গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি. ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে হেঁটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন ৭১ বছর বয়সী মো. মোস্তফা। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১১ দিনে হেঁটেছেন ৩১৭ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে অবশেষে গন্তবে পৌছোন তিনি। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সামাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন । পরে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে ফুলপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে তিনি টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। মো. মোস্তফা ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছে এক প্রতিবেদকের কাছে আবেগ আর অনুভূতি নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার প্রতিবাদস্বরূপ ২৫ বছর জুতা পরিধান করেননি মো. মোস্তফা। এমনকি খালি পায়ে বিয়েও করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় ঘোষিত হলে ময়মনসিংহ-২(ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক ৫ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ভাষা সৈনিক মরহুম এম শামছুল হক তাকে জুতা কিনে দেন। এরপর থেকে তিনি জুতা পরিধান শুরু করেন।
মো. মোস্তফা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, এ দেশে আমরা বাস করতে পারতাম না। আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আসতে পেরে আমরা মনে তৃপ্তি এসেছে। আজকে শত শত লোক বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করতেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনা দেশের ব্যপক উন্নয়ন করছে।আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি শেখ হাসিনাকে যেন দীর্ঘায়ু দান করেন।’
বঙ্গবন্ধু প্রেমী মো. মোস্তফার ছেলে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমার বাবার আশা পূরণের জন্য তাকে পায়ে হেটে জাতির জনকের সমাধিতে আসার মত দেই। ময়মনসিংহ থেকে প্রথমে পায়ে হেটে ঢাকা, এরপর ফরিদপুর হয়ে গোপালগঞ্জে হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পৌঁছাই। বাবাকে নিয়ে এখানে আসতে পেরে আমরি খুব খুশি।’