বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

৮০ হাজার টাকায় মিললো প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ সহনীয় ঘর

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
  • ৩৩ Time View

বনলতা নিউজ ডেস্ক.
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৮০ হাজার টাকায় মিললো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দুর্যোগ সহনীয় ঘর। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলী গাঁও গ্রামে। জানা যায়, ওই গ্রামের গৃহহীন হতদরিদ্র সেকান্দর আলী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে একটি সরকারি ঘরের আবেদন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন।
পরে সেকান্দর আলী ঋণ ধার করে ওই টাকা চেয়ারম্যানকে দেন। টাকা পেয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তাকে।
সেকান্দর আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। কিন্তু ঋণ-ধার করে নিয়ে চেয়ারম্যানকে দেয়া টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। এ নিয়ে দেনাদারদের চাপে আমি এখন দিশেহারা। না পারছি সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাতে না পারছি ঋণ পরিশোধ করতে।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন দশটি ঘর বরাদ্দ পেয়ে নয়টি ঘর ইউপি সদস্যদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছি। টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে অবহিত করা হলে তিনি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।

Tag :
Popular Post

গরমে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

৮০ হাজার টাকায় মিললো প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ সহনীয় ঘর

Update Time : ০২:১৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

বনলতা নিউজ ডেস্ক.
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ৮০ হাজার টাকায় মিললো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া দুর্যোগ সহনীয় ঘর। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের হাসলী গাঁও গ্রামে। জানা যায়, ওই গ্রামের গৃহহীন হতদরিদ্র সেকান্দর আলী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে একটি সরকারি ঘরের আবেদন করেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম তার কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন।
পরে সেকান্দর আলী ঋণ ধার করে ওই টাকা চেয়ারম্যানকে দেন। টাকা পেয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্যোগ সহনীয় একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয় তাকে।
সেকান্দর আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। কিন্তু ঋণ-ধার করে নিয়ে চেয়ারম্যানকে দেয়া টাকা এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। এ নিয়ে দেনাদারদের চাপে আমি এখন দিশেহারা। না পারছি সন্তানদের ভরণপোষণ যোগাতে না পারছি ঋণ পরিশোধ করতে।

ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন দশটি ঘর বরাদ্দ পেয়ে নয়টি ঘর ইউপি সদস্যদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছি। টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে অবহিত করা হলে তিনি সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।