বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধ ঢাকতে অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ একরামুল হাকের বিরুদ্ধে নিজের অপরাধ ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ওই কলেজের চার জন শিক্ষক অধ্যক্ষের চাহিদামতো উৎকোচ না দিতে পারায় গত ৮ মাস যাবৎ তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ তুলে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভুগী চার জন শিক্ষক শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছিলেন। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার কারনে ওই চার জন শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষককে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদানও করে অধ্যক্ষ। শুধু ‘শোকজ’ করেই শান্ত হননি। নিজের অপরাধ ঢাকতে তরিঘুরি করে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ওই চার জন শিক্ষকের করা সকল অভিযোগের সত্যতা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মওদুদ ও মোঃ শাহীন আলম জানান,‘গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বেতন ভাতার চাহিদা বাজেট পাঠানোর জন্য অধ্যক্ষ একরামুল হককে তারা অনুরোধ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আব্দুর রশিদের মাধ্যমে বেতন ভাতা চালু করার জন্য এক লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। আব্দুর রশিদের ঘুষ দাবি করার একটি অডিও রেকর্ডও রয়েছে তাদের কাছে। ঘুষ দিলে বেতন চালু হবে না হলে হবেনা বলে জানায়। বেতন ভাতা’র চাহিদা না পাঠালে ঘুষ দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার অধ্যক্ষের নামে অভিযোগ করা হবে বলে জানানো হয়। তখন অধ্যক্ষ বলে পাঠানো হবে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর মাসে চাহিদা পত্র পাঠালে বেতন ভাতা পাওয়া যেতো। তা না করে কৌশলে অধ্যক্ষ ডিসেম্বর মাসে বেতন ভাতা চাহিদা পত্র পাঠায়। যার কারনে গত ৮ মাস যাবৎ তারা বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাছাড়াও নিজের অপরাধ ঢাকতে বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষ কলেজের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে তিনি নির্দোষ দাবি করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. মোঃ একরামুল হক বৃহস্পতিবার কলেজের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ডিসেম্বরেই চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তার সুনাম ক্ষুন্য করার জন্য ঘুষ দাবি করার বিষয়টি নিয়ে তার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি এসকল ঘুষ বা কোন আর্থিক আদান প্রদানের সাথে জড়িত নয়।’

Tag :
About Author Information

Daily Banalata

অপরাধ ঢাকতে অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

Update Time : ১১:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড.মোঃ একরামুল হাকের বিরুদ্ধে নিজের অপরাধ ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের একটি কক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, ওই কলেজের চার জন শিক্ষক অধ্যক্ষের চাহিদামতো উৎকোচ না দিতে পারায় গত ৮ মাস যাবৎ তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ তুলে বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভুগী চার জন শিক্ষক শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছিলেন। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করার কারনে ওই চার জন শিক্ষকের মধ্যে দুই শিক্ষককে কারন দর্শানো নোটিশ প্রদানও করে অধ্যক্ষ। শুধু ‘শোকজ’ করেই শান্ত হননি। নিজের অপরাধ ঢাকতে তরিঘুরি করে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ওই চার জন শিক্ষকের করা সকল অভিযোগের সত্যতা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মওদুদ ও মোঃ শাহীন আলম জানান,‘গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পরপরই বেতন ভাতার চাহিদা বাজেট পাঠানোর জন্য অধ্যক্ষ একরামুল হককে তারা অনুরোধ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আব্দুর রশিদের মাধ্যমে বেতন ভাতা চালু করার জন্য এক লাখ টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। আব্দুর রশিদের ঘুষ দাবি করার একটি অডিও রেকর্ডও রয়েছে তাদের কাছে। ঘুষ দিলে বেতন চালু হবে না হলে হবেনা বলে জানায়। বেতন ভাতা’র চাহিদা না পাঠালে ঘুষ দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তার অধ্যক্ষের নামে অভিযোগ করা হবে বলে জানানো হয়। তখন অধ্যক্ষ বলে পাঠানো হবে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর মাসে চাহিদা পত্র পাঠালে বেতন ভাতা পাওয়া যেতো। তা না করে কৌশলে অধ্যক্ষ ডিসেম্বর মাসে বেতন ভাতা চাহিদা পত্র পাঠায়। যার কারনে গত ৮ মাস যাবৎ তারা বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাছাড়াও নিজের অপরাধ ঢাকতে বৃহস্পতিবার সকালে অধ্যক্ষ কলেজের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে তিনি নির্দোষ দাবি করার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ড. মোঃ একরামুল হক বৃহস্পতিবার কলেজের একটি কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ডিসেম্বরেই চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। এছাড়াও তার সুনাম ক্ষুন্য করার জন্য ঘুষ দাবি করার বিষয়টি নিয়ে তার ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি এসকল ঘুষ বা কোন আর্থিক আদান প্রদানের সাথে জড়িত নয়।’