বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নির্যাতনের শিকার ৮০ বছরের বৃদ্ধ দম্পতির পাশে ইউএনও!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০
  • ১৬ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক দৈনিক বনলতা.
বৃদ্ধ দম্পতি খোরশেদ আলী (৮০) ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুন (৭৫)। একটি কুড়ে ঘরে তাদের বসবাস। সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর মধ্যমপাড়া গ্রামে। সন্তানরা যে যার যার মত আলাদা থাকেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েগেছে এবং দুই ছেলে অন্য জেলায় বসবাস করেন। ছোট ছেলে বাহারের সাথেই থাকেন তারা। শশুড়-শাশুড়ী দুই জনই বৃদ্ধ হওয়ায় মাঝে মাঝেই নির্যাতন করে ছোট ছেলে বাহারের স্ত্রী। বাড়ির জায়গা টুকু ছাড়া তাদের আর কোন জায়গা জমি নেই। খেয়ে না খেয়ে দুঃখ কষ্টে চলে তাদের সংসার।
সোমবার বিকেলে পুত্রবধুর হাতে বৃদ্ধ দম্পতির নির্যাতনের খবর পান ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন। তৎখনাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওই কর্মকর্তা। বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের সার্বিক সমস্যার কথা শোনেন। তারা দুইজনই একটি ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে থাকেন। বৃষ্টি আসলে পানি পরে। খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে হয় বৃদ্ধ দম্পতির। তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য কিছু আর্থিক অনুদান হাতে তুলে দেন ইউএনও তমাল হোসেন।
তাদের এক মাত্র ঘরটিও মেরামত করে দিবেন বলে জানান তিনি । আর্থিক অনুদান ও ঘর মেরামতের কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধ দম্পতি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানান, বিকেলে বৃদ্ধ দম্পতির পুত্রবধুর হাতে নির্যাতনের ঘটনা শোনার পর তৎখনাত ঘটনাস্থলে যাই। ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের ছেলের স্ত্রীর সাথে কথা বলি এবং তাদের সার্বিক সমস্যার কথা শুনি। পুত্রবধুকে প্রাথমিক পর্যায়ে নিষেধ করা হয়েছে। শশুড়-শাশুড়ীকে যেন আর কোন নির্যাতন না করে ঠিক মত যত্ন নেন । অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওই দম্পতির পুত্রবধুকে জানানো হয়েছে। তাদের ঘরটি বসবাসের উপযুক্ত না। এ জন্য নগদ কিছু অর্থ তাদের দুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ঘরটি মেরামত করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Tag :
Popular Post

গুরুদাসপুরে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারে অবহিতকরণ কর্মশালা

নির্যাতনের শিকার ৮০ বছরের বৃদ্ধ দম্পতির পাশে ইউএনও!

Update Time : ০৩:৫১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক দৈনিক বনলতা.
বৃদ্ধ দম্পতি খোরশেদ আলী (৮০) ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুন (৭৫)। একটি কুড়ে ঘরে তাদের বসবাস। সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বাড়ি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের দুর্গাপুর মধ্যমপাড়া গ্রামে। সন্তানরা যে যার যার মত আলাদা থাকেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েগেছে এবং দুই ছেলে অন্য জেলায় বসবাস করেন। ছোট ছেলে বাহারের সাথেই থাকেন তারা। শশুড়-শাশুড়ী দুই জনই বৃদ্ধ হওয়ায় মাঝে মাঝেই নির্যাতন করে ছোট ছেলে বাহারের স্ত্রী। বাড়ির জায়গা টুকু ছাড়া তাদের আর কোন জায়গা জমি নেই। খেয়ে না খেয়ে দুঃখ কষ্টে চলে তাদের সংসার।
সোমবার বিকেলে পুত্রবধুর হাতে বৃদ্ধ দম্পতির নির্যাতনের খবর পান ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন। তৎখনাত ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওই কর্মকর্তা। বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের সার্বিক সমস্যার কথা শোনেন। তারা দুইজনই একটি ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে থাকেন। বৃষ্টি আসলে পানি পরে। খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে হয় বৃদ্ধ দম্পতির। তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য কিছু আর্থিক অনুদান হাতে তুলে দেন ইউএনও তমাল হোসেন।
তাদের এক মাত্র ঘরটিও মেরামত করে দিবেন বলে জানান তিনি । আর্থিক অনুদান ও ঘর মেরামতের কথা শুনে খুশিতে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধ দম্পতি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তমাল হোসেন জানান, বিকেলে বৃদ্ধ দম্পতির পুত্রবধুর হাতে নির্যাতনের ঘটনা শোনার পর তৎখনাত ঘটনাস্থলে যাই। ওই দম্পতির বাড়িতে গিয়ে তাদের ছেলের স্ত্রীর সাথে কথা বলি এবং তাদের সার্বিক সমস্যার কথা শুনি। পুত্রবধুকে প্রাথমিক পর্যায়ে নিষেধ করা হয়েছে। শশুড়-শাশুড়ীকে যেন আর কোন নির্যাতন না করে ঠিক মত যত্ন নেন । অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওই দম্পতির পুত্রবধুকে জানানো হয়েছে। তাদের ঘরটি বসবাসের উপযুক্ত না। এ জন্য নগদ কিছু অর্থ তাদের দুজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ঘরটি মেরামত করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।