রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে সংখ্যালঘু পরিবারে দিবালোকে ১৭ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের কর্মকার পাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গবদ্ধ চোরের দল প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্বর্ণ, রৌপ্য ও নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। ৪ নভেম্বর সোমবার স্বর্গীয় নিতাই কর্মকারের ছেলে জয় কর্মকারের বাসভবনে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আজ সোমাবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়ের মা শ্রী রাজর্ষী কর্মকার বাসায় না থাকায় মুলগেটসহ সকল দরজায় তালা লাগিয়ে জরুরী কাজে স্থানীয় চাঁচকৈড় বাজারে যায় জয়। দুুপুর দেড়টার দিকে জয় বাসায় ফিরে এসে দেখেন মুল গেটের তালা ভাঙ্গা এতে তার সন্দেহ হয়। বাসার ভিতরে প্রবেশ করেই দেখেন সকল দরজা খোলা এবং সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করা। আলমিরা এবং তার ভিতরে থাকা লাগেজও খোলা।

এব্যাপারে জয় কর্মকার বলেন, বাবা মারা যাবার পর বাসায় শুধু আমি আর মা থাকতাম। কিন্তু মা গত কয়েকদিন আগে বোনের বাসা চাপাই নবাবগঞ্জ বেড়াতে যায়। এসময় তিনি বাসায় একা ছিলেন। বাজার থেকে একঘন্টা পরে এসে বাসায় প্রবেশ করে দেখেন পাশে ল্যাপটপ পরে আছে। লাগেজটি খোলা ওই লাগেজের ভিতরে কাপরে মোড়ানো ১০ভরি স্বর্ণ ১৫ ভড়ি রৌপ্য, শাড়ী,সঞ্চয়পত্র,চেক বহি, জমির দলিল এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এসময় এলাকাবাসীকে ডেকে ঘটনাটি জানিয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ করি। সেই সাথে সোনালী ব্যাংক গুরুদাসপুর শাখায় চেক বই ও সঞ্চয় পত্রের বিষয়টি অবহিত করি।

জয় কর্মকারের মা রাজের্ষী কর্মকার কাঁন্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার স্বামী একজন ব্যাংক কমকর্তা ছিলেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তার একমাত্র কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালালেও ওই স¦র্ণগুলি সখ করে ছেলের বউয়ের জন্য রেখে দিয়ে ছিলেন। আজ তার স¦প্নটা কেড়ে নিলো চোরেরা। আমি এ ঘটনার তদন্ত পুর্বক জিনিসগুলো উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবেশি বৃদ্ধা স্বরসতী বিশ^াস জানান, দুপুর ১টার দিকে ঠক ঠক শব্দ শুনে জয় বলে ডেকেও কোন সাড়া পাইনি। তার পর দেড়টার দিকে জয়ের চিৎকারে শুনে এসে বাসায় চুরির ঘটনাটি জানতে পারি।

এব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সারওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। চোরদেরকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

গুরুদাসপুরে সংখ্যালঘু পরিবারে দিবালোকে ১৭ লক্ষ টাকার মালামাল চুরি

Update Time : ০৮:৩১:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পৌর সদরের কর্মকার পাড়ায় প্রকাশ্য দিবালোকে বাসা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গবদ্ধ চোরের দল প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্বর্ণ, রৌপ্য ও নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে গেছে। ৪ নভেম্বর সোমবার স্বর্গীয় নিতাই কর্মকারের ছেলে জয় কর্মকারের বাসভবনে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আজ সোমাবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়ের মা শ্রী রাজর্ষী কর্মকার বাসায় না থাকায় মুলগেটসহ সকল দরজায় তালা লাগিয়ে জরুরী কাজে স্থানীয় চাঁচকৈড় বাজারে যায় জয়। দুুপুর দেড়টার দিকে জয় বাসায় ফিরে এসে দেখেন মুল গেটের তালা ভাঙ্গা এতে তার সন্দেহ হয়। বাসার ভিতরে প্রবেশ করেই দেখেন সকল দরজা খোলা এবং সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ করা। আলমিরা এবং তার ভিতরে থাকা লাগেজও খোলা।

এব্যাপারে জয় কর্মকার বলেন, বাবা মারা যাবার পর বাসায় শুধু আমি আর মা থাকতাম। কিন্তু মা গত কয়েকদিন আগে বোনের বাসা চাপাই নবাবগঞ্জ বেড়াতে যায়। এসময় তিনি বাসায় একা ছিলেন। বাজার থেকে একঘন্টা পরে এসে বাসায় প্রবেশ করে দেখেন পাশে ল্যাপটপ পরে আছে। লাগেজটি খোলা ওই লাগেজের ভিতরে কাপরে মোড়ানো ১০ভরি স্বর্ণ ১৫ ভড়ি রৌপ্য, শাড়ী,সঞ্চয়পত্র,চেক বহি, জমির দলিল এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এসময় এলাকাবাসীকে ডেকে ঘটনাটি জানিয়ে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ করি। সেই সাথে সোনালী ব্যাংক গুরুদাসপুর শাখায় চেক বই ও সঞ্চয় পত্রের বিষয়টি অবহিত করি।

জয় কর্মকারের মা রাজের্ষী কর্মকার কাঁন্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার স্বামী একজন ব্যাংক কমকর্তা ছিলেন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তার একমাত্র কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালালেও ওই স¦র্ণগুলি সখ করে ছেলের বউয়ের জন্য রেখে দিয়ে ছিলেন। আজ তার স¦প্নটা কেড়ে নিলো চোরেরা। আমি এ ঘটনার তদন্ত পুর্বক জিনিসগুলো উদ্ধারের দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবেশি বৃদ্ধা স্বরসতী বিশ^াস জানান, দুপুর ১টার দিকে ঠক ঠক শব্দ শুনে জয় বলে ডেকেও কোন সাড়া পাইনি। তার পর দেড়টার দিকে জয়ের চিৎকারে শুনে এসে বাসায় চুরির ঘটনাটি জানতে পারি।

এব্যাপারে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সারওয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। চোরদেরকে সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।