শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেলেন গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেন!

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
  • ৪৪ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবাায়ন কৃষি ও কৃষক বান্ধব কাজ,মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রচার প্রচারনাসহ বিভিন্ন জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন,গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন। পেশাগত দক্ষতাসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি স্বরুপ জেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ( ২০১৯-২০) পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর জেলা প্রশাাসকের সম্মেলন কক্ষে সীমিত আয়োজনে এ পুরস্কার প্রদানান করা হয় তাঁকে। নাটোর জেলা প্রশাাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ ওই পুরষ্কার ইউএনও তমাল হোসেনের হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। এ পুরুস্কার আমার ভবিষ্যত কর্মময় জীবনে পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। যেসব সূচক বিবেচনায় প্রশাসন আমাকে এ পুরস্কার দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এর প্রতিটি বিষয়ে শুদ্ধাচার চর্চায় মনোনিবেশ করব।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হিসাবে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি পাশ করেন তিনি। বাবা ছিলেন একজন সফল চিকিৎসক ও সাবেক পরিচালক স¦াস্থ্য মন্ত্রনালয়ের। কর্ম জীবনে তিনি ছিলেন যেমন একজন অকুতভয় চৌকস সরকারী কর্মকর্তা, ঠিক তেমনি তার সন্তান ইউএনও এ সময়ের বীর সেনা হিসাবে সকলের কাছে সমাদৃত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা কালীন ছুটে বেড়িয়েছেন রাস্তাা-ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ধরতে। প্রমোশন পেয়ে যোগ দেন এসিল্যান্ড পদে বগুড়া সদরে। সেখান থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । কি শীত, কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছেন তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। সর্বদা ছুটে বেড়ান গুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন আর পৌরসভায়। সব যেন তার নখদর্পনে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। বৈশ্বিক এই মহামারি কালেও থেমে নেই তিনি, ত্রাণ হাতে ছুটছেন তার সারা কর্মস্থল জুড়ে।শুধু তাই নয় মহামারির কবলে পড়া করোনা রোগীর কাছে গিয়েছেন উপকরন আর দান নিয়ে ।
মানবিক এই কর্মকর্তার স্বভাব-শুলভ যেমন মানবিক, তার বিচার প্রক্রিয়া তেমনই কঠিন। মাদকের করালগ্রাসে হতাশাগ্রস্থ শহর বাসিকে এনে দিয়েছেন একমুঠো শান্তির পশলা। ইভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি নিরব কিংবা অসফল সেখানেই ইউএনও তোমাল হোসেনের সফলতার গল্প রচিত। তমাল হোসেন একজন করিৎকর্মা সৃজনশীল কর্মকর্তা। ৩১ তম বিসিএসের প্রশাসনিক এই কর্মকর্তা গত ২০১৯ সালের ৬ই আগষ্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। এসব কল্যায়নকর কাজের জন্য সংবাদ পত্রের শিরো নাম ও হয়েছেন বহুবার।
জেলা প্রশাাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ অনেকে।

Tag :

শুদ্ধাচার পুরষ্কার পেলেন গুরুদাসপুরের ইউএনও তমাল হোসেন!

Update Time : ১১:০১:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবাায়ন কৃষি ও কৃষক বান্ধব কাজ,মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রচার প্রচারনাসহ বিভিন্ন জনকল্যানমূলক কর্মকান্ডে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন,গুরুদাসপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তমাল হোসেন। পেশাগত দক্ষতাসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি অর্জনের স্বীকৃতি স্বরুপ জেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ( ২০১৯-২০) পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর জেলা প্রশাাসকের সম্মেলন কক্ষে সীমিত আয়োজনে এ পুরস্কার প্রদানান করা হয় তাঁকে। নাটোর জেলা প্রশাাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ ওই পুরষ্কার ইউএনও তমাল হোসেনের হাতে তুলে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তমাল হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। এ পুরুস্কার আমার ভবিষ্যত কর্মময় জীবনে পথ নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। যেসব সূচক বিবেচনায় প্রশাসন আমাকে এ পুরস্কার দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এর প্রতিটি বিষয়ে শুদ্ধাচার চর্চায় মনোনিবেশ করব।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হিসাবে কৃতিত্বের সাথে বিএসসি পাশ করেন তিনি। বাবা ছিলেন একজন সফল চিকিৎসক ও সাবেক পরিচালক স¦াস্থ্য মন্ত্রনালয়ের। কর্ম জীবনে তিনি ছিলেন যেমন একজন অকুতভয় চৌকস সরকারী কর্মকর্তা, ঠিক তেমনি তার সন্তান ইউএনও এ সময়ের বীর সেনা হিসাবে সকলের কাছে সমাদৃত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকা কালীন ছুটে বেড়িয়েছেন রাস্তাা-ঘাট ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ধরতে। প্রমোশন পেয়ে যোগ দেন এসিল্যান্ড পদে বগুড়া সদরে। সেখান থেকেই গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি । কি শীত, কি গরম আর কি বর্ষা। মাঠ-ঘাট সব এক করে ফেলেছেন তার কর্মজজ্ঞ দিয়ে। সর্বদা ছুটে বেড়ান গুদাসপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন আর পৌরসভায়। সব যেন তার নখদর্পনে। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। বৈশ্বিক এই মহামারি কালেও থেমে নেই তিনি, ত্রাণ হাতে ছুটছেন তার সারা কর্মস্থল জুড়ে।শুধু তাই নয় মহামারির কবলে পড়া করোনা রোগীর কাছে গিয়েছেন উপকরন আর দান নিয়ে ।
মানবিক এই কর্মকর্তার স্বভাব-শুলভ যেমন মানবিক, তার বিচার প্রক্রিয়া তেমনই কঠিন। মাদকের করালগ্রাসে হতাশাগ্রস্থ শহর বাসিকে এনে দিয়েছেন একমুঠো শান্তির পশলা। ইভটিজার, পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। যেখানে অনেক জনপ্রতিনিধি নিরব কিংবা অসফল সেখানেই ইউএনও তোমাল হোসেনের সফলতার গল্প রচিত। তমাল হোসেন একজন করিৎকর্মা সৃজনশীল কর্মকর্তা। ৩১ তম বিসিএসের প্রশাসনিক এই কর্মকর্তা গত ২০১৯ সালের ৬ই আগষ্ট নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজস্ব অর্থায়নে অনেকের পাশে দাঁড়িয়েছেন।। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। এসব কল্যায়নকর কাজের জন্য সংবাদ পত্রের শিরো নাম ও হয়েছেন বহুবার।
জেলা প্রশাাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ অনেকে।