বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শত্রুতার জেরে গুরুদাসপুরে বিষ খাইয়ে ১২৭টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০
  • ২০ Time View

বিশেষ প্রতিবেদক.
গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় খামার মালিক কাজি আতাহার হোসেন প্রতিবেশি দুই ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারি কাজি আতাহার হোসেন অভিযোগ করেন- তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে হাঁস চাষ করছেন। এই পেশায় তিনি অভাব ঘুঁচিয়ে স্বাবলম্বি হয়েছেন। বাড়ির পাশের নন্দকুঁজা নদীর ধারেই তার হাঁসের খামার। উত্তরপাড়ে পৌর সদরের নারায়নপুর গ্রামে তার বাড়ি ও দক্ষিণপাড়ের উত্তরনারীবাড়ি মহল্লায় প্রতিবেশি আয়নাল-ইমরানের বাড়ি। দুপুর বেলার প্রখর রোধে হাঁসগুলো নদীর দক্ষিণপাশের প্রতিবেশির আয়নাল ও  ইমারানের বাঁশবাগানে আশ্রয় নেয়। এতে ক্ষিপ্ত ছিলেন আয়নাল ও ইমরান। দিন চারেক আগে বাঁশ বাগানে হাঁস যাওয়ার ব্যপারে তাকে শাসান ওই দুই প্রতিবেশি।

তিনি বলেন-এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে খামারে হাঁস চাষ করছিলেন। খামারের ১২৮টি হাঁসের মধ্যে প্রায় ১২৬টি হাঁস প্রতিদিন ডিম দিচ্ছিল। তাতে গড়ে প্রায় ১২শ টাকার ডিম বিক্রি করতেন।

কিন্তু প্রতিবেশি আয়নাল ও ইমরান শুক্রবার সকাল দশটার দিকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দেন। এতে দুপুর দুইটার দিকে হাঁসগুলো একে একে সব মরে যায়।

বিষয়টি কথা বলতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করা হয়। হাঁসগুলো মেরে ফেলায় এখন ঋণের টাকা গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়ালো।

অভিযুক্ত আয়নাল ও ইমরান অভিযোগ অস্বীকার জানান- তাদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- আতাহার নামের এক খামারি হাঁস মেরে ফেলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :
Popular Post

গুরুদাসপুরে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারে অবহিতকরণ কর্মশালা

শত্রুতার জেরে গুরুদাসপুরে বিষ খাইয়ে ১২৭টি হাঁস মেরে ফেলার অভিযোগ

Update Time : ০১:৪৪:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

বিশেষ প্রতিবেদক.
গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় খামার মালিক কাজি আতাহার হোসেন প্রতিবেশি দুই ব্যাক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ খামারি কাজি আতাহার হোসেন অভিযোগ করেন- তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে হাঁস চাষ করছেন। এই পেশায় তিনি অভাব ঘুঁচিয়ে স্বাবলম্বি হয়েছেন। বাড়ির পাশের নন্দকুঁজা নদীর ধারেই তার হাঁসের খামার। উত্তরপাড়ে পৌর সদরের নারায়নপুর গ্রামে তার বাড়ি ও দক্ষিণপাড়ের উত্তরনারীবাড়ি মহল্লায় প্রতিবেশি আয়নাল-ইমরানের বাড়ি। দুপুর বেলার প্রখর রোধে হাঁসগুলো নদীর দক্ষিণপাশের প্রতিবেশির আয়নাল ও  ইমারানের বাঁশবাগানে আশ্রয় নেয়। এতে ক্ষিপ্ত ছিলেন আয়নাল ও ইমরান। দিন চারেক আগে বাঁশ বাগানে হাঁস যাওয়ার ব্যপারে তাকে শাসান ওই দুই প্রতিবেশি।

তিনি বলেন-এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে খামারে হাঁস চাষ করছিলেন। খামারের ১২৮টি হাঁসের মধ্যে প্রায় ১২৬টি হাঁস প্রতিদিন ডিম দিচ্ছিল। তাতে গড়ে প্রায় ১২শ টাকার ডিম বিক্রি করতেন।

কিন্তু প্রতিবেশি আয়নাল ও ইমরান শুক্রবার সকাল দশটার দিকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দেন। এতে দুপুর দুইটার দিকে হাঁসগুলো একে একে সব মরে যায়।

বিষয়টি কথা বলতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দও করা হয়। হাঁসগুলো মেরে ফেলায় এখন ঋণের টাকা গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়ালো।

অভিযুক্ত আয়নাল ও ইমরান অভিযোগ অস্বীকার জানান- তাদের বিরুদ্ধে হয়রানীমূলকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন- আতাহার নামের এক খামারি হাঁস মেরে ফেলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।