শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বড়াইগ্রামের চিনিডাঙ্গার পদ্ম রাজ্যে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • ১৪৬ Time View
বিশেষ প্রতিবেদক বড়াইগ্রাম.
পদ্মকে ফুলের রানী বলা হয়ে থাকে। বিলে-ঝিলে এসব সবুজ প্রান্তর আর পদ্ম ফুলের সৌরভ বিমোহিত করে মনকে। এখানে এলে বাতাসেও ছুঁয়ে যায় ফুলের ঘ্রাণ। নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য গ্রামীণ জনপদে বয়ে আনে একটু প্রশান্তির ছায়া আর সুখ। আবার কারো কারো জীবনে পদ্ম নিয়ে জড়িয়ে আছে অনেক অজানা স্মৃতিও।
মনোমুগ্ধকর এই বিল দেখতে হলে আসতে হবে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনিডাঙ্গায়। দূর থেকে মনে হবে যেন ফুলের বিছানা পাতা। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া জলজ ফুলের রানি এই পদ্ম ফুল শুধু যে সৌন্দর্যই বাড়িয়ে দিয়েছে তা নয় শ্রীবৃদ্ধি করেছে বিলেরও । দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুল শয্যার বিছানা পেতে রেখেছে কোন এক নব দম্পতি। প্রতিদিনই এই অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা।
বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিল ভ্রমণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এখানে জলজ ফুলের রানি পদ্ম প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে মেলে ধরেছে আপন সৌন্দর্য। এত দিন অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল বিলটি। বিলের চারদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এ পদ্ম দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এমন অপরূপ দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিলে ডিঙি নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে মনের অজান্তে বেড়িয়ে আসে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতাটি : মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর/ তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব/ সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে!/ নাদের আলি, আমি আর কত বড় হব? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়/তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
কবিতাটি পড়ে যাঁদের তিন প্রহরের বিল আর পদ্ম ফুল দেখার সাধ জন্মেছিল, তাঁরা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারেন বিল আর পদ্ম ফুল দেখার আকাংখা থেকে।
চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিলে সকালের দিকে ফোটা পদ্ম বেশি দেখা যায়। পড়ন্ত বিকেলে ফুলের সঙ্গে অস্তগামী সূর্য আপনার মনের কাব্যিকতা বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুণ। বিলের পাশে জেলেপল্লীর মানুষ প্রবল উৎসাহে ডিঙি নৌকা দিয়ে ঘোরাবে। এখানকার মানুষ প্রবল অতিথিপরায়ণ। সারা বেলা ঘুরে নৌকার ভাড়া দিতে গেলে মুখ ফুটে কোনো দাবি করবে না। ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিলে তো মহাখুশি। এখানকার মানুষ সবাই মৎস্যজীবী। ফুলের দিকে বাড়তি নজর নেই কারো। ফলে পদ্ম ফুটে থাকে স্বগৌরবে।
নাটোর জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে হাতছানি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করছে চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিল। কেবল এই বিল নয়, নাটোরে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চলনবিল। যেখানেও নৌকায় চড়ে উপভোগ করতে পারবেন জীবন্ত দেশী মাছ আর পাখিদের বিচরণ।
নাটোরের বিলে ফুটে থাকা এই পদ্ম তৃষ্ণা মেটাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বিস্তীর্ণ জলাভূমি। চারদিকে লতাগুল্ম, কোথাও কচুরিপানা। এরই মাঝে ভেসে রয়েছে অগণিত পদ্ম। স্নিগ্ধ তার রং আর আকাশে মেঘের ভেলা—এ দুইয়ে মিলে যেন একাকার প্রকৃতি। বর্ষা ও শরতের পর এই হেমন্তে জেলার বিলগুলোয় এখন পদ্মের সমাহার। কোথাও ফুটেছে, কোথাও আবার ঝরিয়ে যাচ্ছে। পদ্ম ফুলের পাতায় জমে থাকা পানিটিও রঙিন করে মানুষের মনকে।
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাপি রঙের পদ্ম দেখলে আপনার মন ও জুড়িয়ে যাবে। চোখ যতদূর যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। এমন অপরূপ দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। এ বিলের সৌন্দর্য ও পদ্ম দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে শত শত মানুষ। শরতের ফুল হলেও নাটোরে হেমন্তে তার সৌন্দর্য ও শুভ্রতার প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে পদ্ম। প্রকৃতিতে নিজের রূপবৈচিত্র্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে জলাভূমি ও বিলেঝিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রানি। পদ্ম ফুলের উপস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে গ্রাম কিম্বা শহরের বৃদ্ধ,কিশোর আর শিশুদের উচ্ছল মাখা দিনগুলোকে।
