নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
রাজশাহী সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ জুলফিকারের অনুমতিক্রমে পূর্ব নির্ধারিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরুরী কাজে সভাপতি রাজশাহীর বাইরে অবস্থান করায় মোবাইল ফোনে কথা বলে তার সন্মতিক্রমে ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি উত্তরা প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাবলুর সভাপতিত্বে ক্লাব ভবনে গতকাল বিকাল ৫টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত প্রেসক্লাবের ৯ জন সদস্য গঠণতন্ত্র লংঘন করায় তাদের বহিস্কার করা হয়।
বহিস্কৃত সদস্যগণ মিথ্যা অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে পৃথক পৃথক ৩টি সিভিল মামলা রাজশাহী জজকোর্টে দাখিল করেন। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা মামলা ৩টি মিথ্যা বলে প্রতিয়মান হয়ে খারিজ হওয়ায় প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্টানে আর কোন বাধা না থাকায় আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য পদের জন্য করা ১২টি আবেদনের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ৯ জনকে সাধারণ সদস্য ও ১ জনকে সহযোগী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
৯ জন নতুন সদস্যরা হলেন মো: ফয়সাল শাহরিয়ার অনতু (বিভাগীয় প্রতিনিধি,মাই টিভি ), মো, ফরহাদ হোসেন আদনান (রাজশাহী প্রতিনিধি, বিজয় টিভি ), মুসবা-আলিম তিন্নি (ষ্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আমাদের নতুন সময়), ওমর ফারুক (ষ্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নতুন প্রভাত), শ্রী সোমেন্দ্রনাথ মন্ডল ( ষ্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক রাজবার্তা), মো. ফজলুল করিম বাবলু (ষ্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বার্তা), আফরোজা খান হেলেন ( ষ্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক রাজশাহী সংবাদ), মো: মশিউর রহমান মনি (সাব এডিটর, দৈনিক রাজশাহীর আলো), মো: আমিনুল ইসলাম বনি (নির্বাহী সম্পাদক, সাপ্তাহিক সুবর্ণ সংবাদ) ও মোহা: আব্দুল কাদির জিলানী (অফিস ব্যবস্থাপক, ইউ.সি.সি কোচিং সেন্টার, রাজশাহী শাখা) কে সহযোগী সদস্য পদ প্রদান করা হয়।
সেই সাথে ক্লাব সদস্য মো: মহিব্বুল আরেফিন মিয়া ক্লাবকে অবগত না করে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সদস্য পদ গ্রহণ সহ ২০১৯-২০২০ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাহী সদস্য হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয় যার সংবাদ রাজশাহীর সকল পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, এমতাবস্থায় কার্য নির্বাহী পরিষদের সভায় গঠণতন্ত্রের ধারা -২ এর ক উপধারা-২ এ উল্লেখিত কোন সাংবাদিক রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত অন্য কোন প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন না। সংগঠনের গঠণতন্ত্রের এই ধারা মোতাবেক মো: মহিব্বুল আরেফিন মিয়ার সদস্য পদ সর্ব সম্মতিক্রমে বাতিল করা হয়।