শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুরুদাসপুরে ইচ্ছে মত নদী খনন খেলার মাঠসহ স্থাপনা হুমকীর মুখে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১
  • ৫৫ Time View

গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নে আত্রাই নদীর শাখা কাটা সাইড খাল স্থাপনাগুলো এখন হুমকীর মুখে। এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছে মতো মাটি কেটে বিক্রি করছে বিভিন্ন জায়গাতে। যার ফলে ওই এলাকার খেলার মাঠ,মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকীর মুখে রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পিপলাগ্রামের আজিজুল হক লালুর ছেলে শাহাদৎ ও মৃত লছিম উদ্দিনের ছেলে এব্রাহিম হোসেন এব্রা, আনিস, ফারুক ও বিলশা গ্রামের রঞ্জুসহ ৭-৮ জন যুবক ওই শাখা নদী এলো পাথারীভাবে কেটে মাটি আর বালি বিক্রি করছেন। এতে করে ওই নদীর পাড়ের পিপলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, পিপলা দারুল উলুম এবতেদায়ী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ ফসলী জমি হুমকীর মুখে পরেছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী জানান, গ্রামবাসীসহ আমরা ওই নদী খেকোদের নিষেধ করা সত্বেও তারা সরকারী আইন অমান্য করে এলো মেলো ভাবে নদী খনন করে বিভিন্ন স্থাপনাসহ ফসলী জমি ও সরকারী রাস্তা নষ্ট করে যত্রতত্র মাটি ও বালি বিক্রয় করেছে। এবাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম দোলনসহ গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানালেও এব্যাপারে তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকার কিছু মানুষ জানান, নদী খেকোদের দলীয় নেতাদের আর্শিবাদ থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খোলেনন না। নদীকে ইচ্ছে মতো কাটার অধিকার কারো নেই। অথচ প্রকাশ্যে চলছে এই অরাজকতা যেন দেখার কেউ নেই। নদীতে অবৈধ ভাবে বাদ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে চালাচ্ছেন ওই নদী খননের কাজ।

খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, নদী খননের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে প্রয়োজনের তাগিদে কেউ মাটি তুলতেই পারে।

চলনবিল নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান মজনু বলেন, নদীর বুঁকে এলো পাথারি ছুরি চালানোর অধিকার সরকার কাউকে দেননি। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি ও মাটি উত্তোলনের তীব্র প্রতিবাদ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
গুরুদাসপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আবু রাসেল জানান, নদী থেকে মাটি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। কেউ অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে থাকলে তাদের বিরুধ্যে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag :

গুরুদাসপুরে ইচ্ছে মত নদী খনন খেলার মাঠসহ স্থাপনা হুমকীর মুখে

Update Time : ০১:১৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মার্চ ২০২১

গুরুদাসপুর (নাটোর)প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নে আত্রাই নদীর শাখা কাটা সাইড খাল স্থাপনাগুলো এখন হুমকীর মুখে। এক শ্রেণির অসাধু মাটি ব্যাবসায়ীরা ইচ্ছে মতো মাটি কেটে বিক্রি করছে বিভিন্ন জায়গাতে। যার ফলে ওই এলাকার খেলার মাঠ,মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকীর মুখে রয়েছে।

স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পিপলাগ্রামের আজিজুল হক লালুর ছেলে শাহাদৎ ও মৃত লছিম উদ্দিনের ছেলে এব্রাহিম হোসেন এব্রা, আনিস, ফারুক ও বিলশা গ্রামের রঞ্জুসহ ৭-৮ জন যুবক ওই শাখা নদী এলো পাথারীভাবে কেটে মাটি আর বালি বিক্রি করছেন। এতে করে ওই নদীর পাড়ের পিপলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, পিপলা দারুল উলুম এবতেদায়ী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ ফসলী জমি হুমকীর মুখে পরেছে।

ওই এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলী জানান, গ্রামবাসীসহ আমরা ওই নদী খেকোদের নিষেধ করা সত্বেও তারা সরকারী আইন অমান্য করে এলো মেলো ভাবে নদী খনন করে বিভিন্ন স্থাপনাসহ ফসলী জমি ও সরকারী রাস্তা নষ্ট করে যত্রতত্র মাটি ও বালি বিক্রয় করেছে। এবাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম দোলনসহ গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে মৌখিক ভাবে জানালেও এব্যাপারে তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এলাকার কিছু মানুষ জানান, নদী খেকোদের দলীয় নেতাদের আর্শিবাদ থাকায় ভয়ে কেউ মুখ খোলেনন না। নদীকে ইচ্ছে মতো কাটার অধিকার কারো নেই। অথচ প্রকাশ্যে চলছে এই অরাজকতা যেন দেখার কেউ নেই। নদীতে অবৈধ ভাবে বাদ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে চালাচ্ছেন ওই নদী খননের কাজ।

খুবজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, নদী খননের ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে প্রয়োজনের তাগিদে কেউ মাটি তুলতেই পারে।

চলনবিল নদী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান মজনু বলেন, নদীর বুঁকে এলো পাথারি ছুরি চালানোর অধিকার সরকার কাউকে দেননি। নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি ও মাটি উত্তোলনের তীব্র প্রতিবাদ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
গুরুদাসপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আবু রাসেল জানান, নদী থেকে মাটি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। কেউ অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে থাকলে তাদের বিরুধ্যে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।