শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিটন কুমারের সেবায় এগিয়ে গুরুদাসপুর সোনালী ব্যাংক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • ১৬৩ Time View

প্রভাষক মো. মাজেম আলী মলিন,
করোনা যুদ্ধের মধ্যেও অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছে নাটোরের গুরুদাসপুরের ব্যাংকগুলো। ব্যাংক গুলোর মধ্যে সেবা দানে এগিয়ে সোনালী ব্যাংক গুরুদাসপুর শাখা। জনবল স্বল্পতাসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারী বেসরকারী এবং সামাজিক বেষ্ঠনির যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ওই ব্যাংক। বটবৃক্ষের মত ছাঁয়া দিয়ে সমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকল কঠিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক লিটন কুমার।
গত ৭ এপ্রিল বৃস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় ওই ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, একজন তরুণ স্মার্ট ভদ্রলোক চেয়ারে বসে নিজেই কেরানীর মতো অবিরাম কাজ করে চলছেন। নিজ হাতেই করছেন ফরম পুরণসহ যাবতীয় কাজ। কাছে যেতেই সে ইশারায় বসার কথা বললেন। কাজ শেষ করেই মুখ ফিরিয়ে একদমে বললেন কি খবর দাদা কেমন আছেন কি অবস্থা করোনায় যে আর দেখাই হয়না। বলেই আবার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেন। অপেক্ষার প্রহর এক সময় শেষ হলো (হালকা ফ্রি) হলে বললাম আপনি ম্যানেজার মানুষ এত ব্যাস্ত থাকলে চলবে? মুচকি হেসে উত্তর দিলেন দাদা অধিকাংশ মানুষই বোঝেনা। তাই প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই কাজগুলো করে দেই এবং শিখিয়ে দেই যেন ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যা না হয়। আপনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে অনেক দায়িত্বের মাঝেও এগুলো করেন সমস্যা হয়না ? ভাই একজন সরকারী কর্মকর্তা নয় মানুষের একজন সেবক হিসেবে নিজের দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করি। কারন আমরা তো জনগনের টাকাতেই চলি।
গুরুদাসপুর সোনালী ব্যাংক সুত্রে জানাযায়, তাদের ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ১৫ হাজারেরও অধিক। গত অর্থবছরে ২৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ । লভাংশ ২ কোটি ৩০ লাখের অধিক। যা প্রায় গত বছরের চেয়েও দ্বিগুন । আমাদের প্রতি নিয়তই সেবা দান অব্যাহত থাকে। এখানে সিমাবদ্ধতার মাঝেও সরকারী বেসরকারী সকল ধরনের সেবা দেওয়া হয়। যেমন বেসরকাকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ¯স্নাতক, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি কলেজ,ভোকেশনালস্কুল শিক্ষকদের বেতন ভাতা বোনাস সকল প্রকার পরিক্ষার খাতা মুল্যায়নের সম্মানী এখান থেকে দেওয়া হয়। এছাড়া পানির বিল,বিদুৎ বিল, ট্রেজারী চালান, ঋণ বিতরণকরা হয়। সরকারী সমাজিক বেষ্ঠনির আওতায় সকল কাজ যেমন- পঙ্গুভাতা,বিধবাভাতা,বয়স্কভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের জন্য ভাতা,দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা,সরকারি শিশু পরিবার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ও পারিবারিক অবসর ভাতা,শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা প্রকার কাজ করতে হয়।

কথা হয় বিধবা ভাতা নিতে আসা উত্তর নারী বাড়ির আছিয়া,বয়স্কভাতা কার্ডধারী আনন্দ নগর গ্রামের ক্ষুদু প্রামানিক এবং প্রতিবন্ধীভাতা কার্ডধারী চাঁচৈেকড় গারিষাপাড়ার মাহীর সাথে তারা জানান. আমাদের ভাতা নিতে কোন সমস্যা হয়না। তবে যেদিন একটু বেশী ভির হয় ওই দিন টাকা পেতে একটু দেরী হয়।
ওই ব্যাংকের কোষাধক্ষ্য মো. আশিকুল মাবুদ জানান, উপজেলার প্রধান শাখা হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা বেশী । এ কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না জায়গা স্বল্পতা,করোনা ঝুকি ,বয়স্কদের করোনার ঝুকি বেশী থাকে একারনে বাহিরে আলাদা স্পেস সম্পর্ণ জায়গা হলে ভাল হতো।
ব্যবস্থাপক লিটন কুমার বলেন, লোকবল, প্রয়োজনীয় উপকরণসহ নানা সিমাবদ্ধতা রয়েছে ব্যাংকটিতে। আশা করছি সরকার পর্যায়ক্রমে ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ব্যাংকের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবে। যেহুতু আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী পরিজনের কথা না ভেবে করোনার মধ্যেও ঝুকি নিয়ে কাজ করছি।

Tag :

