রাজশাহী নগরীতে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল চক্রের মূলহোতা ও তার স্ত্রীসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এমনটা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার আসামীরা হলেন- নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আলমগীর ওরফে রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), স্ত্রীর বোন দিলারা বেগম (৩৫) ও উপরভদ্রা এলাকার আফজালের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)। আলমগীর ওরফে রয়েল মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার ৩ নম্বর সড়কের এক বাসায় স্ত্রী-শ্যালিকাদের নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভদ্রা পদ্মা আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, আলমগীর ওরফে রয়েল নামে ওই ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই শ্যালিকাকে নিয়ে এ চক্রটি গড়ে তুলেছিলেন। আলমগীর কৌশলে নারীদের বাসায় নিয়ে এসে ধর্ষণ করতেন। এর ভিডিও ধারণ করতেন তার স্ত্রী ও দুই শ্যালিকা। আবার আলমগীরের স্ত্রী ও শ্যালিকারাও পুরুষদের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে এনে অনৈতিক সম্পর্কে জড়াতেন। তখন এর ভিডিও করতেন আলমগীর। তারপর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করতেন। সবশেষ বুধবার এক নারীর সঙ্গে এমন ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে আলমগীর, তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন এবং শ্যালিকা দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগমকে আটক করা হয়। এ চক্রটি অনেক নারী-পুরুষের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। চক্রটি ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো। তারা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে কিংবা চেকে স্বাক্ষরও নিয়ে রাখতেন। র্যাবের অভিযানে বাড়িটি থেকে কয়েকটি স্ট্যাম্প ও চেকবই জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হবে।