প্রভাষক মো.সাজেদুর রহমান স্টাফ রিপোর্টার
পরিস্থিতিতেও নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ঋনের কিস্তি আদায় শুরু করেছেন বিভিন্ন এনজিও। সরকারী নির্দেশনায় বলা হয়েছে আগামী ৩০ জুনের আগে কোন এনজিও ঋনের কিস্তি আদায় করতে পারবেন না। এর জন্য মনিটরিং সেলও খোলা হয়েছে। কিন্তু গুরুদাসপুর উপজেলায় আশা,আরআরএফ,আভাসহ বিভিন্ন বে-সরকারী সংস্থা লকডাউন শিথিলতার সুযোগে কিস্তি আদায় শুরু করেছে।
জানাগেছে, সম্প্রতি সরকারী ভাবে অঘোষিত লকডাউন সিথিল করার পর থেকে পুরোদমে এনজিও গুলো তাদের অফিস খুলে যথারিতি কার্যক্রম শুরু করেছেন। ৬ জুন শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ধারাবারিষার শিধুলীতে আশা,বেলা ১ টার দিকে চাঁচকৈড় বাজারে আভা সংস্থার কর্মিদের কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঋন গ্রহিতা কয়েকজন বলেন, এনজিও কর্মিরা ঋনের কিস্তি আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছেন। তারা জানাচ্ছেন কিস্তি না দিলে পরবর্তীতে আর ঋন দেয়া হবে না। করোনার প্রভাবে কাজ নাই,ঘরে অনেকের খাবারও নাই। তার পরেও আমরা তাদের চাপে কিস্তি দিতে বাধ্য হচ্ছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে গুরুদাসপুরের আভা’ডেভোলেপমেন্ট সোসাইটি’র ম্যানেজার বলেন, উপরের নির্দেশে কিস্তি আদায় শুরু করা হয়েছে। তবে,স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করেই কিস্তি আদায় করা হচ্ছে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন জানান, ঋন গ্রহীতা কাউকে চাপ সৃষ্টি করে কোন সংস্থা কিস্তি আদায় করতে পারবে না। কোন এনজিও চাপ সৃষ্টি করে কিস্তি আদায় করছে, এমন পরিস্থিতিতে কোন সদস্য আমাদের সহায়তা চাইলে আমরা তার পাশে থাকব।