শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মানুষের ঢল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • ১৩৬ Time View

গুরুদাসপুর( নাটোর) প্রতিনিধি.
গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক মাছ শিকারী অংশ নেন। ফলে নদীর উভয় তীরে উৎসুক জনতার ভীড় দেখা গেছে।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আত্রাই নদীর কালাকান্দর মহাশ্বশান থেকে শুরু হয়ে চাঁচকৈড় ত্রিমোহনা পর্যন্ত ওই উৎসব চলে।

জানা গেছে, প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে  খাল,বিল ও নদীর পানি কোমর পর্যন্ত পৌছালে ওই পলো উৎসব শুরু হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ থেকে শুরু করে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বিল,নদী জলাশয়ে ওই উৎসব চলে।
একপ্রকার বাঁশের তৈরী উপকরন দিয়ে তৈরী করা হয় পলো। এ পলো উৎসবে এক বা একাধিক নেতা থাকেন, যার নেতৃত্ব মেনে সবাই উৎসবে যোগদেন।

উৎসবে অংশ নিতে আসা মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা গ্রামের সজিব হোসেন জানান,পলো দিয়ে মাছ ধরতে একটা অন্য রকম অনুভুতি কাজ করে। কলেজ বন্ধ তাই বড়দের সাথে উৎসবে মাছ ধরতে এসেছি।

দলনেতা ছকির উদ্দিন জানান, আমরা প্রতিবছরই খড়া মৌসুমে দলবেঁধে মাছ ধরি। মাছ ধরার এ উৎসব আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে হয়ে আসছে।
পলো উৎসবে তাদের হাতে ছোট বড় বোয়াল, আইড়,শোল মাছসহ নানা প্রকার মাছ দেখা যায়।
পলো উৎসবে মাছ ধরতে আসা জাহিদ মোল্লা জানান,নিজে মাছ ধরতে যেমন আনন্দের,নদীর মাছটিও তেমন সুস্বাদু। তাই প্রতি বছর চেষ্টা করি এই উৎসবে শামিল হবার।

Tag :

গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মানুষের ঢল

Update Time : ০৯:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

গুরুদাসপুর( নাটোর) প্রতিনিধি.
গুরুদাসপুরে ঐতিহ্যবাহী পলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শতাধিক মাছ শিকারী অংশ নেন। ফলে নদীর উভয় তীরে উৎসুক জনতার ভীড় দেখা গেছে।

আজ সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত আত্রাই নদীর কালাকান্দর মহাশ্বশান থেকে শুরু হয়ে চাঁচকৈড় ত্রিমোহনা পর্যন্ত ওই উৎসব চলে।

জানা গেছে, প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে  খাল,বিল ও নদীর পানি কোমর পর্যন্ত পৌছালে ওই পলো উৎসব শুরু হয়। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ থেকে শুরু করে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন বিল,নদী জলাশয়ে ওই উৎসব চলে।
একপ্রকার বাঁশের তৈরী উপকরন দিয়ে তৈরী করা হয় পলো। এ পলো উৎসবে এক বা একাধিক নেতা থাকেন, যার নেতৃত্ব মেনে সবাই উৎসবে যোগদেন।

উৎসবে অংশ নিতে আসা মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা গ্রামের সজিব হোসেন জানান,পলো দিয়ে মাছ ধরতে একটা অন্য রকম অনুভুতি কাজ করে। কলেজ বন্ধ তাই বড়দের সাথে উৎসবে মাছ ধরতে এসেছি।

দলনেতা ছকির উদ্দিন জানান, আমরা প্রতিবছরই খড়া মৌসুমে দলবেঁধে মাছ ধরি। মাছ ধরার এ উৎসব আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে হয়ে আসছে।
পলো উৎসবে তাদের হাতে ছোট বড় বোয়াল, আইড়,শোল মাছসহ নানা প্রকার মাছ দেখা যায়।
পলো উৎসবে মাছ ধরতে আসা জাহিদ মোল্লা জানান,নিজে মাছ ধরতে যেমন আনন্দের,নদীর মাছটিও তেমন সুস্বাদু। তাই প্রতি বছর চেষ্টা করি এই উৎসবে শামিল হবার।