শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ঢাকাসহ সারা দেশের সবজির বাজারে আগুন, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৩৬৩ Time View
নিজস্ব প্রতিবেদক.

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কাঁচা বাজারগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তে থাকলেও গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এই দর বৃদ্ধিতে ব্যয়ের চাপে পড়েছেন কম আয়ের মানুষ। তবে নাভিশ্বাস উঠলেও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই বাজার সেরে ঘরে ফিরছেন ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, পলাশী ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিটি সবজির দাম চড়া। কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। শুধুমাত্র কচু ৫০ টাকার নিচে কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সবজি সংকটের কারণে বাজারভেদে দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি বেগুন পাইকারিতে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও পলাশীতে খুচরায় তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ধনিয়া পাতার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাঁজর ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭৫ টাকা, উস্তা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দলে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া কলা, কাঁচা মরিচের দাম অপরিবর্তিত আছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা, দেশি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ধনিয়া পাতা কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।

সবজির সঙ্গে বাড়তি দাম রয়েছে শাকের বাজারেও। শাকভেদে প্রতিমোড়ায় দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, মূলা ও কলমি শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০-৫০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার কারণে যেসব এলাকায় সবজির চাষ হয়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুমের এ সময়ে এমনিতেই জোগান কম থাকে। এ অবস্থায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সবজিও কম আসছে। ফলে বাজারে সবজি কম, দাম বাড়ছে এতে।

পলাশী বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বন্যার কারণে সারাদেশে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্য বাজারে সবজি কম আসায় দাম বেড়েছে।

সবজি কিনতে আসা একজন বলেন, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতা। এমন দাম কখনোও দেখিনি। অন্যান্য সবজির দামও অনেক বেশি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। উপায় না পেয়ে অল্প করে সবজি কিনেছি।

সবজির দাম বাড়লেও অনেকটা স্বাভাবিক আছে গরুর মাংস, মুরগি, মাছের দাম।

Tag :

ঢাকাসহ সারা দেশের সবজির বাজারে আগুন, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস

Update Time : ০৫:৫০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক.

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে কাঁচা বাজারগুলোতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বাড়তে থাকলেও গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। এই দর বৃদ্ধিতে ব্যয়ের চাপে পড়েছেন কম আয়ের মানুষ। তবে নাভিশ্বাস উঠলেও বাধ্য হয়ে বাড়তি দামেই বাজার সেরে ঘরে ফিরছেন ক্রেতারা।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, পলাশী ও নিউমার্কেট বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রতিটি সবজির দাম চড়া। কেজিতে ৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। শুধুমাত্র কচু ৫০ টাকার নিচে কেজিতে বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে সবজি সংকটের কারণে বাজারভেদে দামের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। কারওয়ান বাজারে প্রতিকেজি বেগুন পাইকারিতে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও পলাশীতে খুচরায় তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ধনিয়া পাতার দাম। কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। প্রতিকেজি শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাঁজর ৭০-৮০ টাকা, করলা ৭৫ টাকা, উস্তা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, ঝিঙা-ধুন্দল ৫০-৫৫ টাকা, চিচিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কচুর ছড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দলে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া কলা, কাঁচা মরিচের দাম অপরিবর্তিত আছে। অন্যদিকে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা, দেশি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ধনিয়া পাতা কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ধনিয়া পাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।

সবজির সঙ্গে বাড়তি দাম রয়েছে শাকের বাজারেও। শাকভেদে প্রতিমোড়ায় দুই থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল, তেল ও মসলার বাজার। এসব বাজারে প্রতি আঁটি (মোড়া) লাল শাকের দাম চাওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা, মূলা ও কলমি শাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়া শাক ৪০-৫০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যার কারণে যেসব এলাকায় সবজির চাষ হয়, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন সবজির মৌসুমের এ সময়ে এমনিতেই জোগান কম থাকে। এ অবস্থায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের সবজিও কম আসছে। ফলে বাজারে সবজি কম, দাম বাড়ছে এতে।

পলাশী বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, বন্যার কারণে সারাদেশে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। সেজন্য বাজারে সবজি কম আসায় দাম বেড়েছে।

সবজি কিনতে আসা একজন বলেন, পুঁই শাক ৪০ টাকা আঁটি দাম চাচ্ছেন বিক্রেতা। এমন দাম কখনোও দেখিনি। অন্যান্য সবজির দামও অনেক বেশি। ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। উপায় না পেয়ে অল্প করে সবজি কিনেছি।

সবজির দাম বাড়লেও অনেকটা স্বাভাবিক আছে গরুর মাংস, মুরগি, মাছের দাম।