শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট ভারতীয় পন্য চোরাচালানের প্রধান রুট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১০৮ Time View

 মোঃ আব্দুন নুর কানাইঘাট থেকে : ভারতীয় পন্য চোরাচালানের প্রধান রুট সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলা। কানাইঘাট পৌর এলাকাধীন বায়মপুর গ্রামের শওকত আলীর পুত্র শিব্বির আহমদ এবং একই গ্রামের সফর আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন ও কয়ছর আহমদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট ভারতীয় পন্য চোরাচালানীতে জড়িত।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কানাইঘাট উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরাংশে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে পাহাড়ী সীমান্ত। পূর্বে কাড়াবাল্লা থেকে পশ্চিমে লোভা নদী ও দক্ষীনে সুরমা নদী পর্যন্ত পুরো ইউনিয়নে কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কার্যকর ও দ্রæততর সময়ে অভিযানের কোন ব্যবস্থা নেই। আর এই সুযোগে সীমান্তের এই এলাকা দিয়ে অবাধে নামানো হয় ভারতীয় চোরাই পন্য। আবার ফিরতি পাচার করা হয় মটর সুটি-রসুনসহ বিদেশ থেকে আমদানী করা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী। কানাইঘাট কাড়াবাল্লা, ডোনা ও মুলাগুল সীমান্ত দিয়ে কানাইঘাট পৌর সদরের খেয়াঘাটে ও কানাইঘাট বাজারে নিয়ে আসা হয়। অপর দিকে লোভাছড়ার পশ্চিম সীমান্ত এলাকার সুরইঘাট, কালীনগর, চতুল, দরবস্ত ও জৈন্তাপুরের  সীমান্ত দিয়ে আনীত ভারতীয় চোরাই পন্য সিলেট নগর এড়িয়ে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়ক দিয়ে কানাইঘাট বাজার ও কানাইঘাট¯’ সুরমা ব্রীজের পূর্ব পাশের বায়মপুরে নিয়ে আসা হয়ে থাকে।

সারী-দরবস্ত হয়ে বালু ও পাথর বর্তী ট্রাকের মধ্যে দিয়েও কানাইঘাটে নিয়ে আসা হয় ভারতীয় চোরাই পন্য। সূত্রমতে কানাইঘাটের সুরমা নদীর দক্ষীন পাড়ে পুরাতন বাস স্টেশনে রয়েছে চোরাকারবারী রিয়াজ ও শিব্বিরের তত্বাবধানে ভারতীয় চোরাই পন্যের ৪টি গোদাম। বায়মপুরের চোরাচালানী শিব্বিরের বাড়ীতে ২টি চোরাইমালের গোদাম। এখান থেকে তাহারা বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ীতে ভারতীয় চিনির চোরাই বস্তা বদল করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে শাব্বির আহমদ ও রিয়াজের সাথে কথা হলে তারা নিজেদেরকে পাথর ব্যবসায়ী দাবী করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় ।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রাক্সফোর্ড অচিরেই মাঠে নামবেন তিনি। কানাইঘাট থানার নবাগত অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, আমি কানাইঘাট এসে সব তথ্য নিতেছি। চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট ভারতীয় পন্য চোরাচালানের প্রধান রুট

Update Time : ০১:১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 মোঃ আব্দুন নুর কানাইঘাট থেকে : ভারতীয় পন্য চোরাচালানের প্রধান রুট সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাট উপজেলা। কানাইঘাট পৌর এলাকাধীন বায়মপুর গ্রামের শওকত আলীর পুত্র শিব্বির আহমদ এবং একই গ্রামের সফর আলীর পুত্র রিয়াজ উদ্দিন ও কয়ছর আহমদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট ভারতীয় পন্য চোরাচালানীতে জড়িত।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, কানাইঘাট উপজেলার সুরমা নদীর উত্তরাংশে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে পাহাড়ী সীমান্ত। পূর্বে কাড়াবাল্লা থেকে পশ্চিমে লোভা নদী ও দক্ষীনে সুরমা নদী পর্যন্ত পুরো ইউনিয়নে কোন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। কার্যকর ও দ্রæততর সময়ে অভিযানের কোন ব্যবস্থা নেই। আর এই সুযোগে সীমান্তের এই এলাকা দিয়ে অবাধে নামানো হয় ভারতীয় চোরাই পন্য। আবার ফিরতি পাচার করা হয় মটর সুটি-রসুনসহ বিদেশ থেকে আমদানী করা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও সামগ্রী। কানাইঘাট কাড়াবাল্লা, ডোনা ও মুলাগুল সীমান্ত দিয়ে কানাইঘাট পৌর সদরের খেয়াঘাটে ও কানাইঘাট বাজারে নিয়ে আসা হয়। অপর দিকে লোভাছড়ার পশ্চিম সীমান্ত এলাকার সুরইঘাট, কালীনগর, চতুল, দরবস্ত ও জৈন্তাপুরের  সীমান্ত দিয়ে আনীত ভারতীয় চোরাই পন্য সিলেট নগর এড়িয়ে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়ক দিয়ে কানাইঘাট বাজার ও কানাইঘাট¯’ সুরমা ব্রীজের পূর্ব পাশের বায়মপুরে নিয়ে আসা হয়ে থাকে।

সারী-দরবস্ত হয়ে বালু ও পাথর বর্তী ট্রাকের মধ্যে দিয়েও কানাইঘাটে নিয়ে আসা হয় ভারতীয় চোরাই পন্য। সূত্রমতে কানাইঘাটের সুরমা নদীর দক্ষীন পাড়ে পুরাতন বাস স্টেশনে রয়েছে চোরাকারবারী রিয়াজ ও শিব্বিরের তত্বাবধানে ভারতীয় চোরাই পন্যের ৪টি গোদাম। বায়মপুরের চোরাচালানী শিব্বিরের বাড়ীতে ২টি চোরাইমালের গোদাম। এখান থেকে তাহারা বিভিন্ন কোম্পানীর গাড়ীতে ভারতীয় চিনির চোরাই বস্তা বদল করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে।

অভিযোগের বিষয়ে শাব্বির আহমদ ও রিয়াজের সাথে কথা হলে তারা নিজেদেরকে পাথর ব্যবসায়ী দাবী করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় ।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ট্রাক্সফোর্ড অচিরেই মাঠে নামবেন তিনি। কানাইঘাট থানার নবাগত অফিসার ইন্চার্জ (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, আমি কানাইঘাট এসে সব তথ্য নিতেছি। চোরা কারবারীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।