বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের প্রধান রুট  সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯৯ Time View
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি: ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের প্রধান রুট সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাট। কানাইঘাট পৌর এলাকাধীন বায়মপুর গ্রামের শওকত আলীর পুত্র শিব্বির আহমদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ২০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট ভারতীয় পণ্য চোরাচালানীতে জড়িত। আর এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা ৬ নং সদর ইউপির চাউরা(কান্দেপুর) গ্রামের নূর আহমদের ছেলে রুবেল আহমদ। তার মাধ্যমে ভারতীয় যাবতীয় নিষিদ্ধ পণ্য অবাধে নামানো হয়।
ফিরতি পাচার করা হয় মটরসুটি, রসুনসহ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সামগ্রী। কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা, ডোনা ও মুলাগুল সীমান্ত দিয়ে আমদানিকৃত চোরাই পণ্য আটগ্রাম, মমতাজগঞ্জ বাজার ও লোভাছড়া থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকাযোগে কানাইঘাট বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে  বায়মপুরে নিয়ে আসা হয় চোরা চিনি ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী।
সূত্রমতে: কানাইঘাটের খেওয়াঘাটের পুরাতন বাস স্টেন্ডে রয়েছে চোরাকারবারী শিব্বিরের তত্বাবধানে ভারতীয় চোরাই পণ্যের ৩টি গুদাম। বায়মপুর মহিলা মাদ্রাসার কাছে  রয়েছে একটি গুদাম, বায়মপুরের চোরাচালানী শিব্বিরের বাড়িতে ২টি গুদাম।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, কানাইঘাট উপজেলার সুরমার উত্তর অংশের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড় রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি স্থল সীমান্ত। পূর্বে কারাবাল্লা থেকে পশ্চিমে লোভানদী ও দক্ষিণে সুরমানদী পর্যন্ত পুরো ইউনিয়নে কোনো সড়ক যোগোযোগ ব্যবস্থা নেই। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবি’র কার্যকর ও দ্রুততর সময়ে  অভিযানের কোনো ব্যবস্থাই নেই। আর এ সুযোগে সীমান্তের এই এলাকা দিয়ে অবাধে নামানো হয় ভারতীয় চোরাই পণ্য।
অভিযোগের বিষয়ে শিব্বির আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযেগ করা হলে তিনি নিজেকে পাথর ব্যবসায়ী দাবি করে তার বিরুদ্ধে আনিত চোরাচালানীর অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।

Tag :

ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের প্রধান রুট  সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট

Update Time : ০৭:০০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
কানাইঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি: ভারতীয় পণ্য চোরাচালানের প্রধান রুট সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাট। কানাইঘাট পৌর এলাকাধীন বায়মপুর গ্রামের শওকত আলীর পুত্র শিব্বির আহমদের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ২০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট ভারতীয় পণ্য চোরাচালানীতে জড়িত। আর এ সিন্ডিকেটের মূল হোতা ৬ নং সদর ইউপির চাউরা(কান্দেপুর) গ্রামের নূর আহমদের ছেলে রুবেল আহমদ। তার মাধ্যমে ভারতীয় যাবতীয় নিষিদ্ধ পণ্য অবাধে নামানো হয়।
ফিরতি পাচার করা হয় মটরসুটি, রসুনসহ বিদেশ থেকে আমদানিকৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সামগ্রী। কানাইঘাটের কাড়াবাল্লা, ডোনা ও মুলাগুল সীমান্ত দিয়ে আমদানিকৃত চোরাই পণ্য আটগ্রাম, মমতাজগঞ্জ বাজার ও লোভাছড়া থেকে সুরমা নদী দিয়ে নৌকাযোগে কানাইঘাট বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে  বায়মপুরে নিয়ে আসা হয় চোরা চিনি ও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী।
সূত্রমতে: কানাইঘাটের খেওয়াঘাটের পুরাতন বাস স্টেন্ডে রয়েছে চোরাকারবারী শিব্বিরের তত্বাবধানে ভারতীয় চোরাই পণ্যের ৩টি গুদাম। বায়মপুর মহিলা মাদ্রাসার কাছে  রয়েছে একটি গুদাম, বায়মপুরের চোরাচালানী শিব্বিরের বাড়িতে ২টি গুদাম।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, কানাইঘাট উপজেলার সুরমার উত্তর অংশের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড় রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ি স্থল সীমান্ত। পূর্বে কারাবাল্লা থেকে পশ্চিমে লোভানদী ও দক্ষিণে সুরমানদী পর্যন্ত পুরো ইউনিয়নে কোনো সড়ক যোগোযোগ ব্যবস্থা নেই। ফলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিজিবি’র কার্যকর ও দ্রুততর সময়ে  অভিযানের কোনো ব্যবস্থাই নেই। আর এ সুযোগে সীমান্তের এই এলাকা দিয়ে অবাধে নামানো হয় ভারতীয় চোরাই পণ্য।
অভিযোগের বিষয়ে শিব্বির আহমদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযেগ করা হলে তিনি নিজেকে পাথর ব্যবসায়ী দাবি করে তার বিরুদ্ধে আনিত চোরাচালানীর অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।