শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ, জনজীবনে দুর্ভোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১৪৪ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক রাজশাহী. উত্তরের শহর রাজশাহীতে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রেকর্ড করা হয়েছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল কিছুটা বেশি। তবে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শুরু হওয়া এ শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। দুর্ভোগ নেমে আসে জনজীবনে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে এখন শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহীতে কিছুটা হিমেল হাওয়া বইছে। এর ফলে গত তিনদিন ধরে কমেছে তাপমাত্রা। শহরের তুলনায় গ্রাম ও চর এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি।

তাপমাত্রা কমে যাওয়া ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েন দুর্ভোগে। শীতের পোশাক পরিধান করে কাজে বের হন শ্রমিকরা। অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। গতকাল শনিবার সড়কে যান চলাচলও ছিল তুলনামূলক কম। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় রোদের দেখা মেলে রাজশাহীর আকাশে।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র ভোরের কাগজকে জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে এ অবস্থা আরও ৩-৪ দিন থাকবে। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়তে পারে। গ্রামীন জনপদে বেশি পড়েছে শীতের প্রভাব।

Tag :

রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ, জনজীবনে দুর্ভোগ

Update Time : ০৬:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিবেদক রাজশাহী. উত্তরের শহর রাজশাহীতে বইতে শুরু করেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রেকর্ড করা হয়েছে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যদিও শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল কিছুটা বেশি। তবে হিমেল হাওয়ার প্রভাবে শুরু হওয়া এ শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। দুর্ভোগ নেমে আসে জনজীবনে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এ তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী রাজশাহীতে এখন শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহীতে কিছুটা হিমেল হাওয়া বইছে। এর ফলে গত তিনদিন ধরে কমেছে তাপমাত্রা। শহরের তুলনায় গ্রাম ও চর এলাকায় শীতের তীব্রতা বেশি।

তাপমাত্রা কমে যাওয়া ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েন দুর্ভোগে। শীতের পোশাক পরিধান করে কাজে বের হন শ্রমিকরা। অনেকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন। গতকাল শনিবার সড়কে যান চলাচলও ছিল তুলনামূলক কম। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় রোদের দেখা মেলে রাজশাহীর আকাশে।

এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র ভোরের কাগজকে জানান, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রাজশাহীতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে এ অবস্থা আরও ৩-৪ দিন থাকবে। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশাও পড়তে পারে। গ্রামীন জনপদে বেশি পড়েছে শীতের প্রভাব।