রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চযাত্রীর ভয়াবহ বর্ণনা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
  • ৬৭ Time View

বনলতা নিউজ ডেস্ক.

ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘ময়ূর ২’ লঞ্চের ধাক্কায় ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী মো. মাসুদ বর্ণনা দিয়েছেন ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার।

তিনি বলেন, ‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ (মর্নিং বার্ড) সোজা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ (ময়ূর ২) তেছড়াভাবে (বাঁকা) রওনা দিছে। তেছড়াভাবে রওনা দেয়াতে ওই লঞ্চটা বাড়ি দিছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। বাড়ি দেয়ার সাথে সাথে লঞ্চটা কাইত হয়ে ডুবে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয় নাই। আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে আমি বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেন নাই। তাদের খোঁজ করছি।’

মাসুদ আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী আমরা সাঁতরে উঠতে পারছি। বাকি যাত্রী কেউ উঠতে পারে নাই। তারা লঞ্চের ভেতরেই ছিল। আমরা প্রায় ১৫০ জনের মতো লোক ছিলাম।’

তিনি আরও জানান, রাজধানীর ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে কাপড়ের দোকান করেন। রোববার ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যান। তাদের নিয়ে আজ সকালে লঞ্চের একটি কেবিনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু লঞ্চ পাড়ে ভেড়ার আগে মুহূর্তে লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

Tag :

বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চযাত্রীর ভয়াবহ বর্ণনা

Update Time : ০৭:৫৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০

বনলতা নিউজ ডেস্ক.

ঢাকার শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘ময়ূর ২’ লঞ্চের ধাক্কায় ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী মো. মাসুদ বর্ণনা দিয়েছেন ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার।

তিনি বলেন, ‘ঘাটে ভেড়ার জন্য আমাদের লঞ্চ (মর্নিং বার্ড) সোজা আসছিল। অন্য একটা লঞ্চ (ময়ূর ২) তেছড়াভাবে (বাঁকা) রওনা দিছে। তেছড়াভাবে রওনা দেয়াতে ওই লঞ্চটা বাড়ি দিছে আমাদের লঞ্চের মাঝে। বাড়ি দেয়ার সাথে সাথে লঞ্চটা কাইত হয়ে ডুবে গেছে। তলায় যেতে ১০ সেকেন্ডও সময় নেয় নাই। আমি কেবিনে ছিলাম। গ্লাস খুলে আমি বের হইছি। ভেতরে আমার আপন দুই মামা ছিলেন। তারা তো বের হতে পারেন নাই। তাদের খোঁজ করছি।’

মাসুদ আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর লঞ্চে থাকা প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী আমরা সাঁতরে উঠতে পারছি। বাকি যাত্রী কেউ উঠতে পারে নাই। তারা লঞ্চের ভেতরেই ছিল। আমরা প্রায় ১৫০ জনের মতো লোক ছিলাম।’

তিনি আরও জানান, রাজধানীর ইসলামপুরের গুলশানআরা সিটিতে কাপড়ের ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিন তিনি সকালে মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে কাপড়ের দোকান করেন। রোববার ময়মনসিংহ থেকে তার দুই মামা তাদের মুন্সিগঞ্জের বাসায় বেড়াতে যান। তাদের নিয়ে আজ সকালে লঞ্চের একটি কেবিনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন। কিন্তু লঞ্চ পাড়ে ভেড়ার আগে মুহূর্তে লঞ্চ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।