প্রভাষক মো.মাজেম আলী মলিন.
একাত্তরে শহীদ চিকিৎসক আলীম চৌধুরীর কন্যা ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর স্বামী ডাক্তার মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এবং বড় ছেলেও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ডা: নুজহাত ও ডা: স্বপ্নীল দুজনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কর্মরত। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ডাক্তার নুজহাত এবং স্বপ্নীল করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।
এদিকে তার অসুস্থতার খবর বিভিন দৈনিকে প্রকাশিত হবার খবরে দেশ জুড়ে তার অসংখ্য ভক্তবৃন্দ বিভিন্ন মসজিদ,মন্দির ও গির্জায় তাদের জন্য দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেছেন।মহান সৃষ্টি কর্তা যেন তাদের দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
দেশ জুড়ে চেনা অচেনাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অসংখ্য ভক্তবৃন্দ এই দোয়ায় শামীল হয়েছেন বলে জানাগেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাক্তার নুজহাত চৌধুরী ও তার পরিবারে জন্য দোয়া আর আশির্বাদ তো করছেনই সেই সাথে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার সুস্থতার জন্য দোয়া ও আশির্বাদ করেছেন। নিতান্তই প্রিয় মানুষ্টির জন্য ভালোবাসা থেকেই।
ডা: স্বপ্নীল আজ গনমাধ্যমকে জানান,”চার দিন হল আমি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি। আমার স্ত্রী ও অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেটি গত তিন দিন আগে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা সবাই বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছি। এমনিতে তেমন কোনো সমস্যা নেই।”
তিনি আরও জানান, তারা দুজনেই বাসা থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে সচেতনা সৃষ্টির জন্য লেখালেখি এবং অনলাইনে পরামর্শ দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ডা. নুজহাত চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং প্রজন্ম একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তাঁর বাবা একাত্তরের শহীদ ডাক্তার আলীম চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যান্ত বিস্বস্ত এবং কাছের একজন মানুষ। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে বিমানবন্দরে নেমে সবার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘ওরা নাকি আমার চোখের ডাক্তারকে মেরে ফেলেছে?’
অন্যদিকে ডাক্তার স্বপ্নীল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের প্রধান।
প্রভাষক মো,মাজেম আলী মলিন প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক বনলতা সভাপতি গুরুদাসপুর মডেল প্রেসক্লাব,নাটোর।