শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আক্কেলপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন সন্দেহের তীর স্বামীর দিকে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
  • ৪৭ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক জয়পুরহাট.
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রোজিনা আখতার (১৬) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর ছুরিকাঘাত করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রোজিনা আখতার গুডুম্বা ডি এস ফাজিল মাদরাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার স্বামী মেহেদী হাসান ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রোজিনা আখতারের সঙ্গে হরিসাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক মেহেদী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত কয়েক মাস আগে মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় থানায় মীমাংসার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই এক লাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহর নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। রোজিনা আখতার বাবার বাড়িতেই থাকত।
শুক্রবার (১৯ জুন) গভীর রাতে তার স্বামী মেহেদী হাসান তাকে বাবার বাড়ি থেকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিজ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে রোজিনা আখতারের মরদেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন ও পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত রোজিনার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দেনমোহরের টাকা নিয়ে কলহ লেগে ছিল। শুক্রবার সকালে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ফেরে। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। গভীর রাতে জামাই মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সকালে ছুরিকাঘাত করা অবস্থায় বাড়ির পাশে মেয়ের লাশ পাই।
রোজিনার মা ছালেমা খাতুন বলেন, জামাই মেহেদী হাসান দেনমোহরের টাকা না দিয়ে মেয়েকে তালাক দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। এতে প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই ছিল। জামাই মেহেদী হাসান শুক্রবার গভীর রাতে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ভোরে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আমার বাড়ির পাশে লাশ ফেলে যায়।

Tag :

আক্কেলপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী খুন সন্দেহের তীর স্বামীর দিকে

Update Time : ০৯:৩৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক জয়পুরহাট.
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রোজিনা আখতার (১৬) নামে এক মাদরাসাছাত্রীর ছুরিকাঘাত করা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রোজিনা আখতার গুডুম্বা ডি এস ফাজিল মাদরাসার ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার স্বামী মেহেদী হাসান ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুডুম্বা পূর্বপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের মেয়ে রোজিনা আখতারের সঙ্গে হরিসাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক মেহেদী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত কয়েক মাস আগে মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় থানায় মীমাংসার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই এক লাখ ৫০ হাজার টাকার দেনমোহর নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকতো। রোজিনা আখতার বাবার বাড়িতেই থাকত।
শুক্রবার (১৯ জুন) গভীর রাতে তার স্বামী মেহেদী হাসান তাকে বাবার বাড়ি থেকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিজ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে রোজিনা আখতারের মরদেহ পরে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজন ও পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত রোজিনার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দেনমোহরের টাকা নিয়ে কলহ লেগে ছিল। শুক্রবার সকালে আমার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ফেরে। এ নিয়েও তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। গভীর রাতে জামাই মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সকালে ছুরিকাঘাত করা অবস্থায় বাড়ির পাশে মেয়ের লাশ পাই।
রোজিনার মা ছালেমা খাতুন বলেন, জামাই মেহেদী হাসান দেনমোহরের টাকা না দিয়ে মেয়েকে তালাক দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। এতে প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ লেগেই ছিল। জামাই মেহেদী হাসান শুক্রবার গভীর রাতে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে ভোরে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আমার বাড়ির পাশে লাশ ফেলে যায়।