প্রভাষক মোঃ মাজেম আলী মলিন.
গ্রাম,পাড়া মহল্লায় ঘুড়ছেন। কখনো রাতে কখনো দিনের আলোয়। উদ্দেশ্য বঞ্চিতদের খুঁজে বের করা। যারা সামাজিক লোক লজ্জার ভয়ে ত্রাণ চাইতে পারছেন না। সেসব মানুষদের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন।
তিনি আহাম্মদ আলী মোল্লা। একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা একজন ছাত্রনেতা। স্কুল জীবন থেকেই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দু:খ কষ্ট গুলো কাছে থেকে দেখেছেন।
সেই ছোট বেলা থেকেই তার চিন্তা চেতনা কিভাবে সমাজের এই পিছিয়ে পরা অবহেলিত মানুষের গুলোর ভাগ্য উন্নোয়নে কাজ করা যায়। সেই চিন্তা চেতনা থেকেই তার রাজনীতিতে আসা।
ছোট বেলা থেকেই প্রবল ঝোক ছিল রাজনীতির প্রতি। স্কুল কলেজ থেকেই রাজনীতির মাঠ কাঁপানো সেই ছেলেটিই প্রথমে ক্রিড়া সম্পাদক এবং পরবর্তিতে ২০১১ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত উত্তর বঙ্গের শিক্ষা নগরী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতক সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিী লাভ করেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি চাকুরির আশা না করে রাজনীতিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর পর থেকেই তার আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। তরুণ আ.লীগের নেতা হিসাবে (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রামের) সব জায়গাতেই যথেষ্ট সুনাম আছে তার।
ছাত্র জীবনে যেমন মিছিলে মিটিংয়ে যেমন প্রানবন্ত করে রাখতেন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। রাজনীতিতেও মাঠ ঘাট চোষে বেড়াচ্ছেন দিন রাত। দান করছেন ইচ্ছে মত আগে থেকেই। বর্তমানেও দেশের এই ক্রান্তিতকালেও থেমে নেই তার সেবাদান।
সমাজের অবহেলিত খেটে খাওয়া কর্মহীন মানুষ গুলোর পিছু ছুটছেন সারাক্ষণ বিরাম হীন ভাবে। সেই সাথে ত্রান বঞ্চিতদেরও খুঁজে বের করে তাদের মাঝে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য দ্রব্য।
নাটোরের গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রামের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছেন তিনি। শুধু হোম কোয়ারেন্টাইনেই নয় তার অনুদান পৌছে যাচ্ছে শহর থেকে গ্রামের খেটে খাওয়া কর্মহীন অসহায় মানুষের কাছেও।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ইতিমধ্যেই তিনি গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রামের ১২শ দুস্থ্যদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেছেন। করোনা আক্রান্তকাল শুরু হবার পর থেকেই চলছে তার এই কর্মজজ্ঞ।
নাটোরের গুরুদাসপুরে গভীর রাতে খেটে খাওয়া কর্মহীন হত দরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এই আহাম্মদ আলী মোল্লা।
পৌর সদরেরর খামারনাচকৈড় মহল্লার অসহায় হতদরিদ্র,মধ্যবিত্ত, ড্রাইভার, রিক্সা,ভ্যান চালক,ভবঘুরে সবাইকেই তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে খাবার সামগ্রী উপহার সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
তার সামর্থ অনুযায়ী স্লপ্ল পরিসরে হলেও চ্ষ্টো করছেন গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম দুই উপজেলা ব্যাপি নিজস্ব অর্থায়নে সেবা করার। আহম্মদ আলী মোল্লা জানান, করোনা প্রতিরোধে কাজকর্ম হীন প্রায় সকল মানুষের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
তাছাড়া যারা হোমকোয়ারেন্টাইনে আছে তাদের তো খুব কষ্ট হচ্ছে। তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। চেষ্টা করেছি কিছু পরিবারকে সহযোগিতা করার।
ইতি মধ্যেই প্রায় ১২শতাধিক হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাবার পৌছে দেওয়া হয়েছে। তার এই সহযোগিতা চলমান সংকট না সারা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ || প্রভাষক মো. মাজেম আলী মলিন, বিশেষ প্রতিনিধি