গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
করোনাভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউন চলছে। ফলে ছোট-বড় সব ধরনের রেস্টুরেন্ট থেকে বেকারি পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। এ পরস্থিতিতে অভুক্ত রয়েছে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ঘোরাফেরা করা বেওয়ারিস কুকুরগুলো। ওই কুকুরের সাথে অভুক্ত রয়েছে বাচ্চা কুকুরগুলোও।
অনাহারে অর্ধাহারে থাকা এসব কুকুরগুলোকে বুধবার বিকেলে বেওয়ারিস কুকুরগুলোকে খাবার দিতে দেখা যায় প্রাণী একজন মহিলাকে। ওই মহিলাার বাাাড়ি উপজেলার উত্তর নারি বাড়ি মহল্লার অবসর প্রাপ্ত উপকৃষি কর্মকর্তা মৃত আব্দুল হালিমের স্ত্রী।
তিনি জানান, যতদিন পর্যন্ত খাবার হোটেল ও বেকারি খুলবে না ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ খাবার পরিবেশন অব্যাহত থাকবে প্রতিনিয়ত।
উপজেলার বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাঈদ জানান, খাবারের দোকানগুলো বন্ধের পূর্বে বেশি রাত করে বাসায় ফিরলে শহরের বিভিন্ন সড়কে কুকুরের ডাকে ভয় পেতে হতো। কিন্তু খাবারের দোকান বন্ধের পর থেকে কুকুরগুলো অভুক্ত থাকায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে অলস ভাবে ঘুমিয়ে থাকে। আগের মত হাঁকডাক নেই বললেই চলে।
গুরুদাসপুর রোজী মোজাম্মেল মহিলা অনার্স কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছায়েমা চৌধুরী বলেন, অকারণে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ না করে তাদের প্রতি সকলের সদয় হওয়া উচিত। কারণ এ কঠিন সময়ে মানুষেরই দুবেলা খাবার যোগানো কষ্টকর। তার পরও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সকল সৃষ্টিকে নিজেদের স্বার্থেই বাঁচিয়ে রাখা উচিত। আজ প্রকৃতির উপর বৈরী আচরনের কারনে আমাদের এ অবস্থা। সুতারাং এই আপদ কালিন সময়ে সবারই উচিত পোষা প্রাণীসহ সকল প্রাণীকুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা । মো.মাজেম আলী মলিন