শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালোবাসার মাসে ফুলচাষির মুখে হাসি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৫৮ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক. নাতিশীতোষ্ণর আবহাওয়ার অন্যতম মাস ফেব্রুয়ারি। এই ভাষার মাসে রোজ ডে থেকে শুরু করে উদযাপন হয় বিভিন্ন ধরনের ভালোবাসা দিবস। তাই ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসার মাস বলা হয়। আর এসব দিবসগুলোতে বেড়ে যায় হরেক রকম ফুলের চাহিদা। ফুলপ্রেমিদের এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ইতোমেধ্য ফুলচাষিরাও প্রস্তুত। এ বছর অধিক লাভের সম্ভাবনায় চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

 

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ও ইদিলপুর এলাকার বেশ কিছু গ্রামের মাঠ ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। আসছে বসন্তবরণ ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবস। এ উপলক্ষে চাষিদের ক্ষেতে শোভাবর্ধনে ঝুলছে হরেক রকম ফুল। আর এই ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়।

 

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হচ্ছে নানা ধরনের ফুল। বিশেষ করে ইদিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠ এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে গাধা-গোলাপসহ অন্যান্য ফুল চাষ করা হচ্ছে। সারা বছরের ফসল হিসেবে বেশ লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষেই অধিক মাত্রায় ঝুঁকে পড়ছেন এখানকার কৃষক।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজনগর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান তার একবিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সাদা, হলুদ, লাল, কালো গোলাপ চাষ করেছে। তিন ধরে ফুলচাষে বছরেই অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। ফলে এ বছরও তিনি নতুন করে আরও বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করছে।

 

রাঘবেন্দপুর গ্রামের গোলজার মিয়া ফুল উৎপাদন করে আসছেন কয়েক বছর যাবৎ। নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল উৎপাদন করছেন তিনি। তার উৎপাদিত ফুলের মধ্যে রয়েছে, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, গোলাপ, সূর্যমুখী, ঘাস ফুল, গাধা, জারবারা (ইন্ডিয়া)। এ থেকে অনেকটাই লাভবান তিনি। তার এই সাফল্যে ওই গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও এ বছর ফুল চাষ করেছে।

 

মজিদ মিয়া নামের এক ফুলচাষি জানান, সাধারণত একটি গোলাপ ৪ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ৮ থেকে ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। তবে বিশেষ মৌসুমে যেমন- প্রপোজ ডে, ভালবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিভিন্ন দিবসে একটি গোলাপ বাগান থেকেই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। যা দোকানে বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। আরেক কৃষক শাহীন মিয়া জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষে খরচ বাদে প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

 

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইদিলপুর এলাকায় মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। একারণে বেশি ফলন পাওয়ায় ফুল চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে কৃষকরা ক্ষেতের ফুলগুলো ম্যাকিং করা শুরু করেছে।

Tag :

ভালোবাসার মাসে ফুলচাষির মুখে হাসি

Update Time : ০৭:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বিশেষ প্রতিবেদক. নাতিশীতোষ্ণর আবহাওয়ার অন্যতম মাস ফেব্রুয়ারি। এই ভাষার মাসে রোজ ডে থেকে শুরু করে উদযাপন হয় বিভিন্ন ধরনের ভালোবাসা দিবস। তাই ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসার মাস বলা হয়। আর এসব দিবসগুলোতে বেড়ে যায় হরেক রকম ফুলের চাহিদা। ফুলপ্রেমিদের এই চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ইতোমেধ্য ফুলচাষিরাও প্রস্তুত। এ বছর অধিক লাভের সম্ভাবনায় চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক।

 

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের খোর্দ্দকোমরপুর ও ইদিলপুর এলাকার বেশ কিছু গ্রামের মাঠ ফুলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে। আসছে বসন্তবরণ ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবস। এ উপলক্ষে চাষিদের ক্ষেতে শোভাবর্ধনে ঝুলছে হরেক রকম ফুল। আর এই ফুলের ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশ এলাকায়।

 

জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হচ্ছে নানা ধরনের ফুল। বিশেষ করে ইদিলপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠ এখন অর্থকরী ফসল হিসেবে গাধা-গোলাপসহ অন্যান্য ফুল চাষ করা হচ্ছে। সারা বছরের ফসল হিসেবে বেশ লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষেই অধিক মাত্রায় ঝুঁকে পড়ছেন এখানকার কৃষক।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাজনগর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান তার একবিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের সাদা, হলুদ, লাল, কালো গোলাপ চাষ করেছে। তিন ধরে ফুলচাষে বছরেই অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। ফলে এ বছরও তিনি নতুন করে আরও বেশি জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করছে।

 

রাঘবেন্দপুর গ্রামের গোলজার মিয়া ফুল উৎপাদন করে আসছেন কয়েক বছর যাবৎ। নিজ জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুল উৎপাদন করছেন তিনি। তার উৎপাদিত ফুলের মধ্যে রয়েছে, রজনীগন্ধা, ডালিয়া, গোলাপ, সূর্যমুখী, ঘাস ফুল, গাধা, জারবারা (ইন্ডিয়া)। এ থেকে অনেকটাই লাভবান তিনি। তার এই সাফল্যে ওই গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও এ বছর ফুল চাষ করেছে।

 

মজিদ মিয়া নামের এক ফুলচাষি জানান, সাধারণত একটি গোলাপ ৪ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করা হয়। ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ৮ থেকে ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। তবে বিশেষ মৌসুমে যেমন- প্রপোজ ডে, ভালবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিভিন্ন দিবসে একটি গোলাপ বাগান থেকেই বিক্রি হয় ১০ টাকায়। যা দোকানে বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে। আরেক কৃষক শাহীন মিয়া জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষে খরচ বাদে প্রতিমাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো আয় হয়। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের তিনগুণ আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

 

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইদিলপুর এলাকায় মাটি ফুল চাষে অত্যন্ত উপযোগী। একারণে বেশি ফলন পাওয়ায় ফুল চাষ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দিবসকে সামনে রেখে কৃষকরা ক্ষেতের ফুলগুলো ম্যাকিং করা শুরু করেছে।