জলের ওপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে হেসে ওঠে লাল-সাদা হাজারো পদ্ম। জলাভূমি ও বিলে-ঝিলে ফুটে থাকা পদ্ম ফুল যেকোনো মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে অন্য রকম এক অনুভূতি। ভাসমান একেকটি পদ্মের রূপশোভা অভিভূত করে যেকোনো বয়সকে। ছবির মতো সাজানো, হৃদয়কাড়া দৃশ্য আটকে রাখতে পারে না দুরন্ত শৈশবকে।
কার্তিক মাসের শেষ পর্যন্ত এখানে ফুল ফুটে থাকে। তবে বিলের আসল সৌন্দর্য দেখতে চাইলে আশ্বিন এবং কার্তিকের মাঝামাঝি সময় বেশি ফুল ফুটে। অর্থাৎ এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। হাজার নয় লাখো পদ্মপাতা বিলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে সবুজ গালিচা তৈরি করে রেখেছে আপনার মন রাঙাতে। পদ্মপাতায় জলের বিন্দু, পদ্মপাতায় ভর করে ডাহুকে হাঁটা-চলা, পদ্মপাতার ওপর দাঁড়িয়ে বকের শিকার ধরার প্রচেষ্টা আপনার ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করবে।
পদ্মময় নাটোরের বিল যে শুধুই আপনার বিনোদনের জন্য তা নয়। এই বিলের ওপর নির্ভরশীল বিশাল এক জীববৈচিত্র্য। তাই পদ্ম বিলে এবং তার আশপাশে এমন কিছু করবেন না, যাতে জীববৈচিত্র্যের সমস্যা হয়। প্লাস্টিকের কিছু ব্যবহার করলে তা গ্রামে বা বিলে না ফেলে রেখে সঙ্গে করে আবার নিয়ে আসুন। পদ্ম বিলে ইঁদুর মারা, সাপ, বক-ডাহুককে ধরার জন্য ঢিল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঢাকার যেকোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪০০-৪৫০ টাকা ভাড়ায় আপনি নাটোরে আসতে পারেন। এ ছাড়া কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নাটোরে আসার জন্য দৈনিক তিনটি ট্রেন রয়েছে। নাটোর শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশায় ৩০-৪০ টাকা ভাড়ায় আপনি বিলটি দেখতে যেতে পারেন। রাতযাপনের জন্য নাটোর শহরে কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। শহরে এসে একটু ভালো করে খোঁজ নিলেই এসব হোটেলের সন্ধান পাবেন আপনি।

Tag :

বড়াইগ্রামের চিনিডাঙ্গার পদ্ম রাজ্যে

Update Time : ১১:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
বিশেষ প্রতিবেদক বড়াইগ্রাম.
পদ্মকে ফুলের রানী বলা হয়ে থাকে। বিলে-ঝিলে এসব সবুজ প্রান্তর আর পদ্ম ফুলের সৌরভ বিমোহিত করে মনকে। এখানে এলে বাতাসেও ছুঁয়ে যায় ফুলের ঘ্রাণ। নয়নাভিরাম এমন দৃশ্য গ্রামীণ জনপদে বয়ে আনে একটু প্রশান্তির ছায়া আর সুখ। আবার কারো কারো জীবনে পদ্ম নিয়ে জড়িয়ে আছে অনেক অজানা স্মৃতিও।
মনোমুগ্ধকর এই বিল দেখতে হলে আসতে হবে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনিডাঙ্গায়। দূর থেকে মনে হবে যেন ফুলের বিছানা পাতা। প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া জলজ ফুলের রানি এই পদ্ম ফুল শুধু যে সৌন্দর্যই বাড়িয়ে দিয়েছে তা নয় শ্রীবৃদ্ধি করেছে বিলেরও । দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন ফুল শয্যার বিছানা পেতে রেখেছে কোন এক নব দম্পতি। প্রতিদিনই এই অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা।
বড়াইগ্রাম উপজেলার চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিল ভ্রমণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এখানে জলজ ফুলের রানি পদ্ম প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে মেলে ধরেছে আপন সৌন্দর্য। এত দিন অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল বিলটি। বিলের চারদিকে শুধু পদ্ম আর পদ্ম। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এ পদ্ম দেখলে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। এমন অপরূপ দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। বিলে ডিঙি নৌকায় ঘুরতে ঘুরতে মনের অজান্তে বেড়িয়ে আসে কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কেউ কথা রাখেনি’ কবিতাটি : মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলি বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর/ তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাব/ সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে!/ নাদের আলি, আমি আর কত বড় হব? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায়/তিন প্রহরের বিল দেখাবে?
