদে এবং পূন্যরায় ফেরত পাওয়ার জন্য মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। ২ আগষ্ট মঙ্গলবার ১২ টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের অবহেলার কারণে আবেদন ফরম নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় তারা বঞ্চিত হয়েছেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর দুই বছরের সব মিলে প্রায় ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার ২০০ টাকা শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পেতে অনলাইনে ফরম পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অধ্যক্ষের কাছে ফরমগুলো জমা দেয় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী। কিন্তুু শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব-অবহেলায় সঠিক সময়ে তথ্যগুলো এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ না করায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এঘটনায় ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীরা।

যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী রাজু আহম্মেদ,শাহানাজ পারভীনসহ আরও অনেকেই বক্তব্যে বলেন,উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরণ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু অধ্যক্ষের অবহেলার কারণে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। পূন্যরায় উপবৃত্তির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান।
এদিকে কয়েকজন অভিভাবক জানান, হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কিন্তু অধ্যক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পুনরায় উপবৃত্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারাও জোর দাবি জানান।

এবিষয় যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামকে এক প্রশ্নের জবাবে পাসকাটিয়ে যান পরে বলেন আমি গত ১৩ মার্চ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। পরে কিভাবে এতোগুলো শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে এটা বর্তমান দায়িত্ব থাকা অধ্যক্ষই বলতে পারবেন।

বর্তমান যাদুরচর কলেজ দায়িত্বরত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির কাগজ জমাদানের সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। কলেজ কমিটি আমাকে অবৈধ ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। আমি হাইকোর্ট থেকে বরখাস্ত মামলার মাধ্যমে খারিজ করে আনলেও আমাকে সময়মত দায়িত্ব নিতে বাধা গ্রস্থ হয়েছিলাম। উপবৃত্তির শেষ সময়ে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দায়িত্ব নেই। সে সময় উপবৃত্তির তথ্য পাঠানোর সময় ছিল না।

Tag :

রৌমারীতে উপবৃত্তি বঞ্চিত ১৬৯ জন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Update Time : ০৯:৩২:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ অগাস্ট ২০২২

রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি. কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত প্রতিবাদে এবং পূন্যরায় ফেরত পাওয়ার জন্য মানববন্ধন পালন করা হয়েছে। ২ আগষ্ট মঙ্গলবার ১২ টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তাদের অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের অবহেলার কারণে আবেদন ফরম নির্ধারিত সময়ে অনলাইনে পোস্টিং না করায় তারা বঞ্চিত হয়েছেন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর দুই বছরের সব মিলে প্রায় ১৮ লক্ষ ২৫ হাজার ২০০ টাকা শিক্ষা উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পেতে অনলাইনে ফরম পূরণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অধ্যক্ষের কাছে ফরমগুলো জমা দেয় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী। কিন্তুু শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব-অবহেলায় সঠিক সময়ে তথ্যগুলো এন্ট্রি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ না করায় উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। এঘটনায় ইতিপূর্বে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীরা।

যাদুরচর ডিগ্রি কলেজ উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থী রাজু আহম্মেদ,শাহানাজ পারভীনসহ আরও অনেকেই বক্তব্যে বলেন,উপবৃত্তির টাকা পেতে অনলাইনে ফরম পূরণ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু অধ্যক্ষের অবহেলার কারণে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। পূন্যরায় উপবৃত্তির টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানান।
এদিকে কয়েকজন অভিভাবক জানান, হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। কিন্তু অধ্যক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় ১৬৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পুনরায় উপবৃত্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারাও জোর দাবি জানান।

এবিষয় যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামকে এক প্রশ্নের জবাবে পাসকাটিয়ে যান পরে বলেন আমি গত ১৩ মার্চ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। রফিকুল ইসলাম অধ্যক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। পরে কিভাবে এতোগুলো শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে এটা বর্তমান দায়িত্ব থাকা অধ্যক্ষই বলতে পারবেন।

বর্তমান যাদুরচর কলেজ দায়িত্বরত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির কাগজ জমাদানের সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। কলেজ কমিটি আমাকে অবৈধ ভাবে সাময়িক বরখাস্ত করেছিলেন। আমি হাইকোর্ট থেকে বরখাস্ত মামলার মাধ্যমে খারিজ করে আনলেও আমাকে সময়মত দায়িত্ব নিতে বাধা গ্রস্থ হয়েছিলাম। উপবৃত্তির শেষ সময়ে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে দায়িত্ব নেই। সে সময় উপবৃত্তির তথ্য পাঠানোর সময় ছিল না।