রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাজধানীর ২৫ স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • ৬৬ Time View

বনলতা নিউজ ডেস্ক.
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে এবার ২৫ টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। বাণিজ্যের তুলনায় জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ বিবেচনার তাগিদ নগরবাসী ও পরিবেশবিদদের। অন্যান্যবারের মত শহরের মধ্যে না রেখে লোকালয় থেকে দূরে হাট বসানো না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে বলে অভিমত তাদের। নগর কর্তৃপক্ষ বলছেন-আয়তনে বড় করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে হাটগুলো পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রতিবছরই বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে রাজধানীর ভেতরে অস্থায়ী পশুর হাট বসে। নির্ধারিত স্থানে হাটের গণ্ডি সীমাবদ্ধ না থাকা, পরিচ্ছন্নতায় উদাসীনতা, নির্দিষ্ট সময়ে অবকাঠামা না সরানোসহ নানা অনিয়ম তৈরি হয়। সাধারণ নিয়মের পাশাপাশি গতবছর ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কের কারণে বেঁধে দেয়া বিধি নিষেধও উপেক্ষিত ছিল বেশিরভাগ হাটে।
বিগত সময়ের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে নগরবাসী ও পরিবেশবিদরা বলছেন- কয়েকবছর যাবৎ শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর দাবি উপেক্ষিত থাকলেও, এবার করোনা সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
ডা সাব্বির আহমেদ খান বলেন, এই জায়গাগুলোতে যদি স্পেস মেইনটেইন করে যদি পশুগুলোকে রাখা যায় তাহলে ভালো হবে।
স্থপতি নগরবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, প্রান্তিক খোলা জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করে হাট বসানো উচিত। শহর অভ্যন্তরে অবশ্যই এই জাতীয় জায়গা ব্যবহার পরিত্যাজ্য ঘোষণা করা উচিত।
তবে, বাজারের সংখ্যা কমানো কিংবা জায়গা পরিবর্তনের বিষয়টি আমলে নেয়নি কোন কর্তৃপক্ষই। এবার খেলার মাঠ ছাড় পেলেও রাস্তা ও লোকালয় রয়েছে প্রস্তাবিত হাটগুলোতে। ঢাকা উত্তরে গত বছর ৯টি থাকলেও এবার আরেকটি অস্থায়ী হাট বাড়ছে, গাবতলীর স্থায়ী হাটটিসহ এবার ১০টি জায়গায় ইজারার প্রস্তুতি চলছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশরনে গত বছরের মত এবারও ১৪টি পশুর হাট ইজারা দেয়া হবে।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রত্যেক বাজারেই পৃথক টিম থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গরুর হাট হবে।
কুরবানির সময় মফস্বল থেকে ঢাকায় মানুষের ব্যাপক সমাগম থাকায় এবার তাদের খাদ্য, অবস্থান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে বলে আশ্বাস দুই সিটি করপোরেশনের।
তবে, কাগজে কলমের আশ্বাস ও এর বাস্তব প্রতিফলনের মধ্যে পার্থক্য থাকলে ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন নস্যাৎ হতে পারে করোনা ঝুঁকির কারণে।

Tag :

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাজধানীর ২৫ স্থানে বসছে কোরবানির পশুর হাট

Update Time : ০২:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

বনলতা নিউজ ডেস্ক.
করোনা আতঙ্কের মধ্যেই রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে এবার ২৫ টি স্থানে বসবে কোরবানির পশুর হাট। বাণিজ্যের তুলনায় জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ বিবেচনার তাগিদ নগরবাসী ও পরিবেশবিদদের। অন্যান্যবারের মত শহরের মধ্যে না রেখে লোকালয় থেকে দূরে হাট বসানো না হলে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে বলে অভিমত তাদের। নগর কর্তৃপক্ষ বলছেন-আয়তনে বড় করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা রেখে হাটগুলো পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।
প্রতিবছরই বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিয়ে রাজধানীর ভেতরে অস্থায়ী পশুর হাট বসে। নির্ধারিত স্থানে হাটের গণ্ডি সীমাবদ্ধ না থাকা, পরিচ্ছন্নতায় উদাসীনতা, নির্দিষ্ট সময়ে অবকাঠামা না সরানোসহ নানা অনিয়ম তৈরি হয়। সাধারণ নিয়মের পাশাপাশি গতবছর ডেঙ্গু জ্বরের আতঙ্কের কারণে বেঁধে দেয়া বিধি নিষেধও উপেক্ষিত ছিল বেশিরভাগ হাটে।
বিগত সময়ের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে নগরবাসী ও পরিবেশবিদরা বলছেন- কয়েকবছর যাবৎ শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর দাবি উপেক্ষিত থাকলেও, এবার করোনা সংক্রমণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
ডা সাব্বির আহমেদ খান বলেন, এই জায়গাগুলোতে যদি স্পেস মেইনটেইন করে যদি পশুগুলোকে রাখা যায় তাহলে ভালো হবে।
স্থপতি নগরবিদ ইকবাল হাবীব বলেন, প্রান্তিক খোলা জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করে হাট বসানো উচিত। শহর অভ্যন্তরে অবশ্যই এই জাতীয় জায়গা ব্যবহার পরিত্যাজ্য ঘোষণা করা উচিত।
তবে, বাজারের সংখ্যা কমানো কিংবা জায়গা পরিবর্তনের বিষয়টি আমলে নেয়নি কোন কর্তৃপক্ষই। এবার খেলার মাঠ ছাড় পেলেও রাস্তা ও লোকালয় রয়েছে প্রস্তাবিত হাটগুলোতে। ঢাকা উত্তরে গত বছর ৯টি থাকলেও এবার আরেকটি অস্থায়ী হাট বাড়ছে, গাবতলীর স্থায়ী হাটটিসহ এবার ১০টি জায়গায় ইজারার প্রস্তুতি চলছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশরনে গত বছরের মত এবারও ১৪টি পশুর হাট ইজারা দেয়া হবে।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রত্যেক বাজারেই পৃথক টিম থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গরুর হাট হবে।
কুরবানির সময় মফস্বল থেকে ঢাকায় মানুষের ব্যাপক সমাগম থাকায় এবার তাদের খাদ্য, অবস্থান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে বলে আশ্বাস দুই সিটি করপোরেশনের।
তবে, কাগজে কলমের আশ্বাস ও এর বাস্তব প্রতিফলনের মধ্যে পার্থক্য থাকলে ধর্মীয় উৎসবের আয়োজন নস্যাৎ হতে পারে করোনা ঝুঁকির কারণে।