মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাহাড় থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গিরা

র‍্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে পাহাড়ে অবস্থান জঙ্গিদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাই আমির আনিসুর রহমান মাহমুদের নির্দেশে পাহাড় থেকে সমতলে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে তারা। মূলত নিরাপদে থেকে ছোট-ছোট দলে সম্মিলিতভাবে ভাগ হয়ে তারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবসহ ৩সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, নতুন এ জঙ্গি সংগঠেনের নেতৃস্থানীয়সহ অনেক সদস্যকে আমারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা জানতে পারে, এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব সংগঠনের কয়েকজন সদস্যসহ গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের দিকে যাচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (৫ জুন) রাতে র‌্যাব-১ ও ৭ এর আভিযানিক দল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে একটি সিএনজি থেকে সংগঠনের শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মো. মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব (৩৪), জাকারিয়া হোসাইন (২৯) ও মো. আহাদুল ইসলাম মজুমদার ওরফে সিফাত ওরফে মামিদকে (২২) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তবে অভিযান চলাকালীন সময় কিছু সদস্য পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। উদ্ধার করা হয় ১টি বিদেশি পিস্তল ও নগদ ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী লিফলেট।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব শারক্বীয়ার অন্যতম শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান। সে গত ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে অবস্থানকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ এক জঙ্গির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে দেশে ফিরে আনসার আল ইসলামে যোগদান করাসহ গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসা শুরু করে। “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র” প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সে সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহ সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং সমতলের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করতো।

তিনি আরও বলেন, আনসার আল ইসলাম থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রাপ্তিপূর্বক তার কাছে জমা ছিল। সে রাজধানীর মুগদা এলাকায় থাকাকালীন হিজামা সেন্টারের আড়ালে সাংগঠনিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল এবং ঢাকাস্থ সকল শুরা কমিটির মিটিং তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হত। ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত সংগঠনের শুরা সদস্য মায়মুনসহ অন্যান্যরা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে তার কাছে জমা রাখত। সে সংগঠনের অর্থায়নে মুন্সিগঞ্জে গবাদি পশুর খামার স্থাপন করে। সেখানেই তথাকথিত হিজরতকৃত অধিকাংশ সদস্য তার খামারে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করতো এবং তাদের শারীরিক কসরত ও তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করা হতো বলে জানা যায়। সে সংগঠনের আমীর মাহমুদ এর নির্দেশনায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, অস্ত্র ও রসদ ক্রয়সহ সংগঠনের অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য অর্থ সরবরাহ করত এবং শুকনা খাবারসহ পাহাড়ে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে পার্বত্য প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠাতো। এছাড়াও স্বেচ্ছায় নিরুদ্ধেশ সদস্যদের পাহাড়ে পাঠানোর সামগ্রিক কার্যক্রম সে তত্ত্বাবধান করত। সে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও সাংগঠনিক কাজে পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণ শিবিরে গমন করেছে বলে জানা যায়।

র‌্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সংগঠনের আমীর মাহমুদের নির্দেশনায় সে সমতলের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থেকে সে সংগঠনের অন্যান্য আত্মগোপনকৃত সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রেখে সংগঠনের সদস্যদের সংগঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে। সে ইতিপূর্বে আনসার আল ইসলামের সদস্য থাকায় উক্ত সংগঠনের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় রাখতো। সে আনসার আল ইসলামের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়। পাহাড় থেকে পলায়নের সময় তার নিকট সংগঠনের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা জমা ছিল যার মধ্য হতে সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ইতোমধ্যে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছে বলে জানা যায়। সে গ্রেপ্তারকৃত ০২ সদস্যকে নিয়ে গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জঙ্গল এলাকায় অবস্থান করে সংগঠনের আত্মগোপনকৃত অন্যান্য সদস্যদের একত্রিত করে আমিরের নেতৃত্বে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।

গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া ২০০৮ সালে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করে ফরিদপুরে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতো বলে জানা যায়। সে ২০২১ সালে সংগঠনের শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান রাকিবের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে। তার পরিবারকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের প্রথম দিকে সে রাকিবের মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি ও বাকলাইপাড়া হয়ে কেটিসিতে গমন করে। সে পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনাসহ বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে, পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ত্যাগ করে সমতলে আসে এবং সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে সংগঠনের আমীরের নির্দেশে রাকিবের সাথে সংগঠনের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনকৃত সদস্যদের একত্রিত করার জন্য টাঙ্গাইলের মধুপুরের জঙ্গল এলাকায় গমনের সময় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকা হতে র‌্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। সুত্র ভোরের কাগজ

