শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো মেয়ে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৬ Time View

পিরোজপুর প্রতিনিধি. পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মা শিউলি বেগমের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন মেয়ে শারমিন আক্তার। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে মারা যান শিউলি বেগম। আর আজ রোববার শারমিন আক্তারের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তার উপজেলার ৭ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামের ফারুক ফকিরের মেয়ে। তিনি ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
শারমিনের চাচা আব্দুল মালেক ফকির জানান, শারমিনের মা দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা প্রাইম হাসপাতালে মারা যান তিনি। আজ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁর ভাতিজি শারমিন।

শারমিনের ভাই মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাতে আমাদের মা মারা গেছেন। তবু বাধ্য হয়েই আজ সকালে বোনকে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার পরও পরীক্ষা দিয়েছে। আমার বোন খুবই মেধাবী ছাত্রী। তাই আমরা তাঁকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করিনি। আমার বোন মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মাজিদা বেগম মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন শারমিন। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। আসলেই ঘটনাটি দুঃখজনক। পরীক্ষা ঠিকভাবে দিতে সহপাঠী ও পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিবেরা তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।

Tag :

মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিলো মেয়ে

Update Time : ০৫:৫৫:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ নভেম্বর ২০২২

পিরোজপুর প্রতিনিধি. পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মা শিউলি বেগমের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন মেয়ে শারমিন আক্তার। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে মারা যান শিউলি বেগম। আর আজ রোববার শারমিন আক্তারের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

পরীক্ষার্থী শারমিন আক্তার উপজেলার ৭ নম্বর গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর পৈকখালী গ্রামের ফারুক ফকিরের মেয়ে। তিনি ভাণ্ডারিয়া সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।
শারমিনের চাচা আব্দুল মালেক ফকির জানান, শারমিনের মা দীর্ঘদিন যাবৎ লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা প্রাইম হাসপাতালে মারা যান তিনি। আজ সকাল ১০টার দিকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁর ভাতিজি শারমিন।

শারমিনের ভাই মো. শামিম হোসেন বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাতে আমাদের মা মারা গেছেন। তবু বাধ্য হয়েই আজ সকালে বোনকে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পাঠিয়েছি। পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে শারমিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তার পরও পরীক্ষা দিয়েছে। আমার বোন খুবই মেধাবী ছাত্রী। তাই আমরা তাঁকে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করিনি। আমার বোন মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, মাজিদা বেগম মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন শারমিন। মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। আসলেই ঘটনাটি দুঃখজনক। পরীক্ষা ঠিকভাবে দিতে সহপাঠী ও পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিবেরা তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।