গুরুদাসপুর প্রতিবেদক. মহা ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনব্যাপী এই দুর্গোৎসব উদযাপন শেষে আজ বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনে যোগ দিয়েছে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় মন্দিরগুলো থেকে উপজেলার নন্দকুঁজা নদীর উদ্দেশ্যে প্রতিমা বিসর্জনে বের হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ সময় সব অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির বিকাশের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে- এ প্রার্থনা করেন তারা।
প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা উপজেলার পৌর সদরের পলান ঘোষ দৈনিক বনলতাকে বলেন, শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবেই এবারের পূজা উদযাপন করেছি। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাচ্ছি তাতে কিছুটা খারাপ তো লাগছেই। একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। আবার একটি বছর পর (দেবীকে)নতুন রুপে ফিরে পাবো।
গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজের শিক্ষক মিতা রানী দাস ও একই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী প্রতিমা কুন্ডু দৈনিক বনলতাকে বলেন, পূজা উদযাপন শেষে মা দুর্গাকে বিদায় জানাচ্ছি। দিন যাবে, মাস যাবে- এভাবে একটি বছর ধরে আবারও পূজা উদযাপনের অপেক্ষা করতে হবে।
গুরুদাসপুর কর্মকার পাড়ার উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি বাবু কাশিনাথ জানান, প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমেই সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো এবার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবণী রায় ও গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিনসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল সদস্যদের প্রতি কৃতগতা জানান ।
উপজেলা সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ দৈনিক বনলতাকে বলেন, এবারের পূজা উদযাপনের মাধ্যমে সব অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির বিকাশ ঘটবে। সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা করি।