শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • ৬৩ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদী ও চলনবিল অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৪ লাখ টাকার অবৈধ জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম। অভিযানে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ, মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করেছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলার আত্রাই নদী, আত্রাই নদীর বিভিন্ন শাখা ও চলনবিল অঞ্চলে প্রতিদিন অবৈধ চায়না জাল, সোতি জাল, কারেন্ট জাল, বাদাই জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছিলো। প্রতি সপ্তাহে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে মা ও পোনা মাছ শিকার করছিলো।

নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে উপজেলার কালাকান্দর ও শশ্মান ঘাট এলাকা থেকে দুইটি সোতি জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা, আত্রাই নদীর শাখা হরদোমা খাল থেকে ১০০ পিছ চায়না জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ লাখ টাকা, চলনবিল বিলশা অঞ্চল থেকে তিনটি বাদাই জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা ও একই এলাকা থেকে সাড়ে পাচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল যার আনুুমানিক বাজার মুল্য ১০ হাজার টাকা। এ নিয়ে আনুমানিক প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে।

নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটিয়ে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে সোতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করার সরঞ্জাম গুলোও ধ্বংস করা হয়েছে। নদী ও চলনবিলের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ, মা ও পোনা মাছ শিকার বন্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Tag :

গুরুদাসপুরে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল উদ্ধার

Update Time : ০৮:০৩:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি. নাটোরের গুরুদাসপুরে আত্রাই নদী ও চলনবিল অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৪ লাখ টাকার অবৈধ জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করেছে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর। বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম। অভিযানে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ, মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয়ের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করেছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মহিদুল ইসলাম বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলার আত্রাই নদী, আত্রাই নদীর বিভিন্ন শাখা ও চলনবিল অঞ্চলে প্রতিদিন অবৈধ চায়না জাল, সোতি জাল, কারেন্ট জাল, বাদাই জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ শিকার করা হচ্ছিলো। প্রতি সপ্তাহে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে মা ও পোনা মাছ শিকার করছিলো।

নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসাবে বুধবার সকাল থেকে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে উপজেলার কালাকান্দর ও শশ্মান ঘাট এলাকা থেকে দুইটি সোতি জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা, আত্রাই নদীর শাখা হরদোমা খাল থেকে ১০০ পিছ চায়না জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ লাখ টাকা, চলনবিল বিলশা অঞ্চল থেকে তিনটি বাদাই জাল যার আনুমানিক বাজার মুল্য ৩ লাখ টাকা ও একই এলাকা থেকে সাড়ে পাচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল যার আনুুমানিক বাজার মুল্য ১০ হাজার টাকা। এ নিয়ে আনুমানিক প্রায় ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে।

নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটিয়ে বাঁশের তৈরি বেড়া দিয়ে সোতিজাল দিয়ে মাছ শিকার করার সরঞ্জাম গুলোও ধ্বংস করা হয়েছে। নদী ও চলনবিলের স্বাভাবিক পানি প্রবাহ, মা ও পোনা মাছ শিকার বন্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।