প্রভাষক সাজেদুর রহমান..
পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার সমাজ গ্রামের (চলনবিলের) কৃতিসন্তান মমিন মজিবুল হক সমাজি বিশ্বব্যাংক সাহায্যপুষ্ট প্রস্তাবিত ওয়েস্টার্ন ইকনোমিক করিডর এ্যান্ড রিজিওনাল ইনহেন্সমেন্ট প্রোগ্রাম(পশ্চিমা অর্থনৈতিক করিডোর এবং আঞ্চলিক বর্ধন কর্মসূচী) (চ১৬৯৮৮০) এর প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন। গত ১০ মে স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত আদেশে সরকার তাকে ওই দায়িত্ব প্রদান করেছেন।
জানাগেছে, বিশ্বব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট ১০ বছর মেয়াদী সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের সর্বকালের সর্ববৃহৎ কর্মসূচী এটি। মমিন মজিবুল হক সমাজি ইতোপূর্বে এই প্রকল্পের সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল থেকে সাতক্ষিরার ভোমরা স্থলবন্দর পর্যন্ত এই সড়কের দুপাশের জেলাগুলো নিয়ে গঠিত এ প্রকল্প। এরমধ্যে রয়েছে সড়কগুলো প্রশস্ত হয়ে চারলেনে পরিনত করা। সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে এলজিইডি গ্রামীন গ্রোথ সেন্টার,গ্রাম্যবাজার স্থাপন। বাজারগুলোতে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলাদী কোন মধ্যসত্ত্ব ছাড়া সরাসরি বিক্রি করে নায্যমুল্য নিশ্চিত করন। ফসল দ্রুত বাজারজাত করতে কৃষকের মাঠ থেকে বাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মান। এছাড়া সড়কের সাথে ফাইবার এপ্টিক সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে আইটি ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে। গড়ে উঠবে কৃষি নির্ভর শিল্প কারখানা,স্পেশাল ইকোনমিক যোন (এসইজেড)। ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্টান গড়ে উঠবে,ফলে কর্মসংস্থানের অবারিত দ্বার উন্মোচিত হবে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মমিন মজিবুল হক সমাজি জানান,কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। এখানে অর্থায়ন করবে এশিয়ান অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক এবং অন্যান্য সংস্থা। প্রাথমিকভাবে একটা পদ্মা সেতুর নির্মান অর্থের কাছাকাছি অর্থ ছাড়ের নিশ্চয়তা দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। যে কেউ আমার প্রকল্পের স্কীম চিহ্নিত, বাস্তবায়ন ও সম্পাদিত কাজের গুনগত মান সম্পর্কে মতামত দিতে পারবেন। তিন স্তরে অর্থাৎ উপজেলা, জেলায় এবং এলজিইডি সদর দপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে। প্রতিটি স্তরে মতামত নিস্পত্তি করা হচ্ছে কিনা তা পরবর্তী স্তর মনিটর করবে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মসুচীর সফল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবার সহযোগীতা চান।
গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, মমিন মজিবুল হক সমাজি একজন প্রথিতযশা,দেশবরেন্য প্রকৌশলী। তিনি চলনবিল উন্নয়ন প্রকল্পেরও পরিচালক। তাঁর মাধ্যমে চলনবিলবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সংযুক্ত হবে। এমন প্রকল্পের সুফল পেয়ে আমরা চলনবিলবাসী ধন্য হব। দুটি প্রকল্পের গুরুদাসপুর অংশের সফল বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগীতা ও শুভকামনা অব্যাহত থাকবে।
গুরুদাসপুর বার্তার সম্পাদক ও গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাবের সাধা