বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হ্যালিপ্যাড তুমি কার!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ৫৯ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সকারকারী কলেজের সামনে হ্যালিপ্যাডটির অবস্থান। রক্ষনাবেক্ষণ, অযন্ত আর অবহেলায় বিলীন হতে চলেছে সরকারী ওই হ্যালিপ্যাডটি।
স্থানীয়রা জানান, হ্যালিপ্যাডের মাটি কেটে নেওয়াসহ ইচ্ছা মতো জায়গাটি ব্যাবহার করছেন সবাই। যদিও জায়গাটি এখন ট্রাক স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও রাত হলেই ওই স্থানে বসে মাদক আর জুয়ার আসর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-১৯৮৮ সালের বন্যার পর তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজখবর ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যে হ্যালিকপ্টার নামানোর জন্যই মুলত ওই হ্যালিপ্যাডটি তৈরি করেছিলেন। সম্প্রতি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে হ্যালিপ্যাডটিতে উপজেলা স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত স্থান হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। সাইনবোর্ড সর্বশ্য ওই হ্যালিপ্যাডের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির স্বার্থপর মানুষ। হ্যালিপ্যাডের ওপরই ট্রাক স্ট্যান্ডও করা হয়েছে। যার ফলে সেখানে এখন নিয়মিত মাদক সেবনও চলছে। একদিকে হ্যালিপ্যাডের মাটি চুরি অন্যদিকে ট্রাক উঠা নামার কারণে বিলীন হচ্ছে মাটি। হ্যালিপ্যাডটির মানচিত্রই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন। সেখানে তারা স্টেডিয়াম বা শিশু পার্ক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনি বিশ্বাস, শহীদুল ইসলাম, সাইনুল শেখ, মাহাতাব প্রামানিক, বাবু মল্লিক, বিল্টু শেখ, মইনুল ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হ্যালিপ্যাডটির এই দুর্দশা দেখে আসছি। সঠিক রক্ষানাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। এলাকাবাসীর দাবির সাথে একমত পোষন করে হ্যালিপ্যাডের জায়গাটি উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেবার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে  দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তৎকালিন ইউএনও ওই স্থানে  নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাক রাখার অনুমতি দেন। তখন থেকেই তারা ওখানে ট্রাক রাখেন । তবে কতৃপক্ষর জায়গাটি প্রয়োজন হলে  আমরা ট্রাক গুলো সরিয়ে নিব।

উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি বাবু রাজ কুমার কাশি জানান, এই জায়গাটি মুলত হেলিপ্যাডের নির্ধারিত জায়গা ছিলো। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামের নামে নেওয়া হয়। কিন্তু সে স্টেডিয়াম নিয়েও চলছে নানা ষড়যন্ত্র। অচিরেই জায়গাটি অপদখল মুক্ত করে ওই স্থানেই স্টেডিয়াম করা হোক। যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আকাশ সাংস্কৃতি ও মাদক মুক্ত থেকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, জায়গাটি যেহেতু সরকারি তাই এসিল্যান্ডকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য বলা হয়েছে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

হ্যালিপ্যাড তুমি কার!

Update Time : ০৫:১১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সকারকারী কলেজের সামনে হ্যালিপ্যাডটির অবস্থান। রক্ষনাবেক্ষণ, অযন্ত আর অবহেলায় বিলীন হতে চলেছে সরকারী ওই হ্যালিপ্যাডটি।
স্থানীয়রা জানান, হ্যালিপ্যাডের মাটি কেটে নেওয়াসহ ইচ্ছা মতো জায়গাটি ব্যাবহার করছেন সবাই। যদিও জায়গাটি এখন ট্রাক স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও রাত হলেই ওই স্থানে বসে মাদক আর জুয়ার আসর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়-১৯৮৮ সালের বন্যার পর তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের খোঁজখবর ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যে হ্যালিকপ্টার নামানোর জন্যই মুলত ওই হ্যালিপ্যাডটি তৈরি করেছিলেন। সম্প্রতি উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে হ্যালিপ্যাডটিতে উপজেলা স্টেডিয়ামের জন্য নির্ধারিত স্থান হিসেবে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। সাইনবোর্ড সর্বশ্য ওই হ্যালিপ্যাডের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির স্বার্থপর মানুষ। হ্যালিপ্যাডের ওপরই ট্রাক স্ট্যান্ডও করা হয়েছে। যার ফলে সেখানে এখন নিয়মিত মাদক সেবনও চলছে। একদিকে হ্যালিপ্যাডের মাটি চুরি অন্যদিকে ট্রাক উঠা নামার কারণে বিলীন হচ্ছে মাটি। হ্যালিপ্যাডটির মানচিত্রই যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। রাষ্ট্রীয় এই সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এলাকাবাসী জোর দাবী জানিয়েছেন। সেখানে তারা স্টেডিয়াম বা শিশু পার্ক স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এসময় এলাকাবাসীর পক্ষে পৌর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনি বিশ্বাস, শহীদুল ইসলাম, সাইনুল শেখ, মাহাতাব প্রামানিক, বাবু মল্লিক, বিল্টু শেখ, মইনুল ইসলাম সহ অনেকে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ জানান।

এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শেখ সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হ্যালিপ্যাডটির এই দুর্দশা দেখে আসছি। সঠিক রক্ষানাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটি প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। এলাকাবাসীর দাবির সাথে একমত পোষন করে হ্যালিপ্যাডের জায়গাটি উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেবার দাবি জানান তিনি।

উপজেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন জানান, ২০১৪ সালে  দেশের পরিস্থিতি খারাপ থাকায় তৎকালিন ইউএনও ওই স্থানে  নিরাপত্তার স্বার্থে ট্রাক রাখার অনুমতি দেন। তখন থেকেই তারা ওখানে ট্রাক রাখেন । তবে কতৃপক্ষর জায়গাটি প্রয়োজন হলে  আমরা ট্রাক গুলো সরিয়ে নিব।

উপজেলা ক্রিড়া সংস্থার সভাপতি বাবু রাজ কুমার কাশি জানান, এই জায়গাটি মুলত হেলিপ্যাডের নির্ধারিত জায়গা ছিলো। পরবর্তীতে স্টেডিয়ামের নামে নেওয়া হয়। কিন্তু সে স্টেডিয়াম নিয়েও চলছে নানা ষড়যন্ত্র। অচিরেই জায়গাটি অপদখল মুক্ত করে ওই স্থানেই স্টেডিয়াম করা হোক। যাতে নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা আকাশ সাংস্কৃতি ও মাদক মুক্ত থেকে খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে পারে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, জায়গাটি যেহেতু সরকারি তাই এসিল্যান্ডকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরির জন্য বলা হয়েছে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।