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

পাহাড় থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গিরা

Update Time : ০৬:৩২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

র‍্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে পাহাড়ে অবস্থান জঙ্গিদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়েছে। তাই আমির আনিসুর রহমান মাহমুদের নির্দেশে পাহাড় থেকে সমতলে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে তারা। মূলত নিরাপদে থেকে ছোট-ছোট দলে সম্মিলিতভাবে ভাগ হয়ে তারা আবার সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছিল উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফীল হিন্দাল শারক্বীয়ার শূরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিবসহ ৩সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কমান্ডার মঈন বলেন, নতুন এ জঙ্গি সংগঠেনের নেতৃস্থানীয়সহ অনেক সদস্যকে আমারা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও গ্রেপ্তারে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা জানতে পারে, এই নতুন জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব সংগঠনের কয়েকজন সদস্যসহ গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের দিকে যাচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (৫ জুন) রাতে র‌্যাব-১ ও ৭ এর আভিযানিক দল গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করে একটি সিএনজি থেকে সংগঠনের শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান মো. মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব (৩৪), জাকারিয়া হোসাইন (২৯) ও মো. আহাদুল ইসলাম মজুমদার ওরফে সিফাত ওরফে মামিদকে (২২) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তবে অভিযান চলাকালীন সময় কিছু সদস্য পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়। উদ্ধার করা হয় ১টি বিদেশি পিস্তল ও নগদ ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী লিফলেট।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ হোসেন ওরফে রাকিব শারক্বীয়ার অন্যতম শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান। সে গত ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে অবস্থানকালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনসার আল ইসলামের শীর্ষ এক জঙ্গির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে দেশে ফিরে আনসার আল ইসলামে যোগদান করাসহ গার্মেন্টস পণ্যের ব্যবসা শুরু করে। “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র” প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সে সংগঠনের অর্থ সংগ্রহ ও সরবরাহ সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং সমতলের যাবতীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করতো।

তিনি আরও বলেন, আনসার আল ইসলাম থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রাপ্তিপূর্বক তার কাছে জমা ছিল। সে রাজধানীর মুগদা এলাকায় থাকাকালীন হিজামা সেন্টারের আড়ালে সাংগঠনিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল এবং ঢাকাস্থ সকল শুরা কমিটির মিটিং তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হত। ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত সংগঠনের শুরা সদস্য মায়মুনসহ অন্যান্যরা দেশ ও দেশের বাইরে থেকে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করে তার কাছে জমা রাখত। সে সংগঠনের অর্থায়নে মুন্সিগঞ্জে গবাদি পশুর খামার স্থাপন করে। সেখানেই তথাকথিত হিজরতকৃত অধিকাংশ সদস্য তার খামারে বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করতো এবং তাদের শারীরিক কসরত ও তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদান করা হতো বলে জানা যায়। সে সংগঠনের আমীর মাহমুদ এর নির্দেশনায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, অস্ত্র ও রসদ ক্রয়সহ সংগঠনের অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য অর্থ সরবরাহ করত এবং শুকনা খাবারসহ পাহাড়ে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করে পার্বত্য প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠাতো। এছাড়াও স্বেচ্ছায় নিরুদ্ধেশ সদস্যদের পাহাড়ে পাঠানোর সামগ্রিক কার্যক্রম সে তত্ত্বাবধান করত। সে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও সাংগঠনিক কাজে পার্বত্য অঞ্চলে প্রশিক্ষণ শিবিরে গমন করেছে বলে জানা যায়।

র‌্যাব কমান্ডার মঈন বলেন, পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সংগঠনের আমীর মাহমুদের নির্দেশনায় সে সমতলের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থেকে সে সংগঠনের অন্যান্য আত্মগোপনকৃত সদস্যদের সাথে যোগাযোগ রেখে সংগঠনের সদস্যদের সংগঠিত করার চেষ্টা করতে থাকে। সে ইতিপূর্বে আনসার আল ইসলামের সদস্য থাকায় উক্ত সংগঠনের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় রাখতো। সে আনসার আল ইসলামের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়। পাহাড় থেকে পলায়নের সময় তার নিকট সংগঠনের প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা জমা ছিল যার মধ্য হতে সংগঠনের বিভিন্ন কাজে ইতোমধ্যে প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছে বলে জানা যায়। সে গ্রেপ্তারকৃত ০২ সদস্যকে নিয়ে গাজীপুর হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুরের জঙ্গল এলাকায় অবস্থান করে সংগঠনের আত্মগোপনকৃত অন্যান্য সদস্যদের একত্রিত করে আমিরের নেতৃত্বে পুনরায় সংগঠিত হওয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।

গ্রেপ্তারকৃত জাকারিয়া ২০০৮ সালে স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করে ফরিদপুরে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতো বলে জানা যায়। সে ২০২১ সালে সংগঠনের শুরা সদস্য ও অর্থ শাখার প্রধান রাকিবের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনে যোগদান করে। তার পরিবারকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের প্রথম দিকে সে রাকিবের মাধ্যমে বান্দরবানের থানচি ও বাকলাইপাড়া হয়ে কেটিসিতে গমন করে। সে পাহাড়ে গমনের পর বিভিন্ন অস্ত্র চালনাসহ বিভিন্ন ধরণের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে, পাহাড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হলে সে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প ত্যাগ করে সমতলে আসে এবং সমতলের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে সংগঠনের আমীরের নির্দেশে রাকিবের সাথে সংগঠনের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনকৃত সদস্যদের একত্রিত করার জন্য টাঙ্গাইলের মধুপুরের জঙ্গল এলাকায় গমনের সময় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকা হতে র‌্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। সুত্র ভোরের কাগজ