শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাত পোহালেই গুরুদাসপুর পৌর নির্বাচন, কে হতে যাচ্ছেন পৌর পিতা ?

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৩৩ Time View

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.

প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচন। মাইকিং, পোষ্টারিং ও ব্যানার ফেস্টুনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর প্রচার প্রচরণা এখন তুঙ্গে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় ধীরগতি থাকলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।

সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- পৌর নির্বাচন ঘিরে দলমনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের (নারিকেল গাছ) সমান তালে এগিয়ে চলছে। কে হবেন পৌর পিতা তা নিয়ে চুল ঁেছড়া বিচার বিশ্লেন চলছে ভোটারদের মাঝে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন- বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা আ’লীগের টানা ১৮ বছরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এবং পর পর দুইবার আ’লীগ থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর জীবনে উন্নয়নের নতুনমাত্রা যোগ করেছেন মেয়র শাহনেওয়াজ। তাই তৃতীয়বারও শাহনেওয়াজ আলীর ওপরেই আস্থা রেখেছে দলের উচ্চ পর্যায়।

এদিকে নানা প্রতি শ্রুতি ও দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারনায় পিছিয়ে নেই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লবও। দলের সবুজ সংকেত না পেলেও বিদ্রোহী হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন বিপ্লব। নির্বাচনী মাঠে এই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আ’লীগ এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যদিও নৌকার পক্ষে অবস্থান করছেন আ’লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর তথ্য মতে মুল লড়াই হবে আ.লীগ প্রার্থী শাহনেওয়াজ এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের মধ্যেই।

এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এড. আজমুল হক বুলবুল (ধানের শীষ)। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন দলীয় মনোনয়ন চাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে (মোবাইল ফোন) নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ডা. মোহাম্মদ আলী (জগ), আব্দুস সালাম রনি (ক্যারাম বোর্ড) নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয়ধাপে এই নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারী ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পর্ণ হয়েছে বলে রির্টানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এড. আজমুল হক বুলবুল বলেন- তাদের দলে কোন কোন্দল নেই। দল তার ওপর আস্থা রেয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন।

স্বতন্ত্র প্রাথী আমজাদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন- প্রচার প্রচারণায় তাদের কোন বাধা নেই। দলমত নির্বিশেষে তারা ভোট পাবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহন করা হলে তারা নির্বাচিত হবেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে- নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া, পোষ্টারের ওপর পোষ্টার লাগানোসহ বিভিন্নভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন কোন কোন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে রেষারেষি চলছে বেশী। যেকোন সময় এই কলহ সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব বলেন- আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আমার কর্মীদের মারধরের অভিযোগও করেন তিনি।

নৌকার প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলী বলেন- দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় পৌর আ’লীগের পদ থেকে বিপ্লবকে অব্যাহতি দিতে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব গায়ে পড়ে কোন্দল সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। পৌরবাসী টানা দুই বার মেয়র নির্বাচিত করেছে। এবারও জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন- নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য দিন রাত সমান তালে তারা মাঠে কাজ করছেন। গায়ের জোরে ভোট করার কোন সুযোগ নেই।

Tag :

রাত পোহালেই গুরুদাসপুর পৌর নির্বাচন, কে হতে যাচ্ছেন পৌর পিতা ?

Update Time : ০৫:৪৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.

প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে গুরুদাসপুর পৌরসভা নির্বাচন। মাইকিং, পোষ্টারিং ও ব্যানার ফেস্টুনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীসহ সকল প্রার্থীর প্রচার প্রচরণা এখন তুঙ্গে। বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারণায় ধীরগতি থাকলেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের।

সরেজমিনে পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- পৌর নির্বাচন ঘিরে দলমনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলীর সাথে বিদ্রোহী প্রার্থী পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের (নারিকেল গাছ) সমান তালে এগিয়ে চলছে। কে হবেন পৌর পিতা তা নিয়ে চুল ঁেছড়া বিচার বিশ্লেন চলছে ভোটারদের মাঝে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আ’লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন- বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু উপজেলা আ’লীগের টানা ১৮ বছরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা এবং পর পর দুইবার আ’লীগ থেকে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর জীবনে উন্নয়নের নতুনমাত্রা যোগ করেছেন মেয়র শাহনেওয়াজ। তাই তৃতীয়বারও শাহনেওয়াজ আলীর ওপরেই আস্থা রেখেছে দলের উচ্চ পর্যায়।

এদিকে নানা প্রতি শ্রুতি ও দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে ভোটের মাঠে প্রচার প্রচারনায় পিছিয়ে নেই আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লবও। দলের সবুজ সংকেত না পেলেও বিদ্রোহী হিসাবে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন বিপ্লব। নির্বাচনী মাঠে এই বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আ’লীগ এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যদিও নৌকার পক্ষে অবস্থান করছেন আ’লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ের গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। তবে এলাকাবাসীর তথ্য মতে মুল লড়াই হবে আ.লীগ প্রার্থী শাহনেওয়াজ এবং বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লবের মধ্যেই।

এদিকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন এড. আজমুল হক বুলবুল (ধানের শীষ)। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আমজাদ হোসেন দলীয় মনোনয়ন চাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে (মোবাইল ফোন) নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। তাছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ডা. মোহাম্মদ আলী (জগ), আব্দুস সালাম রনি (ক্যারাম বোর্ড) নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয়ধাপে এই নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারী ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি সম্পর্ণ হয়েছে বলে রির্টানিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী এড. আজমুল হক বুলবুল বলেন- তাদের দলে কোন কোন্দল নেই। দল তার ওপর আস্থা রেয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই তিনি মেয়র নির্বাচিত হবেন।

স্বতন্ত্র প্রাথী আমজাদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন- প্রচার প্রচারণায় তাদের কোন বাধা নেই। দলমত নির্বিশেষে তারা ভোট পাবেন। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহন করা হলে তারা নির্বাচিত হবেন।
স্থানীয় সূত্র বলছে- নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে সক্রিয় রয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ভাংচুর, পোষ্টার ছেড়া, পোষ্টারের ওপর পোষ্টার লাগানোসহ বিভিন্নভাবে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন কোন কোন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে রেষারেষি চলছে বেশী। যেকোন সময় এই কলহ সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল ইসলাম বিপ্লব বলেন- আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নৌকার প্রার্থী ও তার সমর্থকরা বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন এবং আমার কর্মীদের মারধরের অভিযোগও করেন তিনি।

নৌকার প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ আলী বলেন- দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় পৌর আ’লীগের পদ থেকে বিপ্লবকে অব্যাহতি দিতে লিখিত সুপারিশ পাঠানো হয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব গায়ে পড়ে কোন্দল সৃষ্টি করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। পৌরবাসী টানা দুই বার মেয়র নির্বাচিত করেছে। এবারও জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে বিজয় সুনিশ্চিত করবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন- নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য দিন রাত সমান তালে তারা মাঠে কাজ করছেন। গায়ের জোরে ভোট করার কোন সুযোগ নেই।