লিটন কুমারের সেবায় এগিয়ে গুরুদাসপুর সোনালী ব্যাংক

Update Time : ১২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

প্রভাষক মো. মাজেম আলী মলিন,
করোনা যুদ্ধের মধ্যেও অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছে নাটোরের গুরুদাসপুরের ব্যাংকগুলো। ব্যাংক গুলোর মধ্যে সেবা দানে এগিয়ে সোনালী ব্যাংক গুরুদাসপুর শাখা। জনবল স্বল্পতাসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারী বেসরকারী এবং সামাজিক বেষ্ঠনির যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ওই ব্যাংক। বটবৃক্ষের মত ছাঁয়া দিয়ে সমকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকল কঠিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক লিটন কুমার।
গত ৭ এপ্রিল বৃস্পতিবার সকাল ১১ টার সময় ওই ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায়, একজন তরুণ স্মার্ট ভদ্রলোক চেয়ারে বসে নিজেই কেরানীর মতো অবিরাম কাজ করে চলছেন। নিজ হাতেই করছেন ফরম পুরণসহ যাবতীয় কাজ। কাছে যেতেই সে ইশারায় বসার কথা বললেন। কাজ শেষ করেই মুখ ফিরিয়ে একদমে বললেন কি খবর দাদা কেমন আছেন কি অবস্থা করোনায় যে আর দেখাই হয়না। বলেই আবার কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরেন। অপেক্ষার প্রহর এক সময় শেষ হলো (হালকা ফ্রি) হলে বললাম আপনি ম্যানেজার মানুষ এত ব্যাস্ত থাকলে চলবে? মুচকি হেসে উত্তর দিলেন দাদা অধিকাংশ মানুষই বোঝেনা। তাই প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই কাজগুলো করে দেই এবং শিখিয়ে দেই যেন ভবিষ্যতে আর কোন সমস্যা না হয়। আপনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে অনেক দায়িত্বের মাঝেও এগুলো করেন সমস্যা হয়না ? ভাই একজন সরকারী কর্মকর্তা নয় মানুষের একজন সেবক হিসেবে নিজের দায়িত্বটা পালন করার চেষ্টা করি। কারন আমরা তো জনগনের টাকাতেই চলি।
গুরুদাসপুর সোনালী ব্যাংক সুত্রে জানাযায়, তাদের ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ১৫ হাজারেরও অধিক। গত অর্থবছরে ২৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ । লভাংশ ২ কোটি ৩০ লাখের অধিক। যা প্রায় গত বছরের চেয়েও দ্বিগুন । আমাদের প্রতি নিয়তই সেবা দান অব্যাহত থাকে। এখানে সিমাবদ্ধতার মাঝেও সরকারী বেসরকারী সকল ধরনের সেবা দেওয়া হয়। যেমন বেসরকাকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ¯স্নাতক, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কারিগরি কলেজ,ভোকেশনালস্কুল শিক্ষকদের বেতন ভাতা বোনাস সকল প্রকার পরিক্ষার খাতা মুল্যায়নের সম্মানী এখান থেকে দেওয়া হয়। এছাড়া পানির বিল,বিদুৎ বিল, ট্রেজারী চালান, ঋণ বিতরণকরা হয়। সরকারী সমাজিক বেষ্ঠনির আওতায় সকল কাজ যেমন- পঙ্গুভাতা,বিধবাভাতা,বয়স্কভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের জন্য ভাতা,দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও সম্মানী ভাতা,সরকারি শিশু পরিবার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ও পারিবারিক অবসর ভাতা,শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নানা প্রকার কাজ করতে হয়।

কথা হয় বিধবা ভাতা নিতে আসা উত্তর নারী বাড়ির আছিয়া,বয়স্কভাতা কার্ডধারী আনন্দ নগর গ্রামের ক্ষুদু প্রামানিক এবং প্রতিবন্ধীভাতা কার্ডধারী চাঁচৈেকড় গারিষাপাড়ার মাহীর সাথে তারা জানান. আমাদের ভাতা নিতে কোন সমস্যা হয়না। তবে যেদিন একটু বেশী ভির হয় ওই দিন টাকা পেতে একটু দেরী হয়।
ওই ব্যাংকের কোষাধক্ষ্য মো. আশিকুল মাবুদ জানান, উপজেলার প্রধান শাখা হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যা বেশী । এ কারনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না জায়গা স্বল্পতা,করোনা ঝুকি ,বয়স্কদের করোনার ঝুকি বেশী থাকে একারনে বাহিরে আলাদা স্পেস সম্পর্ণ জায়গা হলে ভাল হতো।
ব্যবস্থাপক লিটন কুমার বলেন, লোকবল, প্রয়োজনীয় উপকরণসহ নানা সিমাবদ্ধতা রয়েছে ব্যাংকটিতে। আশা করছি সরকার পর্যায়ক্রমে ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ব্যাংকের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবে। যেহুতু আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে স্ত্রী পরিজনের কথা না ভেবে করোনার মধ্যেও ঝুকি নিয়ে কাজ করছি।