গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
মিঠু (৩০) নামের এক যুবকের বাম পা কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাত আটটার দিকে বাড়ি থেকে খুবজীপুর বাজারে যাওয়ার সময় ইউনিয়ন পরিষদের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে শরীর থেকে বাম পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রাখে।
এসময় মিঠুর চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রামেকে পাঠিয়েছে। এঘটনায় রাতেই মিঠুর পিতা ছাইদুল বাদি হয়ে মিঠুর ফুপাত ভাই বাবু মন্ডলসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানান -আহত মিঠুর বিরুদ্ধে আপন ফুপা জালালকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, আপন নানা মমিন মন্ডলকে গলা কেটে হত্যা, মোজাম ডাকাতকে হাত-পা কাটা মামলাসহ এক নারীকে গলা কেটে হত্যা এছাড়াও মাদক,অস্ত্র ব্যাবসা, চাঁদাবাজিসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে। আহত মিঠু খুবজীপুর গ্রামের ছাইদুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মিঠুর চাচা রফিকুলের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মিঠুর পিতা সাইদুল ইসলাম ও তার লোকজন রাতেই বাড়িতে লুটপাটসহ রফিকুলের বাড়ি তালাবব্ধ করে পরিবারটিকে অবরুদ্ধ করে রাখে। রোববার সকালে পুলিশকে গিয়ে পরিবারটিকে উদ্ধার করেছে।
মিঠুর পিতা ছাইদুল ইসলামের অভিযোগ- পারিবারিক রেষেরেষির জের ধরেই যোগেন্দ্রনগর গ্রামের রাজু মন্ডল, রফি, শফি, বাবুর সহযোগীতায় কুপিয়ে তার ছেলে মিঠুর পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাবু মন্ডল যোগেন্দ্রনগর গ্রামের জালাল মন্ডলের ছেলে। তারা পরস্পর আত্মীয়। ঘটনার পর থেকে বাবু মন্ডল ও তার সহেযাগীরা পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানান- আহত মিঠুুর বাম পা হাটুর নিচ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
মিঠুর চাচা রফিকুল ইসলাম বলেন- তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চাচ্ছিলেন ভাতিজা মিঠু। কিন্তু সন্ত্রাসী প্রকৃতির ও মিঠুর নামে হত্যাসহ একাধিক মামলা থাকায় বিয়েতে সম্মত ছিলেন না তিনি। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে রেষারেষি চলছিল। মিঠুর পা কর্তনের পর থেকে সন্দেহের বসে তার বাড়িতে হামলা লুটপাট ও তালা ঝুলিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন মিঠুর বাবা।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- আহত মিঠুর নামে হত্যাসহ প্রায় ১২ মামলা রয়েছে। তার বাম পা কাটা অবস্থায় খুবজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গুরুদাসপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিঠু কানার পা কর্তনের জেরে হামলা লুটপাট
-
Reporter Name
- Update Time : ১২:০৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০
- ৪৩ Time View
Tag :
Popular Post