কবিতাটি পড়ে যাঁদের তিন প্রহরের বিল আর পদ্ম ফুল দেখার সাধ জন্মেছিল, তাঁরা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে পারেন বিল আর পদ্ম ফুল দেখার আকাংখা থেকে।
চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিলে সকালের দিকে ফোটা পদ্ম বেশি দেখা যায়। পড়ন্ত বিকেলে ফুলের সঙ্গে অস্তগামী সূর্য আপনার মনের কাব্যিকতা বাড়িয়ে দেবে কয়েক গুণ। বিলের পাশে জেলেপল্লীর মানুষ প্রবল উৎসাহে ডিঙি নৌকা দিয়ে ঘোরাবে। এখানকার মানুষ প্রবল অতিথিপরায়ণ। সারা বেলা ঘুরে নৌকার ভাড়া দিতে গেলে মুখ ফুটে কোনো দাবি করবে না। ১০০ থেকে ২০০ টাকা দিলে তো মহাখুশি। এখানকার মানুষ সবাই মৎস্যজীবী। ফুলের দিকে বাড়তি নজর নেই কারো। ফলে পদ্ম ফুটে থাকে স্বগৌরবে।
নাটোর জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে হাতছানি দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করছে চিনিডাঙ্গার এই পদ্মবিল। কেবল এই বিল নয়, নাটোরে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চলনবিল। যেখানেও নৌকায় চড়ে উপভোগ করতে পারবেন জীবন্ত দেশী মাছ আর পাখিদের বিচরণ।
নাটোরের বিলে ফুটে থাকা এই পদ্ম তৃষ্ণা মেটাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বিস্তীর্ণ জলাভূমি। চারদিকে লতাগুল্ম, কোথাও কচুরিপানা। এরই মাঝে ভেসে রয়েছে অগণিত পদ্ম। স্নিগ্ধ তার রং আর আকাশে মেঘের ভেলা—এ দুইয়ে মিলে যেন একাকার প্রকৃতি। বর্ষা ও শরতের পর এই হেমন্তে জেলার বিলগুলোয় এখন পদ্মের সমাহার। কোথাও ফুটেছে, কোথাও আবার ঝরিয়ে যাচ্ছে। পদ্ম ফুলের পাতায় জমে থাকা পানিটিও রঙিন করে মানুষের মনকে।
বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাপি রঙের পদ্ম দেখলে আপনার মন ও জুড়িয়ে যাবে। চোখ যতদূর যায় শুধু পদ্ম আর পদ্ম। এমন অপরূপ দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। এ বিলের সৌন্দর্য ও পদ্ম দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই আসছে শত শত মানুষ। শরতের ফুল হলেও নাটোরে হেমন্তে তার সৌন্দর্য ও শুভ্রতার প্রতীক নিয়ে হাজির হয়েছে পদ্ম। প্রকৃতিতে নিজের রূপবৈচিত্র্য অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে জলাভূমি ও বিলেঝিলে ফুটে থাকা এ জলজ ফুলের রানি। পদ্ম ফুলের উপস্থিতিতে যেন প্রাণ ফিরেছে গ্রাম কিম্বা শহরের বৃদ্ধ,কিশোর আর শিশুদের উচ্ছল মাখা দিনগুলোকে।
জলের ওপর বিছানো সবুজ পাতা ভেদ করে হেসে ওঠে লাল-সাদা হাজারো পদ্ম। জলাভূমি ও বিলে-ঝিলে ফুটে থাকা পদ্ম ফুল যেকোনো মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে অন্য রকম এক অনুভূতি। ভাসমান একেকটি পদ্মের রূপশোভা অভিভূত করে যেকোনো বয়সকে। ছবির মতো সাজানো, হৃদয়কাড়া দৃশ্য আটকে রাখতে পারে না দুরন্ত শৈশবকে।
কার্তিক মাসের শেষ পর্যন্ত এখানে ফুল ফুটে থাকে। তবে বিলের আসল সৌন্দর্য দেখতে চাইলে আশ্বিন এবং কার্তিকের মাঝামাঝি সময় বেশি ফুল ফুটে। অর্থাৎ এখনই সবচেয়ে ভালো সময়। হাজার নয় লাখো পদ্মপাতা বিলের মাঝে সারিবদ্ধভাবে সবুজ গালিচা তৈরি করে রেখেছে আপনার মন রাঙাতে। পদ্মপাতায় জলের বিন্দু, পদ্মপাতায় ভর করে ডাহুকে হাঁটা-চলা, পদ্মপাতার ওপর দাঁড়িয়ে বকের শিকার ধরার প্রচেষ্টা আপনার ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করবে।
পদ্মময় নাটোরের বিল যে শুধুই আপনার বিনোদনের জন্য তা নয়। এই বিলের ওপর নির্ভরশীল বিশাল এক জীববৈচিত্র্য। তাই পদ্ম বিলে এবং তার আশপাশে এমন কিছু করবেন না, যাতে জীববৈচিত্র্যের সমস্যা হয়। প্লাস্টিকের কিছু ব্যবহার করলে তা গ্রামে বা বিলে না ফেলে রেখে সঙ্গে করে আবার নিয়ে আসুন। পদ্ম বিলে ইঁদুর মারা, সাপ, বক-ডাহুককে ধরার জন্য ঢিল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঢাকার যেকোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪০০-৪৫০ টাকা ভাড়ায় আপনি নাটোরে আসতে পারেন। এ ছাড়া কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নাটোরে আসার জন্য দৈনিক তিনটি ট্রেন রয়েছে। নাটোর শহরে এসে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশায় ৩০-৪০ টাকা ভাড়ায় আপনি বিলটি দেখতে যেতে পারেন। রাতযাপনের জন্য নাটোর শহরে কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। শহরে এসে একটু ভালো করে খোঁজ নিলেই এসব হোটেলের সন্ধান পাবেন আপনি।